ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মোস্তাফা জব্বার

একুশ শতক ॥ ডিজিটাল বাংলাদেশের বাজেট চাই

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ৩১ মে ২০১৫

একুশ শতক ॥ ডিজিটাল বাংলাদেশের বাজেট চাই

সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৪ জুন, বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী ২০১৫-১৬ সালের বাজেট ঘোষণা করবেন। এরই মাঝে বাজেট বিষয়ক আলাপ-আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। উন্নয়ন বাজেটসহ নানা তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। অর্থবিল বাজেট পেশের সঙ্গে সঙ্গেই বলবৎ হলেও বাজেট পাস হবে জুনের শেষে এবং জুলাই থেকে জুন অবধি এর প্রয়োগ সময়কাল বিবেচিত হবে। বাজেট পেশ হওয়ার পর সেটি নিয়ে বলতে গেলে পুরো এক মাস আলোচনা হবে এবং জুনের শেষ দিন হয়ত সেটি সংসদে পাস হবে। প্রথামাফিক মাননীয় সংসদ সদস্যরা বাজেট নিয়ে আলোচনা করবেন, তাদের এলাকার উন্নয়নের কথা বলবেন এবং অর্থমন্ত্রী যথাসাধ্য তাদের দাবি মেনে নেয়ার চেষ্টা করবেন। অন্যদিকে সংসদের বাইরে বিশেষ করে গণমাধ্যমে অনেকেই বাজেটের ভাল-মন্দ দিক নিয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করবেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণাটি ২০০৮ সালে দেয়ার পর থেকে বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তির বিষয়টি গুরুত্ব পেয়ে আসছে। ২০০৯-১০ সালের বাজেটে ১০০ কোটি টাকার থোক বরাদ্দ দিয়ে অর্থমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশবান্ধব বাজেটের সূচনা করেছিলেন। আমি মনে করি, অর্থমন্ত্রীর দিক থেকে এখনও সেই সদিচ্ছা অব্যাহত রয়েছে। তবে বাজেট বাস্তবায়নে ও পরিকল্পনা গ্রহণে এখনও রয়ে গেছে নানা অসম্পূর্ণতা। আমি দুটি দিক থেকে এই অপূর্ণতা দেখি। প্রথমত, আমাদের এই খাতের বাণিজ্য সংগঠনসমূহ যথাযথভাবে তাদের কথাগুলো তুলে ধরতে পারে না। আমি লক্ষ্য করেছি, এখনকার নেতারা বাজেটে শুল্ক আর কর নিয়ে যতটা মাথা ঘামান, বাজেটের উন্নয়নের বিষয়গুলোকে সেভাবে প্রাধান্য দেন না। তারা যদি যৌক্তিকভাবে বিষয়গুলো উপস্থাপন করতে পারেন তবে রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকরা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারেন। দ্বিতীয়ত, আমাদের রাজনীতিক ও আমলাতন্ত্র এখনও সাধারণভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণাও সঠিকভাবে বোঝেন না। যে ক’জন এই ধারণাটিকে কোন না কোনভাবে একটু বোঝেন তারাও বহু বিষয়ে বিভ্রান্তিতে থাকেন। নাম উল্লেখ না করে আমি বলতে পারি যে, সরকারের অনেক টাকা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলায় ব্যয় হলেও সেটি পরিকল্পিতভাবে করা হয় না। এমনসব খাতেও টাকা ব্যয় করা হচ্ছে যার প্রয়োজন নেই। আবার এমনসব খাত রয়ে গেছে যার দিকে তাকানোও হয়নি। কোন কোন খাতে সমন্বয়ের অভাবও আছে। একই কাজে সরকারের একাধিক প্রতিষ্ঠান কাজ করে এবং একাধিক বরাদ্দ প্রদান করা হয়। সরকারী টাকা অপচয়ের একটি ছোট দৃষ্টান্ত এখানে তুলে ধরতে পারি। আইসিটি ডিভিশনের একটি কর্মসূচীতে দেশব্যাপী সাইবার ক্রাইম সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য টাকা খরচ করা হচ্ছে। টেলিভিশনে এই বিষয়ে বিজ্ঞাপন দেয়া হচ্ছে। গ্রামে-গঞ্জে সেমিনারও করা হচ্ছে। অথচ এই খাতের প্রথম কাজটি ছিল একটি সাইবার ক্রাইম আইন প্রণয়ন করা। তেমন কোন আইন না করে এই সচেতনতার পেছনে টাকা খরচ করা কার স্বার্থে সেটি বোঝা যায় না। লার্নিং আর্নিং, বাড়ি