ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শব-ই-বরাত ও রোজা সামনে রেখে ছোলা পেঁয়াজ ডালের দাম বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ৩০ মে ২০১৫

শব-ই-বরাত ও রোজা সামনে রেখে ছোলা পেঁয়াজ ডালের দাম বেড়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শব-ই-বরাত ও রোজা সামনে রেখে বেড়ে গেছে ছোলা, পেঁয়াজ ও ডালের দাম। দাম বাড়তির তালিকায় রসুন, মাছ এবং গরুর মাংসও রয়েছে। তবে বাজারে সরবরাহ বাড়ায় দেদার বিক্রি হচ্ছে আম, জাম, কাঁঠালসহ বিভিন্ন ধরনের মৌসুমী ফল। কয়েকটি সবজির দাম বাড়লেও অধিকাংশের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। স্থিতিশীল রয়েছে চাল, চিনি এবং ভোজ্যতেলের দাম। এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে দেশী ও ভারতীয় পেঁয়াজ এবং রসুন কেজিপ্রতি ৪-৫ টাকা বেড়েছে। আদার দামও কেজিতে বেড়েছে প্রায় ১০ টাকা। বাজারভেদে দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫২ টাকায়, ভারতীয়টি ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশী রসুন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়, ভারতীয় রসুন ৫ টাকা বেড়ে ১১০-১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া একদানা রসুন ১৮০ টাকা এবং আদা প্রতিকেজি ১০ টাকা বেড়ে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দাম বেড়ে কেজিপ্রতি দেশী মসুর ডাল ১২৫, মোটা দানার মসুর ডাল ৯৫-১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কেজিপ্রতি মুগ ১২০ এবং ছোলা ৬৫-৭০, এ্যাংকর ডাল ৫০, খেসারি ৫৫, মাসকলাই ১২০ ও বেসন ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর কাপ্তান বাজার, কাওরান বাজার, যাত্রাবাড়ী এবং মালিবাগ বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। কাপ্তান বাজারের জামশেদ স্টোরের ম্যানেজার গনি মিয়া বলেন, শব-ই-বরাত ও রোজার মাস সামনে রেখে ছোলা, পেঁয়াজ এবং ডালের দাম বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে চাহিদা বাড়ায় এসব পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, শব-ই-রাতের দিন হালুয়া-রুটির জন্য ছোলার ডাল এবং আতব চালের বেশি প্রয়োজন হয়। এছাড়া ওইদিন পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ধরনের মসলার চাহিদাও থাকবে। এ কারণে দাম বেড়ে যাচ্ছে। এছাড়া রোজা শুরু হতে যাচ্ছে। ওই সময়টাতে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বাড়বে আর তাই এখনই দাম বেড়ে যাচ্ছে। রোজার মাস সামনে রেখে পাইকারি বাজারে বেশি দরে পণ্য কিনতে হচ্ছে। রাজধানীর মালিবাগ বাজারে আসা খলিল মিয়া নামের এক ক্রেতা বলেন, রোজার মাস এলেই পণ্যের সরবরাহের অজুহাত দাঁড় করায় ব্যবসায়ীরা। সরকারের পক্ষ থেকে এ সময়ে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে না এমন প্রতিশ্রুতি থাকলেও শক্তিশালী মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় দর বেড়ে যাচ্ছে। এর জন্য বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা আরও জোরদার করা দরকার বলে মনে করেন তিনি। শুক্রবার কাঁচাবাজারে প্রতিটি চালকুমড়া ২৫-৩০ টাকা, লাউ ৩০-৪০ টাকা, প্রতিকেজি করলা ৪০, কাঁচামরিচ ৪০, কাকরোল ৫০, মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০, ঢেঁড়স ৩৫-৩৬, পটল ৪০, চিচিঙ্গা ৪০, পেঁপে ৫০, বরবটি ৪০-৪৫, কচুর লতি ৪০-৪৫, ঝিঙ্গা ৪০ এবং কাঁচাকলা প্রতিহালি ২৫-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
×