ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

‘বাংলাদেশকে খেলতে হবে ইতিবাচক ফুটবল’

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ৩০ মে ২০১৫

‘বাংলাদেশকে খেলতে হবে ইতিবাচক ফুটবল’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘যদিও ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে সিঙ্গাপুর আমাদের চেয়ে সাত ধাপ এগিয়ে, তারপরও আমি বলব বাংলাদেশ ভাল খেলবে। এর যৌক্তিক কারণও আছে। আমরা খেলব নিজেদের পরিচিত আবহাওয়া, দর্শক ও মাঠে। তাছাড়া নিকট অতীতে আন্তর্জাতিক ম্যাচে আমাদের শক্তি-সামর্থ্য এবং টিমওয়ার্কের বহির্প্রকাশের কারণে আশাতীত রেজাল্টের কারণে আমরা ভাল ফলের আশা করতেই পারি’Ñ কথাগুলো আমিনুল হকের। জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক-গোলরক্ষক হিসেবে জাতীয় দলে খেলেছেন এক যুগ (১৯৯৮-২০১০, ম্যাচ ৫৫)। আজ বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ফিফা প্রীতিম্যাচ সম্পর্কে আমিনুল আরও বলেন, ‘বাফুফেকে অনুরোধ করব, প্রস্ততি ম্যাচগুলোর ফল যাই হোক, খেলোয়াড়দের খারাপ ফলের জন্য তাদের দোষারোপ না করে বরং তাদের ভাল খেলতে উৎসাহিত করা উচিত। তাতে দেশের ফুটবলেরই মঙ্গল।’ বাংলাদেশ দলকে আজ কিভাবে খেলতে হবে? ‘আজকের ম্যাচে বাংলাদেশকে ইতিবাচক ফুটবল খেলতে হবে। কোচের দিক-নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে হবে মামুনুলদের। সবাই যদি নিজ নিজ পজিশনে থেকে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করে, তাহলে দল খারাপ করবে না আশা করি।’ জামাল ভূঁইয়া ও রিয়াসাতের মতো প্রবাসী বাংলাদেশী ফুটবলাররা জাতীয় দলে খেলছেন। এতে জাতীয় দলের কতটুকু লাভ হবে? ‘অবশ্যই লাভ হবে। তাদের শক্তিমত্তা বৃদ্ধি পাবে। চাপ কমবে। এছাড়া গত দুই বছর ধরে বাংলাদেশ দল আগের চেয়ে বেশি পরিমাণে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে। এতে দলের ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। বেড়েছে তাদের সক্ষমতাও। জামাল ভূঁইয়া ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের আবহাওয়ার সঙ্গে ভালভাবেই খাপ খাইয়ে নিয়েছে। এখন রিয়াসাতের পালা। তাহলে রিয়াসাতও দলের সম্পদে পরিণত হবে জামালের মতো’Ñ আমিনুলের ভাষ্য। সম্প্রতি বাফুফে বিদেশী কিছু ফুটবলারকে (যেমন গিনির ইসমাইল বাঙ্গুরা) নাগরিকত্ব দিয়ে জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে আমিনুল এর পক্ষে নন, ‘কারণ এ দেশেই মেধাবী ফুটবলার অনেক আছে। তাদের শুধু খুঁজে বের করতে হবে। এজন্য দেশজুড়ে বিভিন্ন বয়সভিত্তিক প্রচুর টুর্নামেন্ট আয়োজনের বিকল্প নেই। তাইলেই অনেক মানসম্পন্ন খেলোয়াড় পাওয়া যাবে। একজন বিদেশীকে নাগরিকত্ব দিলে তাকে অর্থ, বাসস্থানসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। এগুলোই যদি দেশীয় ফুটবলারদের দেয়া হয় তাহলে অবশ্যই তারা ভাল করবে।’ মুক্তিযোদ্ধায় সতীর্থ এনামুল হক অনেক দিন পর আবারও জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। এ প্রসঙ্গে আমিনুল বলেন, ‘বেশ খুশি হয়েছি। বিগত বছরগুলোতে ঘরোয়া লীগে বিদেশী ফুটবলারদের আধিক্যে ও সেভাবে খেলার সুযোগ পাচ্ছিল না। ফলে তাকে ফরোয়ার্ড থেকে মিডফিল্ডার হিসেবে খেলতে হয় এবং একপর্যায়ে ফর্মও হারিয়ে ফেলে। চলতি মৌসুমে বিদেশীদের কোটা কমে যাওয়ায় এনামুল আবারও নিজের পজিশনে খেলতে পারছে এবং সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজের সহজাত খেলাটাই খেলতে পারছে এবং ইতোমধ্যেই নিজেকে প্রমাণ করেছে আবারও। ও আসলে খুব পরিশ্রমী এবং জেদী। তার এই মনোভাব জাতীয় দলের জন্য কাজে লাগবে আশা করি। সবচেয়ে বড় কথা, এনামুল দলে আসাতে জাতীয় দলকে আর এমিলির ওপর নির্ভরশীল হতে হবে না।’
×