ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আনচেলত্তির ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন ক্যাসিয়াস

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ২৯ মে ২০১৫

আনচেলত্তির ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন ক্যাসিয়াস

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত মৌসুমটা দুর্দান্ত কেটেছে রিয়াল মাদ্রিদের। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগসহ চার শিরোপা জয়ের স্বাদ পায় তারা। কিন্তু ২০১৪/১৫ মৌসুমে একেবারেই নিষ্প্রভ ছিল স্প্যানিশ ক্লাবটি। তার ফল হিসেবেই অভিজ্ঞ কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে বরখাস্ত করে রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়ালের মতো চলতি মৌসুমে নিষ্প্রভ ছিলেন দলের সেরা গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াসও। যে সব বল মিস করেছেন তিনি, তা তার নামের পাশেই বেমানান। তবে চোট আর দিয়েগো লোপেজও ক্যাসিয়াসের নিষ্প্রভতার জন্য দায়ী। তবে তাদের সঙ্গে সদ্য বরখাস্ত হওয়া কোচ কার্লো আনচেলত্তিকেও কাঠগড়ায় তুললেন ৩৪ বছর বয়সী রিয়ালের গোলরক্ষক ক্যাসিয়াস। রিয়ালের স্প্যানিশ গোলরক্ষক ক্যাসিয়াস জানান, কার্লো আনচেলত্তির সঙ্গে তিক্ততার সম্পর্ক ছিল তার। তাই মনের ক্ষোভে ইকার ক্যাসিয়াস বলেন, ‘কার্লো তো আমাকে এই মৌসুমে সেভাবে খেলানোর সুযোগই দিল না। গত বছরও আমাকে খেলার সুযোগ দেয়নি। এর জন্য আমি ওনার উপর যথেষ্ট ক্ষুব্ধ। মানুষ হিসেবে কার্লো অসাধারণ। আমি ওনার ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। মাদ্রিদেও সবসময় তিনি ঘরের মানুষ হয়েই থাকবেন। কিন্তু কোন কারণে ওনার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভাল ছিল না। আসলে আমাদের ক্লাব সবসময় সেরাটাই চায়। মূলত এ কারণেই আনচেলত্তিকে চলে যেতে হলো। প্রেসিডেন্ট ও বোর্ড ক্লাবের ভালর জন্য সেরা সিদ্ধান্তটাই নেবে।’ নব্বইয়ের দশকে রিয়াল মাদ্রিদের যুব একাডেমির ফুটবলার হিসেবে যাত্রা শুরু করেন ক্যাসিয়াস। এরপর আর কখনই পেছনের দিকে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। স্প্যানিশ গোলরক্ষক প্রিয় ক্লাবেই থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এ বিষয়ে ইকার ক্যাসিয়াস বলেন, ‘আমি পরের মৌসুমেও এখানে থাকতে চাই। রিয়ালকে ছাড়া নিজেকে ভাবতে পারি না। আমার ক্যারিয়ার এখানে থেকেই শেষ করতে চাই। আমি আগের চেয়ে নিজেকে অনেক ভাল অনুভব করছি। আগামী মৌসুমে নিজের সেরাটা দেয়াই আমার চ্যালেঞ্জ।’ সর্বকালের সেরা মিডফিল্ডার জাভি স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত সপ্তাহেই শৈশবের ক্লাব বার্সিলোনাকে বিদায় বলেছেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার জাভি হার্নান্দেজ। চলতি মৌসুম শেষ করেই কাতারের ক্লাব আল সাদে যোগ দেবেন তিনি। এর ফলে কাতালান ক্লাবটিতে আরও দুটি ম্যাচে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন ৩৫ বছর বয়সী এই তারকা ফুটবলার। আর প্রিয় সতীর্থের ভূয়সী প্রশংসায় মেতেছেন ডেভিড ভিয়া। তার মতে জাভির মতে, বিশ্বফুটবলের সেরা মিডফিল্ডার জাভি। আর তার সঙ্গে খেলতে পারাটা যে কারও জন্যই অনেক গর্বের এবং আনন্দের। এ বিষয়ে সাবেক বার্সিলোনার এই তারকা স্ট্রাইকার বলেন, ‘ব্যক্তি হিসেবে তার সম্পর্কে জানতে পারাটা আমার কাছে অনেক আনন্দের। তার সতীর্থ হিসেবে বার্সিলোনায় একই সঙ্গে খেলতে পারাটাও আমার জন্য অনেক গর্বের।’ ২০১০ সালে লা লিগার ক্লাব ভ্যালেন্সিয়া ছেড়ে বার্সিলোনায় যোগ দিয়েছিলেন ডেভিড ভিয়া। এরপর তিন বছর কাতালান ক্লাবটিতে জাভি-ইনিয়েস্তাদের সঙ্গে খেলার সুযোগ পান তিনি। এই সময়টা বার্সিলোনার জার্সিতে তার দুর্দান্ত কেটেছে। এই সময়ে বার্সিলোনার হয়ে আট শিরোপা জয়ের স্বাদ পান তিনি। যার মধ্যে রয়েছে দুটি লা লিগা এবং একটি চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শিরোপাও। অন্যদিকে বলতে গেলে ফুটবল ক্যারিয়ারের পুরো সময়টাই বার্সাতে কাটিয়ে দিয়েছেন জাভি। ১৭ বছর বার্সার জার্সিতে খেলেছেন তিনি। এই সময়ের মধ্যে নিজেকে গড়েছেন দারুণভাবে। জিতেছেন ২৩ শিরোপা। আর স্পেনের জার্সিতে পেয়েছেন ইউরো-বিশ্বকাপ-ইউরো জয়ের অবিস্মরণীয় তৃপ্তি। আর সতেরো বছরের ক্যারিয়ার জাভিকে নিয়ে গেছে বিশ্বের সেরা মিডফিল্ডারের তালিকায়। ডেভিড ভিয়া বলছেন সে কথাই। এ বিষয়ে স্পেনের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা ভিয়া বলেন, ‘সে আমাদের লীগ, স্প্যানিশ এমনকি জাতীয় দলের হয়ে খেলেছে। তার সঙ্গে খেলতে পারাটা সকলের জন্যই বেশ সম্মানের। সে সর্বকালের সেরা মিডফিল্ডার।’
×