ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সুন্দরবনে এবার কুমির গণনা শুরু হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ৩০ মে ২০১৫

সুন্দরবনে এবার কুমির গণনা শুরু হচ্ছে

বাবুল সরদার, বাগেরহাট ॥ বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে রয়েল বেঙ্গল টাইগার গণনা শেষে পয়লা জুন থেকে শুরু হচ্ছে কুমির গণনা। কুমির সংরক্ষণে ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এই গণনা কাজ চলবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ সুন্দরবনে জিপিএস সিস্টেমের সাহায্যে কুমির গণনার কাজ করবে। সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের ছোট-বড় ৪৫০টি নদী ও খালে বর্তমানে ১৫০ থেকে ২০০টি লবণ পানির কুমির রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সুন্দরবন বিভাগ এতথ্য নিশ্চিত করেছে। বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা এসিএফ কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, সুন্দরবনের কোন্ কোন্ এলাকায় কুমির বেশি অবস্থান করে তা জেনে সংরক্ষণের উদ্দেশে এ গণনার কাজ চালানো হচ্ছে। এছাড়া কুমিরের বংশবিস্তার বা তার জীবনযাত্রায় হুমকিগুলো শনাক্ত করার পর সুন্দরবন বিভাগের উদ্যোগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে পদক্ষেপ নেয়া হবে। তিনি জানান, কুমির বছরে ৬০/৭০টি ডিম পাড়ে। পুরুষ জাতের কুমিরের সঙ্গে স্ত্রী জাতের কুমিরের মিলন না হলে ওই সব ডিম থেকে বাচ্চা হয় না। এছাড়া বনের গুঁইসাপ ও শূকরসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী ডিমগুলো খেয়ে ফেলে। যে কারণে এর প্রজনন বিঘিœত হয়। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ সুন্দরবনে জিপিএস সিস্টেমের সাহায্যে পয়লা জুন থেকে কুমির গণনার কাজ শুরু করবে। সুন্দরবন বিভাগের সহযোগিতায় ক্যারিনাম নামের একটি বেসরকারী সংস্থা কুমির গণনার কাজ করবে। এ কাজে ১০ জনের একটি করে দল নৌযানের মাধ্যমে সুন্দরবনের অভ্যন্তরের নদী-খালে ঘুরে ভাসমান কুমির ও নদী বা খালের তীরে থাকা কুমির গণনা করবে। কুমিরের প্রজনন ও বংশ বিস্তারে কি-কি হুমকি রয়েছে তা শনাক্ত করে সুপারিশমালা তৈরি করে সুন্দরবন বিভাগকে জানাবে। পাশাপাশি কুমিরের হুমকিগুলো মোকাবেলায় সুপারিশ করতে বলা হয়েছে। সুন্দরবনের মধ্যে কুমির লবণাক্ত পানিতে থাকে। তবে ডিম পাড়ার সময় অপেক্ষাকৃত কম লোনা পানিতে চলে আসে। এই গণনার পর কুমিরের সংখ্যা কোন অঞ্চলে বেশি বা কম ও প্রতি কিলোমিটারে কুমিরের ঘনত্বসহ বিভিন্ন বিষয় হালনাগাদ তথ্য উঠে আসবে।
×