ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এক যুগ অপেক্ষার পর পার্ক

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ১ জুন ২০১৫

এক যুগ অপেক্ষার পর পার্ক

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মহিলা বিশ্বকাপ ফুটবলের সপ্তম আসর শুরুর মাঝে আর মাত্র চারদিন। এবারই প্রথম অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা বেড়ে হচ্ছে ২৪। এর আগে ১৬টি করে দল অংশ নিয়েছে। এবারই প্রথমবারের মতো অংশ নিতে যাচ্ছে থাইল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, স্পেন, ক্যামেরুন, আইভোরি কোস্ট, কোস্টারিকা, হল্যান্ড ও ইকুয়েডরের মহিলা দল। এছাড়া গত ১২ বছরে প্রথমবারের মতো অংশ নিতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার মহিলারাও। ২০০৩ বিশ্বকাপে প্রথমবার একমাত্র বিশ্বকাপ খেলেছিল তারা। এবার দ্বিতীয় অংশগ্রহণ হতে যাচ্ছে এশিয়ার এ দেশটির। দলের হয়ে ওই বিশ্বকাপ খেলা ১৬ বছর বয়সী কিশোরী স্ট্রাইকার পার্ক ইয়ুনসুন এবার দ্বিতীয় বিশ্বকাপ খেলতে নামবেন। দীর্ঘ এক যুগ অপেক্ষার পালা শেষ হতে চলেছে। এবার অনেক পরিণত এবং উচ্চতায় দীর্ঘকায় ও দৈহিক গঠনে দৃঢ়তা লাভসহ অভিজ্ঞ হয়ে উঠেছেন ফুটবলার হিসেবে। তিনি এক সাক্ষাতকারে সম্প্রতি দেশের মহিলা ফুটবলারদের সংগ্রামের কথা জানিয়েছেন। নিজেকেও নিতে হয়েছে চ্যালেঞ্জ। তবে স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে ২৮ বছর বয়সী পার্কের আরেকটি বিশ্বকাপ খেলার। যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ২০০৩ সালের মহিলা বিশ্বকাপ ফুটবলে অংশ নিয়ে গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। এরপর মাঝে দুটি বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি তারা। তখন ১৬ বছর বয়সী কিশোরী ছিলেন পার্ক। গোল করার দিক থেকে এখন তিনি অনেক সামর্থ্যবান হয়ে উঠেছেন। গত বছর মহিলা বিশ্বকাপ বাছাইয়েও আলো ছড়িয়েছেন পার্ক। করেছিলেন ৬ গোল। এখন তিনি রাশিয়ার অন্যতম একটি ক্লাব রোসিইয়াঙ্কার হয়ে খেলেন। গত বছর অনুষ্ঠিত এএফসি এশিয়ান কাপের মাধ্যমে আসন্ন কানাডা বিশ্বকাপের প্রস্তুতিটাও হয়ে গেছে দক্ষিণ কোরিয়ার। নিজেকে দলের জন্য আরও কার্যকর হিসেবে প্রমাণ করতে পেরেছেন রাশিয়ায় খেলেই। তিনি বলেন, ‘রাশিয়ায় খেলার মাধ্যমে আমার ক্যারিয়ারের অনেক উন্নতি হয়েছে। কোরিয়ার চেয়ে রাশিয়ার অনেক খেলোয়াড়ের শারীরিক সামর্থ্য আমার চেয়ে বেশি। তারা বেশ লম্বা এবং দ্রুত। আমি শিখতে পেরেছি কিভাবে বিভিন্ন কন্ডিশনে তাদের বিরুদ্ধে খেলতে হবে এবং অনেকবার আমি তাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছি। আর এ ধরনের চ্যালেঞ্জ বিশ্বকাপের মতো আসরে কোনভাবেই এড়ানো সম্ভব নয়। আমি আমার দ্বিতীয় বিশ্বকাপে অবশ্যই আরও ভাল কিছু করতে চাই। এটাই এখন আমার অন্যতম লক্ষ্য।’ সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার মহিলা ফুটবল অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে উন্নতি করেছে। সবচেয়ে দারুণ সাফল্য এসেছে ফিফার যুব টুর্নামেন্টগুলোয়। অনুর্ধ-১৭ বিশ্বকাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার মেয়েরা। তবে ২০১০ সালে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোয় অনুষ্ঠিত সে আসরে দলকে বিজয়ী করার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা যিনি রেখেছেন সেই ইয়ো মিনজি কানাডা বিশ্বকাপে খেলতে পারছেন না। ইনজুরির কারণে তাকে বাইরে থাকতে হচ্ছে। এ কারণে পার্ককে একটু বেশিই দায়িত্বভার কাঁধে নিতে হবে। যদিও তার জুটি হিসেবে ডিমিনিউটিভ চেলসির ফরোয়ার্ড জি সোয়ুন থাকছেন। এ বিষয়ে পাক বলেন, ‘আমার সতীর্থদের হয় তো কিছুটা কষ্টই হবে আমার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে। কারণ ২০০৩ সালে আমি অনেক ছোট ছিলাম এবং এখন আমি অনেক পরিণত।’ এবার গ্রুপ পর্বে অবশ্য বেশ বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য। নতুন দুটি দল স্পেন ও কোস্টারিকার সঙ্গে তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে আছে শক্তিশালী ব্রাজিল। এ বিষয়ে পার্ক বলেন, ‘গ্রুপ নিয়ে আমার নির্দিষ্ট কোন চিন্তাভাবনা নেই। এটা বিশ্বকাপ এবং কোন দলই সহজ নয়। এই পর্যায়ে কারও বিরুদ্ধে খেলা সহজ হবে না।’
×