ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নারী ও শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ৩০ মে ২০১৫

নারী ও শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সারাদেশে নারী ও শিশু ধর্ষণকারীদের গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম ও বাংলাদেশ গারো ছ্ত্রা সংগঠন (বাগাছাস)। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ ও গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানায় সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম। বাগাছাস আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব বলেন, বাংলাদেশে যেন আর ধর্ষণের ঘটনা না ঘটে সেজন্য ধর্ষকদের প্রকাশ্যে ফায়ারিং স্কোয়াডে দেয়া উচিত। এখন ডিজিটালের নামে ধর্ষণ হচ্ছে। বছরে ১৮ হাজার নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। ওইদিন গারো তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার। স্বাধীনতার পরও এমন ঘটনা ঘটবে জানলে মুক্তিযদ্ধে যেতাম না। তিনি আরো বলেন, ঘরে-বাইরে কোথাও নিরাপত্তা নেই। মানুষ যাবে কোথায়? আজকের রাজনীতি গণমুখী ও কল্যাণমুখী না হওয়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। আমরা চাই মানবতন্ত্র, মানবতন্ত্র না হলে গণতন্ত্র হবে না। গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী বলেন, রাষ্ট্র-সরকার-দল একাকার হয়ে গেছে। সরকারের ‘স্বৈরতন্ত্র’ আর বিএনপির রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের কারণে আজকে রাষ্ট্রের এ করুণ অবস্থা। বাগাছাস’র সভাপতি সুবিদ রুখোর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জোতির্ময় বড়ুয়াসহ দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতারা। অন্যদিকে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় অধিকাংশ নারীই মামলা করতে পারেন না। ঢাকায় আদিবাসী নারী ধর্ষিত হওয়ার পরে তিনটি থানা ঘুরে তাকে মামলা করতে হয়েছে। সামাজিক বাধা পেরিয়ে এত সাহস নিয়ে যারা মামলা করেন, তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিচার পান না। ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয় না বা গ্রেফতার হলেও অর্থ ও ক্ষমতার কারণে ধর্ষক ছাড়া পেয়ে যায়। তারা বলেন, দেশে ধর্ষিত নারীর বিচার পাওয়ার হার শতকরা ১ ভাগেরও কম। বিচারের দীর্ঘসূত্রতা এর অন্যতম কারণ। মানববন্ধনে ধর্ষকদের দ্রুত বিচার সম্পন্ন, সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত এবং রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে ধর্ষিত নারীদের পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয়। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি রওশন আরা রুশোর সভাপতিত্বে এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী শম্পা বসু, নারী নেত্রী অ্যাডভোকে খাদিজা বেগম, রুখশানা আফরোজ আশা, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অলীক মৃ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ইডেন কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক মুক্তা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক প্রীতিলতা প্রমুখ।
×