ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নিউইয়র্ক মিশন শুরু করতে মুখিয়ে আছেন ল্যাম্পার্ড

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ২৯ মে ২০১৫

নিউইয়র্ক মিশন শুরু করতে মুখিয়ে আছেন ল্যাম্পার্ড

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের পুরো সময়ই খেলেছেন ইংল্যান্ডে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের মায়া ছেড়ে কোথাও যাননি। সেই ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড নিউইয়র্কে নতুন ইনিংস শুরুর জন্য মুখিয়ে আছেন। সদ্যই ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ইংলিশ অধ্যায় শেষ করা তারকা এই মিডফিল্ডার দ্রুতই যোগ দিতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর সকার লীগের দল নিউইয়র্ক সিটিতে। ভাগ্যের নিষ্ঠুর পরিহাসই বলতে হবে। স্টামফোর্ড ব্রিজে কাটিয়েছেন টানা ১৩ বছর। ২০০১ থেকে ২০১৪ সাল। প্রাণের সেই ক্লাব ছেড়ে ২০১৪-১৫ মৌসুমে ল্যাম্পার্ড নাম লেখান নিউইয়র্ক সিটিতে। সেখান থেকে আবার ধারে এবারের মৌসুমে খেললেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের দল ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে। গত রবিবার এই সিটির হয়ে এক বছরের মায়া ত্যাগ করেছেন ৩৬ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। সাউদাম্পটনের বিরুদ্ধে খেলেছেন ক্যারিয়ারে ইপিএলের শেষ ম্যাচ। এটি ছিল ইপিএলে ল্যাম্পার্ডের ৬০৯তম ম্যাচ। ম্যানসিটিকে চ্যাম্পিয়ন করাতে না পারলেও রানার্সআপ করাতে অনন্য ভূমিকা রাখেন ল্যাম্পার্ড। শেষ ম্যাচেও জাদু ছড়ান। সাউদাম্পটনের বিরুদ্ধে সিটির ২-০ গোলের জয়ী ম্যাচে প্রথম গোল করেন সাবেক ইংলিশ তারকা। বিদায়টা তাই সুখকরই হয়েছে ল্যাম্পার্ডের। মজার বিষয় হচ্ছে, নিউইয়র্ক সিটিতে নাম লেখানোর পরপরই তিনি সিটিতে ধারে খেলতে আসেন। যে কারণে নতুন ক্লাবের হয়ে এখনও একটি ম্যাচও খেলেননি। ম্যানসিটির হয়ে ধারে খেলা শেষ হওয়ায় এখন নিউইয়র্ক সিটির হয়ে নতুন মিশন শুরুর অপেক্ষায় আছেন তিনি। এক সাক্ষাতকারে ল্যাম্পার্ড জানিয়েছেন, নতুন জীবন শুরু করতে তার তর সইছে না। বিদায়বেলায়ও নিজেকে রাঙ্গান ল্যাম্পার্ড। শেষ ম্যাচেও করেন গোল। যা তার ক্লাব ম্যাচে সবমিলিয়ে ৮৮২ ম্যাচে ২৫৯তম গোল। নিউইয়র্ক সিটির মেজর সকার লীগে যোগ দেয়ার আগে তাই দারুণ একটি সমাপ্তি টানতে সক্ষম হয়েছেন চেলসি ও ইংল্যান্ড জাতীয় দলের সাবেক এই মিডফিল্ডার। ম্যাচ শেষে বিদায়ী অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। ল্যাম্পার্ড বলেন, এটি একটি আবেগঘন মুহূর্ত হলেও এই মুহূর্তটির জন্য আমি গর্ববোধ করছি। এখানে আবেগ আপ্লুত ও দুঃখ বোধ করার মতো অনেক কিছু থাকলেও আমি কিছুটা স্বস্তিও বোধ করছি। ম্যাচটি ভাল হয়েছে। আমি একটি গোল করতে পেরেছি। ক্লাব আমাকে যেভাবে সমাপ্তি টানার সুযোগ দিয়েছে, দর্শকরা যেভাবে আমার প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করেছে এরচেয়ে বেশি কিছু পাওয়ার নেই আমার। এরপরই নিপাট ভদ্রলোক হিসেবে খ্যাত ল্যাম্পার্ড নয়া মিশন সম্পর্কে কথা বলেন। এ প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, আমি যে দেশের বাইরে যাচ্ছি। আমি বলব এটিও আমার জন্য অনেক সন্তুষ্টির বিষয়। আমি এখনও শারীরিকভাবে ফিট অনুভব করছি। আমি মনে করি আরও কয়েক বছর খেলা চালিয়ে যেতে পারব। সম্ভবত প্রিমিয়ার লীগে আমার যা দেয়ার দিয়েছি। এখন ইচ্ছে আমেরিকায় খেলার। এটিই এখন আমার নতুন চ্যালেঞ্জ। আমি এখন বেশ সুস্থবোধ করছি। সেখানে খেলার জন্য প্রস্তুত। শুধু ম্যাচ খেলার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য আমি সেখানে যাচ্ছি না। আমি ভাল কিছু করার জন্য সেখানে যেতে চাই। একটা সময় ছিল চেলসি আর ল্যাম্পার্ড ছিলেন পরিপূরক। কিন্তু গত মৌসুমে দ্য ব্লুজদের কোচ পদে জোশে মরিনহো আসার পর ল্যাম্পার্ডের অবস্থান দলে নড়বড়ে হতে থাকে। যে কারণে তিনি ঠিকানা পরিবর্তন করেন। যোগ দেন নিউইয়র্ক সিটিতে। সেখান থেকে আবার ধারে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেন। তবে তার ওই যোগ দেয়াটা এতই সফলতার মুখ দেখেছিল যে সিটিজেনরা তার যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবের সঙ্গে একটি চুক্তির মাধ্যমে ধারের খেলোয়াড় হিসেবে ল্যাম্পার্ডকে দলভুক্ত করেন। চুক্তি মোতাবেক ২০১৪-১৫ মৌসুমের শেষ অবদি ইংলিশ লীগে খেলার কথা ছিল তার। কিন্তু চুক্তির পর সিটি কোচ ম্যানুয়েল পেলিগ্রিনি নিয়মিত একাদশে না রাখায় হতাশা হয়ে পড়েন ল্যাম্পার্ড। যে কারণে চুক্তির মেয়াদ আর বাড়েনি, তাই তো পাড়ি দিতে হচ্ছে মার্কিন মুল্লুকে।
×