বসে বড় লোক ইত্যাদি কর্মসূচী নিয়েও নানা প্রশ্ন বিরাজ করে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি দৃষ্টিকটু মনে হয় সেটি হচ্ছে যে কোন টেন্ডার ছাড়াই কাউকে ডেকে এনে বলে দেয়া যে, তুমি এই কাজটি কর। আবার কারও সঙ্গে একটি পাতানো সমঝোতা স্মারক সই করে কোটি কোটি টাকার কর্মসূচী নেয়াটাও এক ধরনের রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। বাজেটের বাইরেও বছরের নানা সময়ে নানা কর্মসূচী গ্রহণ করা হয় এবং সেগুলো নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। আমার নিজের কাছে মনে হয় বাজেট বরাদ্দের কথা ভাবার সময় অর্থমন্ত্রীর উচিত সকল মন্ত্রণালয়ের সকল আইসিটি কর্মকা-কে ডিজিটাল বাংলাদেশ নামে আলাদা করে চিহ্নিত করে আলাদাভাবে বাজেট বরাদ্দ করা। যেমন : যদি সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব করতে চায় বা সরকারী কর্মকর্তাদের ল্যাপটপ দিতে চায় তবে সকল মন্ত্রণালয়ের এই খাতের সকল বরাদ্দ একটি সমন্বিত বরাদ্দে উল্লেখ করা ভাল। সরকারের সকল তথ্যপ্রযুক্তি কেনাকাটা আইসিটি ডিভিশন থেকে হতে পারে। যে মন্ত্রণালয়েরই যা চাহিদা থাকুক সেটি আইসিটি ডিভিশনে পাঠানো হলে তারা তার প্রয়োজনীয়তা ও স্পেসিফিকেশন যাচাই করে টেন্ডার করবে- সংগ্রহ করবে এবং যাদের প্রয়োজন তাদের কাছে সেগুলো পাঠিয়ে দেবে। সামরিক বাহিনী তো এভাবেই কেনাকাটা করে। আইসিটি ডিভিশনে কেনাকাটার একটি অধিদফতর থাকতে পারে বা বিদ্যমান অধিদফতরকে সেভাবে সাজানো যেতে পারে। আমি ঠিক জানি না যে, সরকার এভাবে ভাবছে কিনা। বরং পুরো সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ ভাবনায় কেবল সমন্বয়হীনতাই চোখে পড়ছে। আমরা প্রতি বছরই দেখি যে, বাজেট পেশ করার সময় অর্থমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ে আলাদা একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেন। আমি মনে করি সেই পুস্তিকাটি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ক একটি বাজেট দলিল হতে পারে, যাতে সকল মন্ত্রণালয়ের সকল বরাদ্দ সমন্বিত আকারে সন্নিবেশিত হতে পারে। ওখানে থাকতে পারে সকল প্রকল্পের বিবরণ। এমন ব্যবস্থা গড়ে না তোলার ফলে আমরা যেভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ দেখতে চাই সেভাবে তা দেখতে পাই না। আমরা যখন বাজেট প্রস্তাবনা পেশ করি তখন সেই অপূর্ণতাটিকে কাটিয়ে ওঠার জন্যই করে থাকি। আসুন দেখা যাক, ২০১৫-১৬ সালের বাজেটে কোন্ কোন্ বিষয়ের ওপর গুরুত্ব প্রদান করা উচিত। ১. ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার ছয় বছরের বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও সরকারের কাজ করার পদ্ধতি এখনও ডিজিটাল হয়নি। জেলা উপজেলা স্তরে প্রশাসনের কাজে ডিজিটাল ছোঁয়া লাগলেও বাংলাদেশ সচিবালয় এখনও আগের অবস্থাতেই রয়েছে। গত সপ্তাহে এ টু আই-এর জনপ্রেক্ষিত বিশেষজ্ঞ বিটিভির এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন যে, সরকার ৭টি মন্ত্রণালয়কে ডিজিটাল করার পদক্ষেপ নিয়েছে। এটির জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু বাকিগুলোর জন্যও সময়সীমা থাকা উচিত এবং এই বাজেট থেকেই তার কাজ শুরু করা উচিত। সেজন্যই বাজেটে সরকারের সকল কাজের পদ্ধতি ডিজিটাল করার জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ থাকতে হবে। এর মানে হচ্ছে সরকারের প্রচলিত কাগজের ফাইলের ব্যবস্থাপনার বদলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে কাজ করার ব্যবস্থা করা। ২. ২০০৯ সাল থেকেই সরকার ভূমি ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজ করার প্রচেষ্টা গ্রহণ করে আসছে। অর্থমন্ত্রী নিজে এজন্য লড়াই করে যাচ্ছেন। কিন্তু কোন সুফল এখনও পাওয়া যায়নি। এবারের বাজেটে ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল করাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, সাম্প্রতিককালে গ্রামাঞ্চলের ভূমি অফিসগুলোতে আগুন লাগানো হয়েছে। