ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশ জাতীয় দল চূড়ান্ত এ সপ্তাহেই

প্রকাশিত: ০৫:২০, ১ জুন ২০১৫

বাংলাদেশ জাতীয় দল চূড়ান্ত এ সপ্তাহেই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সকালে হলো ফিটনেস ধরে রাখার ট্রেইনিং। আর দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের প্রাথমিক স্কোয়াডের ক্রিকেটাররা ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলন করলেন। তাতে ক্রিকেটাররা পুরোদমে ভারত সিরিজের জন্য নিজেদের গুছিয়ে নিতে শুরু করে দিয়েছেন। হাতে খুব বেশি সময় নেই। এ সপ্তাহেই ভারতের বিপক্ষে ১০ জুন শুরু হতে যাওয়া একমাত্র টেস্টের জন্য দল ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। ২ জুনের পর যে কোন সময় এ দল ঘোষণা হতে পারে। আর সেই দলে থাকতে ক্রিকেটাররা নিজেদের পুরোদমে প্রস্তুত করেছেন, তা দেখাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ভারত দল ৬ জুন থেকে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে অনুশীলন শুরু করবে। কলকাতায় ফিটনেস ট্রেইনিংস করবে। এরপর ৭ জুনও একই অবস্থা থাকবে। ভারত দল বাংলাদেশ সফরের জন্য অনুশীলন শুরুর আগেই হয়ত বাংলাদেশ টেস্ট দল ঘোষণা করে দেবে। বিসিবির নির্বাচক কমিটির সূত্রে এমনটিই আভাস মিলল। তবে প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ বললেন, ‘২ জুনের পর যে কোন সময়ই আমরা দল দিয়ে দিতে পারি।’ সেক্ষেত্রে ৩ জুন শবে-বরাতের ছুটি আছে। ৪ অথবা ৫ জুন দল দেয়া হতে পারে। ভারত দলের ৭ জুন আসার কথা ছিল। কিন্তু এখন কোহলির নেতৃত্বাধীন টেস্ট দলটি আসবে ৮ জুন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৬ জুন ঢাকায় আসবে। তিনি যাবেন ৭ জুন। এ সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোদির জন্যই জোরদার করতে হবে। আর তাই ৭ জুনের পরিবর্তে ৮ জুন ভারতের টেস্ট দল আসবে বাংলাদেশে। বিসিবি সূত্রে এমনটিই জানা গেছে। ভারত দল যখনই আসুক, এ নিয়ে এখন ক্রিকেটারদের ভাবনা নেই। নিজেদের নিয়েই ভাবছে বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা। কঠোর পরিশ্রম করে চলেছে। শুক্রবার প্রথমদিনের অনুশীলন হয়। শুধু ফিটনেস ট্রেইনিং হয়। দ্বিতীয় দিন শনিবার সেন্ট্রাল উইকেটে অনুশীলন হয়। রবিবারই একই ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। তবে এদিন ক্রিকেটাররা একটু বেশিই পরিশ্রম করেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ফিটনেস ট্রেইনিংয়ে ব্যস্ত থাকেন। আর দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ব্যাট-বলের অনুশীলন করেন। টেস্টে বাংলাদেশের চেয়ে ভারতই ফেবারিট। তা সবারই জানা। তবে ওয়ানডেতে ভারতের চেয়ে বাংলাদেশকেই ফেবারিট মনে করছেন সৌম্য সরকার। এ বিষয়টি ভারত ক্রিকেটারদের মাঝেও নিশ্চয়ই জানাজানি হয়ে গেছে। তাতে ভারত ক্রিকেটাররাও নিশ্চয়ই বাংলাদেশের বিপক্ষে এখন মরিয়া হয়েই খেলবে। কোনভাবে ভারতকে একটি ম্যাচ হারানো গেলেই হয়ে যায়। তাতে বাংলাদেশ যে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেরা খেলাটা খেলেই জিতেছে, সেই প্রমাণ মিলবে। বাংলাদেশকে জিততে না দিতে এরইমধ্যে ভারত পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের নিয়ে গভীরভাবে ভাবছে ভারত দল। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে তামিম, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ, মুমিনুলও বোলিংয়ে রুবেলকে নিয়ে ভাবতে শুরু করে দিয়েছে ভারত। আর মাত্র কয়েক দিন বাকি আছে। শুধু বিশ্বকাপ নয়, এরপরও পাকিস্তানের বিপক্ষে যেভাবে সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ; তাতে দলের কয়েকজন ক্রিকেটারদের নিয়েই এখন পরিকল্পনা করছে ভারত। মেধাবী তামিম সম্পর্কে বাংলাদেশী সমর্থকদের চেয়েও বেশি জানা আছে ভারতীয় সমর্থকদের। যার অসাধারণ ভূমিকার কারণে ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ এবং ২০১২ এশিয়া কাপে ভরাডুবি ঘটেছিল ভারতীয়দের। এ তামিমকে নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনাই আছে বাংলাদেশের। সব ফর্মেটের ক্রিকেটেই বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান হচ্ছেন মুশফিকুর রহীম। বাংলাদেশ দলের মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটা সময় কাটিয়ে দেয়া এই উইকেটরক্ষক বড় একটি স্কোর গড়ে দিয়ে প্রতিপক্ষ দলকে চাপে ফেলে দেয়ার ক্ষেত্রে খুবই সিদ্ধহস্ত। অত্যন্ত বিচক্ষণ এবং আগ্রাসী মেজাজের এই ব্যাটসম্যান যে কোন সময় একটি ম্যাচকে প্রতিপক্ষের নাগালের বাইরে নিয়ে যেতে সক্ষম। মুশফিকের মতো মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও যে কোন সময় ভারতকে ভোগাতে পারেন। আর মুমিনুল তো টানা অর্ধশতক করেই চলেছেন। এ ব্যাটসম্যানদের নিয়ে ভারতের বিশেষ পরিকল্পনা থাকছে। সেই সঙ্গে বোলিংয়ে পেস আক্রমণে রুবেল হোসেনকে নিয়ে ভারত গভীরভাবেই ভাবছে। যে কোন মুহূর্তে যে রুবেল আগ্রাসী হয়ে উঠতে পারেন। এ ক্রিকেটারদের বাইরে সাকিব আল হাসান আছেন। যিনি এখন খুব ফর্মে না থাকলেও এ অলরাউন্ডারকে ভালভাবেই চেনে ভারত। যে কোন দলকে ভোগাতে পারেন সাকিব। তাতে প্রতিপক্ষ হারের শঙ্কাতেই যে পড়ে যায়, তাও জানা ভারতের। এখন দেখা যাক, কতটা ভাল করতে পারে বাংলাদেশ।
×