ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সাভারে যৌতুক না দেয়ায় হত্যার চেষ্টা

গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে গৃহবধূর ওপর বর্বর নির্যাতন

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ৩১ মে ২০১৫

গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে গৃহবধূর ওপর বর্বর নির্যাতন

নিজস্ব সংবাদদাতা, সাভার, ৩০ মে ॥ দাবিকৃত যৌতুক দিতে না পারায় ও একই সঙ্গে পেটের সন্তান নষ্ট করতে রাজি না হওয়ায় ধামরাইয়ে এক গৃহবধূর ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালানো হয়েছে। নির্যাতনের একপর্যায়ে তাকে শ্বসরুদ্ধ করে হত্যারও চেষ্টা করা হয়। তলপেটে লাথি, হাতে-পায়ে-পিঠে রক্তের জমাট বাঁধা কালো কালো দাগ ও সারা শরীরে নির্যাতনের ছাপ নিয়ে ওই গৃহবধূ এখন ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর নাম সীমা আক্তার (২০)। সে পৌরসভার তালতলা মহল্লার চা বিক্রেতা চাঁন মিয়ার কন্যা। জানা গেছে, মাস আটেক পূর্বে পারিবারিকভাবে সীমার বিয়ে হয় পৌর এলাকার ছোট চন্দ্রাইল মহল্লার এসহাক মিয়ার পুত্র সুমন মিয়ার সঙ্গে। বিয়ের পর অল্প কিছুদিন পর থেকে সীমা ওপর সামান্য বিষয় নিয়েও নির্যাতন চালাতে থাকে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা। একই সঙ্গে যৌতুক হিসেবে পিতার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দিতে থাকে সুমন। এরই মধ্যে সীমা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। সন্তান নষ্ট করে ফেলার জন্য সুমন প্রায়ই তাকে মারপিট করে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সীমার মুখ চেপে ধরে সন্তান নষ্ট করার জন্য জোরপূর্বক ওষুধ খাইয়ে দেয় সুমন। এ সময় ডাক-চিৎকার শুরু করলে সীমার মুখে গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে সুমন। এতে ব্যর্থ হয়ে উড়না দিয়ে দু’হাত বেঁধে চৌকির মধ্যে ফেলে বাঁশের লাঠি দিয়ে সীমাকে বেধড়ক পেটায়। তলপেটে লাথি মারে। বর্বর এ নির্যাতনে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে সীমা। এ অবস্থায় এক প্রতিবেশী সীমার বাবা চাঁন মিয়াকে ফোনে ঘটনাটি জানায়। খবর পেয়ে চাঁন মিয়া ওই বাড়িতে গিয়ে তার মেয়েকে অচেতনাবস্থায় দেখতে পান। এ সময়ও হাসপাতালে নিয়ে আসতে বাধা দেয় সুমন ও পরিবারের সদস্যরা। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় সীমাকে উদ্ধার করে চাঁন মিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ঘটনার পর থেকে সুমন পলাতক রয়েছে। চাঁন মিয়া জানান, বিয়ের সময় তিনি তার মেয়েকে কানে ও গলায় ১২ আনা ওজনের স্বর্ণের গহনা দিয়েছিলেন। সেটাও রেখে দিয়েছে সীমার স্বামী। সাভারে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু নিজস্ব সংবাদদাতা, সাভার, ৩০ মে ॥ সাভারে একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎকের অবহেলায় এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। নিহত ওই নারীর নাম জাহানারা খাতুন। বাড়ি সাভার মডেল থানাধীন ঘোড়াদিয়া এলাকায়। নিহতের স্বামী মানসুর মোল্লা জানান, শুক্রবার সকালে শ্বাসকষ্ট হলে তার স্ত্রীকে দ্রুত সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ‘সুপার ক্লিনিক এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ এ ভর্তি করা হয়। ভর্তি করার দুই ঘণ্টা পরও চিকিৎসকরা ঠিকমতো তার স্ত্রীকে চিকিৎসা সেবা দেয়নি। ক্লিনিকের সেবিকারাও তার স্ত্রীর ওয়ার্ডে আসেনি। রাতে ক্লিনিকের সহযোগী অধ্যাপক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ নুরে আলম খাঁন চিকিৎসা সেবা দেন। কিন্তু পরদিন শনিবার সকালে ওই চিকিৎসক কোন চিকিৎসা সেবা প্রদান না করলে সকাল ১০টার দিকে তার স্ত্রী মারা যায়। এদিকে চিকিৎসকের অবহেলা ও ভুল চিকিৎসায় মারা গেছে বলে দাবি করেন ওই নারীর স্বজনরা। পরে তারা ক্লিনিক ভাংচুরের চেষ্টা করে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই নারীর মৃত্যুর পর থেকে ডাঃ নুরে আলম খান পলাতক রয়েছে।
×