ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঐতিহ্য সংরক্ষণ

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ৩০ মে ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

ঐতিহ্য ধ্বংসের হাত থেকে ঢাকা মহানগরীকে বাঁচাতে দুই মেয়র এগিয়ে আসবেনÑ এমন প্রত্যাশা স্বাভাবিক। তাদের সহায়তার জন্য সহস্র নাগরিক কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন। বিশ্বের পুরনো শহরগুলোর মধ্যে ঢাকার একটি আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। ৪০০ বছরের প্রাচীন শহরটির মোগল যুগে রাজধানী হিসেবে যাত্রা শুরু হয়েছিল। এখন স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী হিসেবে নিজের গৌরবকে প্রকাশ করে আসছে। স্থাপত্য ছাড়াও শিল্প-সংস্কৃতির দিক থেকে ঢাকা এক অনন্য বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। তাই এই শহরের সেই সব বহুমুখী ঐতিহ্য রক্ষার জন্য এখনই বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। মোগল ও ব্রিটিশ শাসকরা তাদের প্রশাসনিক কাজকর্ম এবং বসবাসের জন্যও তৈরি করেছিল নানা রকম ভবন। বয়সের হিসেবে মাত্র ৪০০ বছরের বা তার বেশি কিছু হলেও স্থাপত্যগত বৈশিষ্ট্যের বিচারে এই শহর বিশ্বের অনেক প্রাচীন শহরের পাশাপাশি দাঁড়াতে পারে। একদিকে যেমন বিদেশী শাসকদের উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে পাশ্চাত্য স্থাপত্য ধারার প্রাসাদবাড়ি, অন্যদিকে দেশীয় জমিদাররাও তৈরি করেছেন বসবাসের প্রাসাদ, মন্দির, মসজিদ, বাগান ইত্যাদির মতো স্থাপত্য। অতুলনীয় সৌন্দর্যের নানা রকমের ভবন এই শহরকে সুন্দরের নগরীতে পরিণত করেছিল। দুর্ভাগ্য ঢাকার সে গৌরব এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ সামলাতে পরিকল্পনাহীন এই শহরের যত্রতত্র বহুতল বাড়ি তৈরির প্রবণতা শুরু হয়েছিল আশির দশক থেকে। আরও জমি জায়গার প্রয়োজনে সম্প্রতি তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রাচীন ঐতিহ্যসম্পন্ন বাড়ি ভেঙ্গে ফেলা। নগরবাসীর বাসস্থানের চাহিদা মেটাতে নির্বিচারে প্রাচীন স্থাপত্য নষ্ট করে ফেললে আখেরে যে এই নগরীরই ক্ষতি হবে সে কথা কারও অজানা নয়। নগরীর ঐতিহ্য সংরক্ষণে নির্বাচিত দুই মেয়র তাঁদের আন্তরিকতা বজায় রাখবেন এমন আশা আমরা ঢাকাবাসীরা প্রত্যাশা করি। এলমা ওয়াজেদ বাবর রোড, মোহাম্মদপুর ঢাকা। স্কুল সার্ভিস বাস চাই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে যানবাহনের ভাড়া। বিশেষত রিক্সা ভাড়া। আজ যে পথটুকু অতিক্রম করলেন ২০ টাকায় কালকে হয়ত ২২-২৫ টাকা গুনতে হবে এ পথটুকুর জন্য। রোদ, বৃষ্টি, সকাল, দুপুর রাতের দোহাই দিয়ে বাড়তি ভাড়া আদায়ের প্রবণতা লক্ষণীয়। আর এ রিক্সা হলো নিম্ন মধ্যবিত্ত-মধ্যবিত্তের একমাত্র বাহন। বিশেষত পড়ুয়াদের নিয়ে সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়তে হয় নিম্ন মধ্যবিত্ত আর মধ্যবিত্তের আয়ের অভিভাবকদের। নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের প্রতিদিন বর্ধিষ্ণুহারে বাড়তি টাকা গুনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আর নিরাপত্তার কথাটা তো আছেই। অবস্থাটা এমন যেন ‘মাথা ঢাকে তো হাঁটু উদাম-হাঁটু ঢাকে তো মাথা উদাম।’ তাই বলছিলাম সড়ক পরিবহনে বাংলাদেশের অহংকার বিআরটিসি। বিআরটিসি সায়েদাবাদ থেকে বিশ্বরোড হয়ে, অতীশ দীপঙ্কর সড়ক ধরে সিদ্ধেশ্বরী হয়ে এমন একটি রুট বের করে সেক্ষত্রে শিক্ষার্থীদের বিশেষ উপকার হয়। এতে যাত্রা হবে নিরাপদ। অভিভাবকরা কিছুটা হলেও থাকবে নিশ্চিন্ত আর হবে আর্থিক সাশ্রয়। আশা করি বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ এই অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের এ সুবিধা প্রদানে আন্তরিকতার পরিচয় দিয়ে এগিয়ে আসবে। পার্থ সারথি উত্তর মুগদাপাড়া, ঢাকা। মেরামত প্রয়োজন আমরা রাজধানী ঢাকা মহনগরীর সবুজবাগ থানার শেষ প্রান্তে বাইকদিয়া ও মানিকদিয়ার বাসিন্দা। কিছুদিন আগেও আমরা ডেমরা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের অধীন আমুলিয়ার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত নির্দেশে আমুলিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আধুনিক সুবিধা সংবলিত হাজী এম এ গফুর সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। জানুয়ারি-২০১৪ থেকে বিদ্যালয়টি চালু হয়েছে। সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সুবিধা নিতে ৫/৭ কিলোমিটার দূর-দূরান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়ে শিক্ষা লাভের সুযোগ নিচ্ছে। ইতোমধ্যে আমুলিয়ায় গড়ে উঠেছে গ্রীনল্যান্ড পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং গ্রীনল্যান্ড ব্রিটিশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, মাত্র ১ কিলোমিটার দূরত্বের ব্যবধানে থেকে আমাদের ছেলেমেয়েরা উক্ত সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বাইকদিয়া-আমুলিয়া রাস্তাটির দূরত্ব ৯৫০ মিটার, সামান্য বর্ষাতেই যা পানিতে তলিয়ে যায়। রাস্তাটির সঙ্গে আমাদের কবরস্থানটি যুক্ত থাকা সত্ত্বে¡ও আমরা প্রিয়জনদের কবর জিয়ারত করতে পারি না। আমুলিয়া থেকে মুহূর্তের মধ্যে বাংলাদেশের যে কোন প্রান্তে যোগাযোগ সম্ভব। উন্নয়নের সুবিধার্থে কয়েক বছর আগে আমাদের আলাদা ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও থানায় রূপান্তর করা হয়েছে। অথচ উন্নয়নের বেড়াজালে আমরা আজ পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছি। নিয়তির এমনই পরিহাস যে, শুধু ৯৫০ মিটার রাস্তাটি বাস্তবায়নের অভাবে আমাদের সন্তানরা আজ অতি নিকটবর্তী সরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা লাভ থেকে বঞ্চিত। কারিগরি এমনি কি উন্নত শিক্ষা লাভের কোন ধরনের সুযোগ তারা পাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর প্রতি আমাদের অনুরোধ অবিলম্বে বাইকদিয়া-আমুলিয়া ৯৫০ মিটার রাস্তাটি প্রশস্ত, উঁঁচু ও কার্পেটিং করে। এই এলাকার শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষদের পাশে এসে দাঁড়ান। মোঃ শাহাবউদ্দিন মিয়া বাইকদিয়া-মানিকদিয়া গ্রামবাসীর পক্ষে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও সমালোচক আবুল ফজলের উক্তি দিয়ে শুরু করছি। তিনি বলেছিলেন, ‘জাতীয় সংবাদপত্র জাতির কণ্ঠস্বর, সে কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করে দেয়া মানে জাতিকে বোকা বানিয়ে দেয়া।’ গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করার অধিকার প্রাপ্তির লক্ষ্যে জাতিসংঘ প্রতিবছর বিশ্ব স্বাধীন গণমাধ্যম দিবস উদযাপন করা হয়। আমাদের দেশেও সাংবিধানিকভাবে ১৯৭৬ সালের আদেশ নং ৩ মোতাবেক ৩৮ ধারার উপধারা (১) (২) এ/বি-তে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে, ‘প্রত্যেক নাগরিকের চিন্তা, বিবেকের স্বাধীনতা এবং কথা বলার স্বাধীনতার নিশ্চয়তা বিধান করা হয়েছে।’ কিন্তু ২১ শতকের এই অবাধ তথ্য প্রবাহের সময় এসে আধুনিক রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভটি প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে। একটি রাষ্ট্রে যখনই নির্বাহী বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগের অর্থাৎ রাষ্ট্রের মূল তিনটি বিভাগের মধ্যে সমন্বয়হীনতার অভাব পরিলক্ষিত হয় তখন স্বাভাবিকভাবেই রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ অর্থাৎ গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে নড়বড়ে করে তোলে, যা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার জন্য কখনই মঙ্গলের হয় না বরং যা শাসক শ্রেণীর মধ্যে এক ধরনের একনায়কতান্ত্রিক মনোভাবের সৃষ্টি করতে পারে। সদ্যপ্রয়াত নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক ও সাংবাদিক গার্সিয়া মার্কেস বলেছেন, ‘সাংবাদিকতা পৃথিবীর সেরা একটি পেশা’। অথচ সত্যিকারার্থে বলতে গেলে উল্লিখিত সেরা পেশাটি বর্তমানে পৃথিবীর বুকে সেরা ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় পরিণত হয়েছে। রাজু আহমেদ ঢাকা।
×