ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রাণ আরএফএলের নারী কর্মীকে নৌকায় ধর্ষণ, দুই মাঝি গ্রেফতার, রিমান্ডে

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ৩০ মে ২০১৫

প্রাণ আরএফএলের নারী কর্মীকে নৌকায় ধর্ষণ,  দুই মাঝি গ্রেফতার, রিমান্ডে

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাজীপুর, ২৯ মে ॥ এক নারী শ্রমিককে গাজীপুরের কালীগঞ্জে গণধর্ষণ করেছে কয়েকজন মাঝি। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ নৌকার দুই মাঝিকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার আদালত গ্রেফতারকৃতদের প্রত্যেককে ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক নিতাই চন্দ্র সরকার জানান, নরসিংদীর পলাশ এলাকার প্রাণ (আরএফএল) কোম্পানির এক নারী শ্রমিক কাজ শেষে সোমবার রাতে গাজীপুরের কালীগঞ্জের নারগানা এলাকার নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। বাড়ি ফেরার পথে সহকর্মীদের সঙ্গে ওই কোম্পানির একটি নৌকায় ওঠে সে। নৌকাটি শীতলক্ষ্যা নদীর ফকিরবাড়ি ঘাটে ভিড়লে নৌকা আরোহীরা নেমে যায়। এ সময় নৌকার মাঝি মোক্তারপুর গ্রামের মোঃ হেলালের ছেলে আল-আমিন (২৫) ও খোরশেদ আলমের ছেলে ফাহিম (২৫) কৌশলে ওই নারী শ্রমিকের মুখে গামছা বেঁধে নৌকাসহ স্থানীয় সাওরাইত ঘাট এলাকার দিকে চলে যায়। পরে তারা মধ্যরাত পর্যন্ত নৌকাতেই পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর ধর্ষকরা কোম্পানির অপর নৌকার দুই মাঝি একই গ্রামের রিপনের ছেলে ফারুক (২৪) ও রতন শেখের ছেলে শরীফকে (২৬) মোবাইল ফোনে সেখানে ডেকে আনে। আল আমিন ও ফাহিম ওই নারী শ্রমিককে তাদের (ফারুক ও শরীফ) কাছে হস্তান্তর করে চলে যায়। পরে ফারুক এবং শরীফও রাত ভর নৌকায় ওই নারী শ্রমিককে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরদিন ভোর সাড়ে ৪টার দিকে স্থানীয় সাওরাইত ঘাট এলাকায় ধর্ষিতা ওই নারীকে নৌকা থেকে নামিয়ে দিয়ে তারাও পালিয়ে যায়। পরে রিকশাযোগে সেখান থেকে ওই নারী স্থানীয় ধনবাড়ি এলাকায় তার বোনের বাড়ি ওঠে এবং ঘটনাটি খুলে বলে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে কালীগঞ্জ থানায় মামলা করেছে। মামলায় ওই চারজনকে আসামি করা হয়েছে। পরে পুলিশ মোক্তারপুর এলাকা থেকে ধর্ষক ফারুক ও শরীফকে গ্রেফতার করে। গাজীপুর আদালতের ইন্সপেক্টর মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশদিনের রিমান্ড চেয়ে শুক্রবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের গাজীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারজানা খানমের আদালতে হাজির করে। শুনানি শেষে আদালত তাদের প্রত্যেককে ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
×