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক একটি কাজ। এর ফলে ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা ব্যাপকভাবে বাড়বে। এজন্য বিদ্যমান ভূমি রেকর্ড জরুরীভিত্তিতে ডিজিটাল করার জন্য এবারের বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ থাকতে হবে। ৩. বাংলাদেশে ৩জি নেটওয়ার্ক চালু হওয়ার পর এখনও গ্রামাঞ্চলে ৩জি নেটওয়ার্ক চালু হয়নি। গ্রামে গ্রামে ৩জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ থাকতে হবে। অন্যদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। আমি খুব খুশী হব যদি এই বাজেটে দেশের কোন কোন স্থানে ফ্রি ওয়াইফাই স্থাপনের জন্য বরাদ্দ থাকে বা যদি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের কেবল লাইন স্থাপনের বরাদ্দ থাকে। এমন যদি হয় যে, সরকার দেশের সকল সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফ্রি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট প্রদান করবে তবে আমরা আনন্দিত হব। একই সঙ্গে নতুন সাবমেরিন কেবল স্থাপন, ৪জি নিলাম এবং কানেকটিভিটির কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ থাকতে হবে। ৪. দেশের শিক্ষাকে ডিজিটাল করার অঙ্গীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, তাঁর সন্তানরা ল্যাপটপ নিয়ে যেন স্কুলে যায়। আমি প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা বাস্তবায়নের প্রতিফলন দেখতে চাই। আমি চাই, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাসরুম ডিজিটাল করার জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ থাকতে হবে। ৫. দেশের ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী অবধি বাধ্যতামূলক তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা চালু করে যদি কম্পিউটার ল্যাব গড়ে তোলা না হয় তবে এই শিক্ষাব্যবস্থার কোন দাম থাকবে না। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ থাকতে হবে। ৬. বাধ্যতামূলক তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে একজন করে কম্পিউটার শিক্ষকের নিয়োগ দিতে হবে ও তাকে এমপিওভুক্ত করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ থাকতে হবে। ৭. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দ থাকতে হবে। ৮. শিশু শ্রেণী থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর অবধি সকল পাঠ্য বইয়ের ইন্টারএ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার প্রস্তুত করার জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ থাকতে হবে। তবে কোন এনজিওকে ডেকে এসব কাজ করার হুকুম দিয়ে দেয়ার ব্যবস্থাটি কারও কাম্য নয়। ৯. কম্পিউটারের ওপর বিদ্যমান শুল্ক ও ভ্যাট অব্যাহতি বহাল রাখতে হবে। কম্পিউটার ও টেলিকম যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে এইচএস কোড ও অন্যান্য জটিলতা নিরসন করতে হবে। মোবাইলের ওপর কোন করারোপ করা যাবে না, আমদানিতে ভ্যাটও থাকতে পারবে না। তবে এটি এমন হতে পারে যে, যন্ত্রাংশের জন্য শুল্ক ও ভ্যাট থাকবে না; কিন্তু সম্পূর্ণ প্রস্তুত মোবাইলের ওপর কর ও ভ্যাট থাকবে। এটি কম্পিউটারের ওপরও প্রযোজ্য হতে পারে। আমাদের এখন সময় হয়েছে এটি ভাবার যে, আমরা নিজেরা ডিজিটাল যন্ত্র উৎপাদন করব কিনা। আমাদের সরকারকে নিজস্ব শিল্পখাতের সুরক্ষার ব্যবস্থাও করতে হবে। ১০. সফটওয়্যার ও আইটি সেবা খাতের কর ও ভ্যাট অব্যাহতি ২০২১ সাল অবধি বাড়াতে হবে। ১১. ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর থেকে শতকরা ১৫ ভাগ মূসক প্রত্যাহার করতে হবে। ১২. সরকারী-বেসরকারী উদ্যোগে দেশব্যাপী ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ধরনের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মেলা আয়োজনে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ থাকতে হবে। এসব মেলায় সরকারী সেবার পাশাপাশি কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, টেলিকম যন্ত্রপাতি ও সেবা প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকতে হবে। ১৩. দেশে উৎপাদিত হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের জন্য ইনসেনটিভ দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। দেশে উৎপাদিত হয় এমন সফটওয়্যারের ওপর উচ্চহারে করারোপ করতে হবে এবং এ্যাকাউন্টিং, ইআরপি, বাংলা সফটওয়্যার ও ব্যাংকিং সফটওয়্যার আমদানি নিষিদ্ধ করতে হবে। বিসিএস-বেসিসের অনুমোদন ছাড়া এ ধরনের সফটওয়্যার আমদানি করা যাবে না। ১৪. যথাযথ মূল্যায়নের পর শিল্পখাতের সঙ্গে আলোচনা করে হাইটেক পার্ক স্থাপনে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিতে হবে। কালিয়াকৈর, জনতা টাওয়ার ও মহাখালী আইটি ভিলেজ স্থাপনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ১৫. বাংলা ভাষার প্রযুক্তিগত উন্নয়নে, যেমন ওসিআর, টেক্সট টু স্পীচ, স্পীচ টু টেক্সট, ব্যাকরণ ও বানান শুদ্ধকরণ, অনুবাদ ইত্যাদি খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ থাকতে হবে। সরকারকে দেশে উৎপাদিত সফটওয্যারের লাইসেন্স কিনতে হবে। ১৬. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক গবেষণা ও মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিতে হবে। কপিরাইট অফিস ও ডিপিডিটিকে একটি আইপি অফিসে রূপান্তরের বরাদ্দ থাকতে হবে। ১৭. ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জামানতবিহীন ঋণ সুবিধা দিতে হবে। ১৮. শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতসহ সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতায় থাকে এমন স্বল্পমূল্যে ডিজিটাল যন্ত্র সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। ১৯. ডিজিটাল কমার্সের ওপর কোন ভ্যাট আরোপ করা যাবে না। ২০) ঢাকার সঙ্গে দেশের অন্য অঞ্চলের ই-১, এনটিটিএন চার্জ সরকারকে বহন করতে হবে এবং দেশের সকল অংশে কানেকটিভিটির দাম একই হতে হবে। যদিও আমি প্রত্যাশা করি না যে, আমার প্রস্তাবনাগুলোর পুরোটা বাস্তবায়িত হবে, তবুও আমি জানি প্রস্তাবনাগুলো কেবল আমার নয়, দেশের এই খাতের সকল মানুষেরই দাবি এগুলো। আমি আশাবাদী যে, এবারের বাজেট ডিজিটাল বাংলাদেশের বাজেট হবে। এরই মাঝে চ্যানেল আই খবর দিয়েছে, এবার সরকার এই খাতে ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেবে। আমি আশা করি, এসব বরাদ্দ আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করবে। ঢাকা, ২৮ মে, ২০১৫ লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যারের জনক ॥ ই-মেইল : [email protected], ওয়েবপেজ: www.bijoyekushe.net,ww w.bijoydigital.com
×