ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফতোয়া নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ২ জুন ২০১৫

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফতোয়া নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ চেয়ারে বসে নামাজ পড়া নিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জারি করা ফতোয়া নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য চেয়ারে বসে নামাজ পড়া যাবে না বলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন যে ফতোয়া দিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ নিয়ে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন একজন মন্ত্রী। এ নিয়ে ইসলামী ফাউন্ডেশনের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। ময়মনসিংহ জেলার জনৈক ব্যক্তির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গবেষণা বিভাগ থেকে জারি করা ফতোয়ায়-চেয়ারে বসে নামাজ পড়াকে জায়েজ নয় বলে উল্লেখ করে। সূত্র জানায়, মন্ত্রিসভা বৈঠকে সিনিয়র ও প্রভাবশালী এক মন্ত্রী ওই ফতোয়ার বিষয়ে প্রথমে আলোচনা তোলেন। এ সময় অন্য কয়েকজন মন্ত্রীও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। তাঁরা এ ফতোয়ার সমালোচনা করে বলেন, ধর্মেই আছে যেভাবেই হোক নামাজ পড়তে হবে। যে যেমন করে পারে নামাজ পড়তে হবে। যিনি দাঁড়াতে না পারবেন তিনি বসে পড়বেন। বসতে না পারলে শুয়ে পড়বেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন এটা কোথায় পেল? এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমনও দেখা গেছে উঠতে পারছেন না, তিনি শুয়ে নামাজ পড়ছেন, তাহলে তার নামাজ কি হবে না? রবিবার প্রচারিত ইফার গবেষণা বিভাগের মুফতি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর স্বাক্ষরিত আলোচিত ফতোয়াটিতে বলা হয়, চেয়ারে বসে ফরজ, ওয়াজিব ও মুয়াক্কাদা নামাজ আদায় বৈধ নয়। যেখানে একজন অসুস্থ ব্যক্তির জন্য খোদ শরিয়াহ আইনে সুবিধামতো নামাজ আদায়ের অনেক বিকল্প পন্থা বলে দিয়েছে সেখানে সেসব বাদ দিয়ে অন্য নতুন বিকল্প পন্থা অর্থাৎ চেয়ারে বসে নামাজ আদায়ের বৈধতা দানের অবকাশ থাকে না। এর পক্ষে বিভিন্ন গ্রন্থ ও একটি হাদিসের উদাহরণসহ ১১টি যুক্তি উপস্থাপন করে বলা হয়, একান্ত গবেষণা বিতর্কের খাতিরে যদি কারও বেলায় এমনটি বলা হয় যে, তিনি দাঁড়িয়েও নামাজ পড়তে পারেন না এবং চেয়ার ছাড়া যে কোন প্রক্রিয়ায় বসেও পারেন না। তেমন কারও জন্য বৈধতার অনুমতির কথা মেনে নিলেও তা প্রযোজ্য হতে পারে বাসাবাড়ী, অফিস-আদালত তথা মসজিদের বাইরের ক্ষেত্রে মসজিদে নয়। কারণ, তার প্রয়োজনে মসজিদের পরিবেশ ব্যাহত করা যাবে না এবং তিনি রোগী বিধায় তার পক্ষে মসজিদে জামাতে অংশগ্রহণও জরুরী নয়।
×