ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন নয় বাস্তব ॥ তোফায়েল

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ১ জুন ২০১৫

ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন নয় বাস্তব ॥ তোফায়েল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয় বাস্তব বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করার যে ঘোষণা দিয়েছিলেন আজ সেই ঘোষণা বাস্তবে রূপ নিয়েছে। রবিবার হোটেল সোনারগাঁওয়ে জিএসপি অটোমোশন সিস্টেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহযোগিতায় ইপিবি-জিএসপি সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া অটোমোশন করে। ইপিবি ভাইস- চেয়ারম্যান শুভাশিস বোসের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্য প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমদ পলক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম, বাণিজ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশন মারিও রোনকোনি উপস্থিত ছিলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তিতে ২০২১ সালে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে। এটা এখন বাস্তব। সুবর্ণজয়ন্তীতে তৈরি পোশাকশিল্পের রফতানি ৫০ বিলিয়ন ডলারের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা অর্জন সম্ভব হবে। তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাদের বরাবর সহযোগিতা করেছে। তাদের এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ তার লক্ষ্যে পৌঁছবেই। রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও বাংলাদেশের অগ্রগতি থামিয়ে রাখা যায়নি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবেই। বাংলাদেশের বিস্ময়কর উত্থান ঠেকানো যাবে না। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের আন্তরিক সহযোগিতায় সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সক্ষম হয়েছে। আসন্ন পবিত্র রমজান মাসসহ আগামী দিনগুলোতেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকবে। জুনায়েদ আহমদ পলক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে আউটসোর্সিং খাতে বাংলাদেশ বিশ্বের গন্তব্যস্থল হতে পারে। বর্তমানে এ খাতে বিশ্বের ২৬তম শীর্ষ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার কারণে ঘরে বসেই নানা দিকনির্দেশনা দেয়া সম্ভব হচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশে ৭ হাজার আইটি এক্সপার্ট তৈরি হয়েছে। ভবিষ্যতে এ সংখ্যা আরও বাড়বে। তখন কেউ বেকার থাকবে না। সভাপতির বক্তব্যে শুভাশিস বোস বলেন, শীঘ্রই দেশের রফতানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল অফিস অটোমোশনের আওতায় আনা হবে। জিএসপি অটোমোশনের ফলে প্রতিমাসে ৩০ হাজার সার্টিফিকেট দেয়া সম্ভব হবে। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে এ পর্যন্ত ২ লাখ ৭৫ হাজার জিএসপি সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়েছে। অটোমোশনের ফলে আগামীতে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি পাবে।
×