ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

‘কালি ও কলম’ তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার প্রদান

প্রকাশিত: ০৬:০১, ৩১ মে ২০১৫

‘কালি ও কলম’ তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার প্রদান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সাহিত্য, শিল্প ও সংস্কৃতিবিষয়ক মাসিক পত্রিকা কালি ও কলম। তরুণ কবি ও লেখকদের সাহিত্যচর্চা ও সাধনায় গতি সঞ্চারের লক্ষ্যে পত্রিকাটি ২০০৮ সাল থেকে পুরস্কার প্রদান করছে। সেই ধারাবাহিকতায় শনিবার সন্ধ্যায় প্রদান করা হলো ২০১৪ সালের কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার। তিনজন কবি ও লেখক পেয়েছেন এই পুরস্কার। তাঁরা হলেনÑ ‘বৃষ্টির মাতলামি’ কাব্যগ্রন্থের জন্য কবিতা বিভাগে সাকিরা পারভীন; প্রবন্ধ, ‘পাবনায় ভাষা আন্দোলন’ গবেষণাগ্রন্থের জন্য গবেষণা ও নাটক বিভাগে এম আবদুল আলীম এবং ‘আমি অনিন্দিতা’ উপন্যাসের জন্য ছোটগল্প ও উপন্যাস শাখায় ফাতিমা রুমি। অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্ত তরুণ লেখকদের নাম ঘোষণা ও প্রশংসাবচন পাঠ করেন অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ। পুরস্কার হিসেবে লেখকদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা, স্মারক ও সম্মাননাপত্র প্রদান করা হয়। সন্ধ্যায় ধানম-ির বেঙ্গল শিল্পালয়ে তিন কবি ও লেখকের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বরেণ্য কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট কথাশিল্পী ইমদাদুল হক মিলন। সভাপতিত্ব করেন কালি ও কলমের সম্পাদকম-লীর সভাপতি অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কালি ও কলমের সম্পাদকম-লীর সদস্য লুভা নাহিদ চৌধুরী। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কালি ও কলম সম্পাদক আবুল হাসনাত। উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের। তিন তরুণকে অভিনন্দন জানিয়ে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, তরুণদের জন্য প্রবর্তিত এ পুরস্কার তরুণদের সাহিত্যচর্চাকে আরও বেগবান করবে, তাদের প্রাণিত করবে আশা করি। সমরেশ মজুমদার বলেন, পুরস্কারের আশা করে কেউ লেখালেখি করে না। তবে লিখে যখন কেউ পুরস্কার পায় তখন ওই পুরস্কার তাদের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক হয়। তিনি আরও বলেন, যদি একটা উদ্যোগ নেয়া যেত যে গত সাত বছরে যাঁরা পুরস্কার পেয়েছেন তারা কতটা পাঠকের কাছে পৌঁছাতে পেরেছেন তাঁদের অন্য লেখার জন্য এবং পাঠক তাদের কতটুকু গ্রহণ করেছেন অন্য লেখার জন্য তাহলে বোঝা যেত এই নির্বাচনটাকে ওইসব লেখক যোগ্য সম্মান দিয়েছেন। আমি আশা করব আজকে যাঁরা পুরস্কার পেলেন তারা নিশ্চয় পাঠকের কাছে পৌঁছাবেন এবং পাঠকরাও নিশ্চয়ই বলবেন এই আমাদের লেখক। ইমদাদুল হক মিলন বলেন, চারদিক যখন সাহিত্য পত্রিকার দুর্দিন, তখন নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছে কালি ও কলম। প্রায় একযুগ ধরে পত্রিকাটি সুনামের সঙ্গে সাহিত্য সেবায় নিবেদিত। সাহিত্যের জন্য তারা যে কাজটি করছে, তা নিঃসন্দেহে দুঃসাহসিক কাজ। তিনি আরও বলেন, এই পুরস্কারটি দুই বাংলারই কবি সাহিত্যিকদের জন্য প্রবর্তন হওয়া প্রয়োজন। আইজিসিসিতে ফেরদৌস আরার সঙ্গীতসন্ধ্যা ॥ খ্যাতিমান নজরুলসঙ্গীত শিল্পী ফেরদৌস আরা। অনন্য কণ্ঠের মাধুরীতে বহু বছর ধরে গাইছেন নজরুলের গান। সেই সুবাদে নজরুলসঙ্গীত শিল্পী হিসেবে পেয়েছেন শ্রোতাপ্রিয়তা। বিশিষ্ট এই কণ্ঠশিল্পী শনিবার সন্ধ্যায় গানে মুগ্ধ করলেন শ্রোতাদের। দরাজ কণ্ঠে গাইলেন নজরুলের গান। আর এই পরিবেশনায় অংশ নেয় তাঁরই গড়া সংগঠন সুরসপ্তক। এই নজরুলসঙ্গীতাসরের আয়োজন করে ভারতীয় হাইকমিশনের ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (আইজিসিসি)। সঙ্গীতানুষ্ঠানের শুরুতেই পরিবেশিত হয় সম্মেলক গান। ফেরদৌস আরার নেতৃত্বে সুরসপ্তকের শিল্পীরা শোনান ‘রুমঝুম রুমঝুম কে বাজায়’ ও সংঘ শরণতীর্থ যাত্রা পথে’। এরপর শুরু হয় ফেরদৌস আরার একক কণ্ঠের অনবদ্য পরিবেশনা। প্রথমেই গেয়ে শোনান ‘কেন মেঘের ছায়া আজি চাঁদের চোখে’। শেষ হলো ছায়ানটের নজরুল উৎসব ॥ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী নজরুল উৎসবের আয়োজন করে ছায়ানট। শুক্রবার শুরু হওয়া বর্ণিল এ উৎসব শেষ হলো শনিবার। সন্ধ্যায় শুরু হয় সমাপনী অনুষ্ঠান। এদিন নজরুল স্মারক বক্তৃতা করেন অধ্যাপক সুমন সাজ্জাদ। সাংস্কৃতিক পর্বে ছিল হিন্দোলের সম্মেলক গান আর নৃত্যদল নৃত্যনন্দনের পরিবেশনা। সেই সঙ্গে উপস্থাপিত হয় অতিথি এবং ছায়ানটের শিল্পীদের এক গান, আবৃত্তি ও পাঠ। আনন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্্যাপন ॥ ছোট বন্ধুদের শিক্ষা-সংস্কৃতির সঙ্গে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে শিশুসংগঠন আনন ফাউন্ডেশন। শনিবার সংগঠনটির তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্্যাপন করা হয়।
×