ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী জ্যাকসন লেখাপড়া শেষে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করতে চায়

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ২ জুন ২০১৫

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী জ্যাকসন লেখাপড়া শেষে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করতে চায়

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর, ১ জুন ॥ চেষ্টা, সাহস ও ধৈর্য থাকলে যে অদম্যকে জয় করা যায়- তার উদাহরণ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী কৃতী শিক্ষার্থী জ্যাকসন কুয়েদা। শেরপুরের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী জ্যাকসন এসএসসির ফলাফলে জিপিএ-৪.০৬ পেয়েছে। সে উচ্চশিক্ষা লাভ করে প্রতিবন্ধীদের নিয়েই কাজ করতে চায়। জ্যাকসন শেরপুর সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের সাপমারীতে সমাজসেবা অধিদফতর প্রতিষ্ঠিত সমন্বিত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী এবং চলতি বছর সাপমারী হাইস্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় রাইটার পদ্ধতিতে অংশ নেয়। জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক এআরএম ওয়াহেদুজ্জামান জানান, ২০১০ সালে সাপমারী সমন্বিত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী প্রতিষ্ঠানে অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি হয় জ্যাকসন। মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বরমতলা দরিদ্র খ্রিস্টান পরিবারের সন্তান সে। তার পিতা সুরেশ কুয়েদা ও মাতা শালিনী কুয়েদা। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে সে দ্বিতীয়। সে সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত সাভার সালভিলা অন্ধ স্কুলে পড়াশোনা করে শেরপুরে চলে আসে। এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৪.০৬ পাওয়ায় সে আনন্দিত। এজন্য সে নিজের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকসহ পিতা-মাতার প্রতি কৃতজ্ঞ। আর নিজের ভবিষ্যত আকাক্সক্ষা সম্পর্কে বলতে গিয়ে সে জানিয়েছে, ঢাকার কোন ভাল কলেজে এইচএসসি পর্যন্ত পড়াশোনা করে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ শিক্ষা লাভ করে প্রতিবন্ধীদের নিয়েই কাজ করতে চায় সে। বিএডিসির আমন বীজ বিতরণ শুরু চলতি ২০১৫-১৬ মৌসুমে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন সারাদেশে উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন জাতের ভিত্তি, প্রত্যায়িত ও মানঘোষিত শ্রেণীর ২২৩৯৬.০৫২ টন আমন ধানবীজ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে। বিএডিসির ২২টি আঞ্চলিক বীজ বিক্রয় কেন্দ্র হতে শুধু নিবন্ধিত বীজ ডিলার, ২২টি জেলা ট্রানজিট বীজ বিক্রয় কেন্দ্র হতে নিবন্ধিত বীজ ডিলার ও কৃষকদের নিকট এবং ২০টি জেলা বীজ বিক্রয় কেন্দ্র ও ৩৬টি উপজেলা বীজ বিক্রয় কেন্দ্র হতে সরাসরি কৃষকদের নিকট ‘আগে আসলে আগে পাবেন’ ভিত্তিতে আমন ধানবীজ বিক্রয় করা হচ্ছে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য বিএডিসির ওয়েবসাইট: এ যোগাযোগের অনুরোধ করা হলো। Ñবিজ্ঞপ্তি পাঁচ বছরের মধ্যে কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার এবার সর্বনিম্ন মীর শাহ আলম, কুমিল্লা, ১ জুন ॥ এসএসসিতে গত পাঁচ বছরের তুলনায় এবার কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার সর্বনিম্ন। হরতাল, অবরোধ ও নাশকতার প্রভাবসহ পর পর দুদিন ফাঁক না দিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করার ফলে পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় এ ফলাফল বিপর্যয় ঘটেছে বলে মনে করছেন অভিভাবক মহল। পাশাপাশি কমেছে জিপিএ-৫। কুমিল্লা বোর্ডের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ বছর পাসের হার ৮৪.২২ শতাংশ। এর আগে ২০১৪ সালের পাসের হার ৮৯.৯২, ২০১৩ সালে ৯০.৪১, ২০১২ সালে ৮৫.৬৪ ও ২০১১ সালে ৮৫.৮৫ শতাংশ। এ বছর এক লাখ ৪৬ হাজার ২৬৯ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৮ জন। এবার বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যাণিজ্য বিভাগে জিপিএ-৫ পায় ১০ হাজার ১৯৫ জন। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৯৪৫ জন। এছাড়া পাসের হারের দিক থেকে এ বোর্ডে ছেলেরা এগিয়ে রয়েছে। এ বছর ছেলেদের পাসের হার ৮৬.১৪ এবং মেয়েদের পাসের হার ৮২.৫৭ শতাংশ। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ইন্দু ভূষণ ভৌমিক বলেন, এ বছর গণিত বিষয়ে সৃজনশীল পরীক্ষা নেয়া হয়। প্রথমবারের মতো হওয়ায় হয়তো পরীক্ষার্থীরা আশানুরূপ ফলাফল করতে পারেনি। এছাড়া হরতাল-অবরোধের কারণে শুক্র ও শনিবার পরীক্ষা নিতে হয়েছে।
×