ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘বাঁচাও নদী শীতলক্ষ্যা’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ২ জুন ২০১৫

‘বাঁচাও নদী শীতলক্ষ্যা’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০১৫ উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান লবিতে আজ মঙ্গলবার থেকে ‘বাঁচাও নদী শীতলক্ষ্যা’ শীর্ষক ১০ দিনব্যাপী জনসচেতনতামূলক একক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয় জাদুঘরের সহায়তায় এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রদর্শনী চলবে ১২ জুন পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এ প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত। আজ সকাল ১১টায় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় সংসদ সদস্য গাজী গোলাম দস্তগীর, বীর প্রতীক। উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন, ফ্রান্সের হাইকমিশনার আওবার্ট সোফি, অধ্যাপক ডা. এমএইচ। মিল্লাত স্বাগত বক্তব্য রাখবেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী। এ প্রদর্শনীর আয়োজনের কারণ হিসেবে ফোজিত শেখ বাবু বলেন, এক সময় নারায়ণগঞ্জের প্রাণ হিসেবে পরিচিত ছিল শীতলক্ষ্যা নদী। সে সময় এ নদীর পানি দুই পাড়ের মানুষ রান্নার কাজে ব্যবহার করত। বিদেশ থেকে আসা পণ্যবাহী জাহাজগুলো যাওয়ার সময়ে এ নদীর পানি নিয়ে যেত। এসব ঘটনা ৩০-৪০ বছর আগের কথা। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের কাছে এসব কথা হাস্যকর মনে হতে পারে। কারণ আজ সেই ঐতিহ্যবাহী শীতলক্ষ্যার পাড় দিয়ে হাঁটতে হলে নাকে রুমাল ছাড়া আর কোন গতি থাকে না। কুচকুচে কালো পানির পচা দুর্গন্ধের কারণে নাকে রুমাল চাপা দিয়ে নদী পারাপার হতে হয়। শীতলক্ষ্যা এখন আর সেই খরস্রোতা নদী নেই। পরিণত হয়েছে বিষাক্ত বর্জ্যরে ভাগাড়ে। দুই পাড়ে জমে থাকে ময়লার স্তূপ। দেশের দ্বিতীয় দূষিত নদী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে শীতলক্ষ্যা। এ নদীর স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে কঠোরভাবে নদী দূষণ রোধ, বর্জ্য ফেলা বন্ধ এবং ভূমিদস্যুদের প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরী। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও এক্ষেত্রে এদের বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণে সক্রিয় ভূমিকা রাখার কোন বিকল্প নেই। তাহলেই দূষণের হাত থেকে মুক্ত হতে পারবে এ নদী। ফটো সাংবাদিক ফোজিত শেখ বাবু মনে করেন, এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে শীতলক্ষ্যা নদীতে পরিবেশ বিপর্যয়ের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরতে সক্ষম হবে। যা এ নদীকে বাঁচাতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
×