ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আপনারা ভুল করে থাকলে ইতিহাস ক্ষমা করবে না ॥ খালেদাকে উদ্দেশ করে বি. চৌধুরী

প্রকাশিত: ০৮:৫৬, ২৯ মে ২০১৫

আপনারা ভুল করে থাকলে ইতিহাস ক্ষমা করবে না ॥  খালেদাকে উদ্দেশ করে বি. চৌধুরী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি এখন জিয়ার আদর্শে নেই মন্তব্য করে বিকল্প ধারার সভাপতি অধ্যাপক ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, দলকে এগিয়ে নিতে হলে আগে আত্মসমালোচনার মাধ্যমে নিজেদের ভুলত্রুটি সংশোধন করতে হবে। খালেদা জিয়াসহ দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আমি যদি কোন ভুল করে থাকি তাহলে ক্ষমা করে দেবেন। আর আপনারা যদি কোন ভুল করে থাকেন তাহলে ইতিহাস আপনাদের ক্ষমা করবে না। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জিয়াউর রহমানের ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দর্শক সারিতে উপস্থিত ছিলেন। বি. চৌধুরী বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তিকে পুনরায় সংগঠিত হতে হবে। এ জন্য জিয়াউর রহমানের আদর্শ ধারণ করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কারণ, জিয়াউর রহমানই জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রাণ। আমি যেখানেই থাকি, জিয়াউর রহমানের আদর্শ বিশ্বাস করি, তার আদর্শ লালন করি। আর যারা জিয়ার আদর্শ ধারণ করে তাদের সন্দেহের চোখে দেখলে হবে না। তাদের বিশ্বাস করতে হবে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, শওকত মাহমুদ, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ ইব্রাহিম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মোস্তাহিদুর রহমান, পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা তাহমিদা বেগম প্রমুখ। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশে গণতন্ত্র না থাকলে উগ্রবাদ ও জঙ্গীবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। দেশের স্বাধীনতা থাকবে না। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হয় তিনি নাকি রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলেন। তিনি নাকি সামরিক আইন জারি করেছিলেন। সামরিক আইন জিয়া নন আওয়ামী লীগ নেতা খন্দকার মোশতাক জারি করেছিলেন। ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর ২০ দলীয় জোটের কোন প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে বলেন, জোট করে কোন লাভ হবে না। যারা জোটে আছেন তারা বিএনপিতে চলে আসেন। জোট নেতাদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনাদের আওয়ামী লীগ নেবে না, আপনারাও যাবেন না। তিনি বলেন, যে সব নির্বাচনী এলাকায় জোটের শীর্ষ নেতারা আছেন সেসব এলাকার বিএনপির নেতারা দলে নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। এতে বিএনপির ক্ষতি হচ্ছে। সমঝোতার ভিত্তিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ বলেন, বিএনপি নামধারী কিছু দালাল আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিশে প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন করেছে। তারা প্রেসক্লাব দখল করেছে। অথচ এ প্রেসক্লাবের জায়গা ও ভবন করে দিয়েছেন জিয়াউর রহমান। বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরের জোট ছেড়ে বিএনপিতে যোগদানের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ইব্রাহিম বলেন, ৬৬ বছর বয়স হয়ে গেছে এখন নিজ দল ছেড়ে বিএনপিতে যেতে পারব না। ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে বলেন, খালেদা জিয়াকে তেল মারা বন্ধ করুন। খালেদা জিয়াকে সামনে পেলেই অনেকে অনেক রকমের বক্তব্য দিয়ে মুগ্ধ করতে চান। এ সব প্রবণতা বাদ দিয়ে যথাসময়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারি অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচী ঘোষণার পর রাজপথে ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ বিএনপির কাউকেই দেখা যায়নি। আপনারা মামলার ভয় করেন। রাজনীতি করলে মামলা খেতে হবে। তাই বলে আত্মগোপনে থাকলে বাঁচতে পারবেন না। আত্মগোপনে থাকলে শেখ হাসিনা আপনাদের ইঁদুরের গর্তে ঢুকিয়ে দেবে।
×