ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পুঁজিবাজারে লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়াল

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ২ জুন ২০১৫

পুঁজিবাজারে লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়াল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের পুঁজিবাজারে স্বস্তির হাওয়া বইতে শুরু করেছে। প্রতিদিনই বাড়ছে সূচক ও লেনদেন। এই ধারাবাহিকতায় সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন এক হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে; যা গত ৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন। এমনকি যা গত সাড়ে ৭ মাসে এত লেনদেন কোনদিন হয়নি। এর আগে গত বছরের ১৪ অক্টোবর ডিএসইতে ১ হাজার ৯৭ কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল। জানুয়ারি মাসের পর থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে প্রতিদিনই সূচকের পতন ঘটতে থাকে। কিন্তু এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। মে মাসের প্রথম থেকে আবারও বাজারে প্রাণ ফিরে আসতে থাকে। আগামী বাজেট ঘিরে আশাবাদ ছড়িয়ে পড়া এবং সঞ্চয়পত্রে সুদের হার কমানোর পরে আমানতের সুদের কমানোর কারণেই ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে বিশ্লেকরা মনে করছেন। বাজার পর্র্যালেচনায় দেখা গেছে, গত জানুয়ারি মাসের প্রথম কার্যদিবসে ডিএসইতে ২২৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এরপর ডিএসইতে লেনদেন বাড়লেও তা খুব বেশিদূর যেতে পারেনি। এপ্রিল মাস পর্যন্ত পুঁজিবাজার বড় ধরনের পতনেই পার হয়েছে। তবে মে মাস থেকে পুঁজিবাজার আবার ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, সোমবার ডিএসইতে ১ হাজার ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে; যা আগের দিনের তুলনায় ২১৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা বেশি। আগের দিন এ বাজারে লেনদেন হয়েছিল ৭৮৮ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩১৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৫টির, কমেছে ১১৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৮টির শেয়ার দর। সকালে সূচকের ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে শুরুর পরে প্রধান বাজারের সার্বিক সূচক বা ডিএসইএক্স ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৬২৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ১১৮ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৬৫ পয়েন্টে। ডিএসইতে লেনদেনের সেরা কোম্পানি হলোÑ খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, সামিট পাওয়ার, গ্রামীণফোন, বেক্সিমকো, সাইফ পাওয়ারটেক, বারাকা পাওয়ার, সামিট পূর্বাচল পাওয়ার কোম্পানি, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট এবং এমজেএল বিডি। দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ওরিয়ন ফার্মা, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, গোল্ডেন সন, ন্যাশনাল হাউজিং, মেঘনা সিমেন্ট, জিপিএইচ ইস্পাত, আইসিবি ১ম এনআরবি, রূপালী ব্যাংক ও ম্যারিকো। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : সাভার রিফ্যাক্টরীজ, বিএসআরএম লিমিটেড, ইমাম বাটন, এসিআই ফর্মুলেশন, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, ফার কেমিক্যাল, সাইফ পাওয়ার, ৫ম আইসিবি, সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড ও সামিট পোর্ট এলায়েন্স। এদিকে ঢাকার বাজারে লেনদেন বাড়লেও সোমবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আগের দিনের চেয়ে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কিছুটা কমেছে। তবে সেখানেও সব ধরনের সূচক বেড়েছে। দিনশেষে সিএসইতে ৭৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসই সার্বিক সূচক ৪৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২৩৮ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৪১টি কোম্পানি ও মিউচুয়্যাল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১২টির, কমেছে ৯৯টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির। ডিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, সামিট পাওয়ার, বেক্সিমকো, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, বিএসআরএম লিমিটেড, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড, মবিল যমুনা বাংলাদেশ, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, ইউনাইটেড এয়ার ও ফার কেমিক্যাল।
×