ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ২ জুন ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

পাকা করা হোক পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার জয়কুল আদর্শ গ্রামের বাসস্ট্যান্ড মোড় থেকে পশ্চিম পাশ থেকে উত্তর দিকে রাস্তাটি মরহুম মোবাশ্বের ডিলারের বাড়ি হয়ে জয়কুল, বিড়াল জুরী, মুক্তারকাঠি ও নাঙ্গুলী গ্রামের মতির মাওলানার আলিয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত পৌঁছেছে। প্রকাশ থাকে যে, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় ১৯৯৫ সালের মার্চে মাটির কাজ শেষ করে সমাপ্তি ঘোষণা করে। কিন্তু তারপর থেকে রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে পাকা করার জন্য জোর দাবি জানিয়ে আসছে এলাকাবাসী। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে রাস্তাটি পাকা হচ্ছে না। অল্প বৃষ্টি হলেই রাস্তাটিতে চরম জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও ঢাকা, বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুরের বাসযাত্রীদের এবং ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ও জনগণের জানমাল রক্ষার স্বার্থে জরুরীভাবে রাস্তাটি পাকা করা একান্ত প্রয়োজন। মোঃ রুহুল আমিন (দুলাল) জয়কুল, পিরোজপুর। কাজির গরু কেতাবে আছে... সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা গেছে, বাংলাদেশের মানুষের বার্ষিক মাথাপিছু জাতীয় আয় নাকি এখন এক হাজার ৩১৪ ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত বছর এই মাথাপিছু আয় ছিল এক হাজার ১৯০ ডলার। সে হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে ১২৪ ডলার আয় বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ওই সংবাদে জানা যায়। ১৪ মে ২০১৫ বৃহস্পতিবার এনইসি সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) উপাত্তের ভিত্তিতে এ তথ্যটি জানিয়েছেন বলে পত্রিকাটির ভাষ্যে জানা গেছে। এখানে মানুষের বার্ষিক মাথাপিছু জাতীয় আয়ের হিসাবটি দেশের অর্থনীতিবিদগণ অর্থনৈতিক পরিভাষায় কিভাবে বিন্যস্ত বা তার (জধঃরড়) নির্ধারণ করেছেন তা তাঁরাই ভাল জানবেন। তবে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির এ হিসাবটি সাদামাটা জ্ঞানে পরিষ্কার হয়ে উঠছে না। বার্ষিক মাথাপিছু আয় এক হাজার ৩১৪ ডলারকে বাংলাদেশী মুদ্রামানে নির্ণয় বা রূপান্তর করা হলে দাঁড়ায় পঁচাশি হাজার তিনশত চৌদ্দ টাকা। যা প্রতিমাসের হিসাবে নির্ণয় করলে প্রায় ৭ হাজার টাকার মতো দাঁড়ায়। যা হোক, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির কথাটি শুনতে বেশ সুখের শোনালেও বাস্তব অবস্থা কি তাই? এ ক্ষেত্রে গড় হিসাব ধরে অঙ্ক কষা হলেও বস্তুতপক্ষে তদানুযায়ী মাথাপিছু আয়ের টাকার হিসাবটা সবার ক্ষেত্রে ভাবে মেলে না। সে তুলনায় কারও বার্ষিক অথবা মাসিক আয়ের পরিমাণ বেশি হলে আবার কারও ক্ষেত্রে তা কম বা অনেক কম দেখা যায়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, যেমন একজন চাকরি করে মাসিক ২০ হাজার টাকা বেতন পেয়ে থাকেন। তাঁর পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৫ জন। এ পরিবারের সদস্যগণ একজনের আয়ের ওপরই নির্ভরশীল। বর্তমান প্রদত্ত মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির হিসাব মতে, প্রতিমাসে ৭ হাজার টাকা করে ধরলে ৭ী৫=৩৫ হাজার টাকা হয়। প্রকৃতপক্ষে ওই পরিবারের সদস্যদের মাথাপিছু আয় দাঁড়ায় প্রতিমাসে ৪ হাজার টাকা বা বছরে ৪৮ হাজার টাকা করে। তাহলে ব্যাপারটা কী দাঁড়াল? দেশের মানুষের বার্ষিক অথবা মাসিক হিসাবে আয়ের পরিমাণ নিয়ে বিভিন্ন তারতম্য রয়েছে। এই তারতম্যের মধ্যে মাথাপিছু আয়ের গড় হিসাবটা কারও কারও মতে শুভঙ্করের ফাঁকি নয়ত? অন্যের আয়ের বর্ধিত অংশের পরিমাণ দ্বারা গড় হিসাবের কম আয়ের লোকদের মাথাপিছু আয়ের হিসাব নির্ধারণ এ ক্ষেত্রে কতটুকু প্রযোজ্য? এ জন্যই কি ‘কাজির গরু কেতাবে আছে গোয়ালে নেই’ প্রবাদটির প্রচলন। পরিশেষে বলতে হয়, প্রদত্ত হিসাবের সঙ্গে বস্তুতপক্ষে তাল মেলাতে না পারলেও অতীতের তুলনায় মানুষের দৈনন্দিন বা মাসিক আয়ের পরিমাণ কিছুটা হলেও বৃদ্ধিসহ দেশের জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন অনেক দূর ত্বরান্বিত হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে আমরা নিঃসন্দেহে মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ যেমন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হব, তেমনি অনেক দূর এগিয়ে গিয়ে দেশকে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করতে পারব। সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষের যেমন আন্তরিক হতে হবে, তেমনি সংশ্লিষ্টদেরও দ্বিগুণ বহুগুণে সততা ও নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে স্ব স্ব ক্ষেত্রে অবদান রাখতে হবে। তবেই আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হব। খন্দকার মাহ্বুবুল আলম আনন্দবাজার, চট্টগ্রাম। করুণ অবস্থা চোখে না দেখলে বোঝা যাবে না, নগরীর পোস্তগোলা এলাকার রাস্তাঘাটের কি করুণ ও শোচনীয় অবস্থা তা ভাষায় প্রকাশ করা কষ্টকর। এ রাস্তায় চলাচলের সময় নাগরদোলা থেকেও যাত্রীদের অনেক দুলতে হয়। সংস্কারের অভাবে পোস্তগোলা এলাকার রাস্তাঘাট আজ ধ্বংসপ্রায়। সকল ধরনের কর প্রদান করা সত্ত্বেও পোস্তগোলা এলাকা আজ অবহেলিত। কে দেখবে পোস্তগোলা এলাকার মানুষের দুর্দশা। আশা করি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে জরুরী ভিত্তিতে পোস্তগোলা এলাকার রাস্তাঘাট সংস্কার হবে। মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী ঢাকা।
×