ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নীলারাম প্রাইমারী স্কুল প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ৩১ মে ২০১৫

নীলারাম প্রাইমারী স্কুল প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের বেধড়ক মারধর, শারীরিক ও মানসিক শাস্তি, নিয়মিত ক্লাস না নেয়া, অভিভাবক ও সহকারী শিক্ষকদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করায় নীলারাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ভেস্তে যেতে বসেছে। সরকারী সকল নিয়ম-কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে এসব অপকর্মের হোতা নীলারাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আয়শা বেগম। দুর্নীতিবাজ এ প্রধান শিক্ষককে অপসারণের দাবিতে এলাকাবাসী, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও ওই বিদ্যালয়ের ১০ জন সহকারী শিক্ষক লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস তদন্ত কমিটি গঠন করলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক উল্টো হুমকি দিয়েছে অভিযোগকারী সহকারী সব শিক্ষকদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ও বদলি করা হবে। কারণ এটি তার বাবার প্রতিষ্ঠা করা স্কুল। এ স্কুল চলবে তার কথা মতো। এ দম্ভোক্তি করায় সবাই অসহায় হয়ে পড়েছে। ১০ জন সহকারী শিক্ষক অসদাচরণের অভিযোগ এনে প্রধান শিক্ষক আয়েশা বেগমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত অভিযোগ দিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর। সিনিয়র সহকারী শিক্ষক ঊষা রাণী বলেন, প্রধান শিক্ষক সব সময় অকথ্য ও অশ্রাব্য ভাষায় গালি-গালাজ ও দুর্ব্যবহার করেন যা আমাদের পক্ষে সহ্যকরা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। গাইবান্ধায় কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ৩০ মে ॥ জেলা শহরের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আসাদুজ্জামান স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে ৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আদালতে চার্জশীট দাখিল করেছে। চার্জশীটে তদন্তকারী কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করারও আবেদন করেছে। জানা গেছে, ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ একেএম গোলাম আজম বিদ্যালয়ের দোকান ঘর নির্মাণের আয় বাবদ ২ লাখ ৫৯ হাজার ৬৮০ টাকা, ঘর ভাড়া বাবদ ১০ হাজার ৫শ’ টাকা এবং ২০০৭ সালের আগস্ট ও ডিসেম্বর মাসে দোকান ঘরের ভাড়া বাবদ আদায়কৃত ৩ লাখ ৪২ হাজার ও ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ৯ লাখ ৪৭ হাজার ৬৮০ টাকা জমা খরচ বই জমা না করে তা ঋণ দেখিয়ে এবং অন্যান্যভাবে আত্মসাত করা হয়। এ ব্যাপারে অভিযোগ প্রাপ্তির পর ২০১১ সালের জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন রংপুর বিভাগীয় উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল হুদা গাইবান্ধা সদর থানায় দ-বিধির ৪০৮ ধারায় ২০১১ সালের ২৯ নবেম্বর মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় রংপুরের সহকারী পরিচালক মোঃ জাকারিয়া তদন্তকালে উক্ত অর্থ আত্মসাতের সত্যতা পান। অতঃপর দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে সিনিয়র বিচারিক আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হয়।
×