ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বার কাউন্সিল নির্বাচন ১৩ আগস্ট, ১২ জুলাইর মধ্যে ভোটার তালিকা

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ২৯ মে ২০১৫

বার কাউন্সিল নির্বাচন ১৩ আগস্ট, ১২ জুলাইর মধ্যে ভোটার তালিকা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ১৩ আগস্ট বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আপীল শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আপীল বিভাগ এ আদেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে ১২ জুলাইয়ের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ প্রদান করেছেন। আদেশে আপীল বিভাগ বলেছেন, ১২ জুলাইয়ের মধ্যে বার কাউন্সিলের ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে। পদাধিকারবলে বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, এ্যাটর্র্নি জেনারেল ও কাউন্সিলের সচিবকে এই ভোটার তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর আগে আপীল বিভাগ রবিবার এ বিষয়ে আদেশের জন্য চারটি পৃথক আবেদনের শুনানি শেষ করে বৃহস্পতিবার আদেশের জন্য দিন ঠিক করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমির-উল ইসলাম, এ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, এ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। গত সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেন বার কাউন্সিলের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সচিব আলতাব হোসেন ও প্রার্থীদের পক্ষে আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। এদিকে সাদা প্যানেল নিযুক্ত আইনজীবী আদালতে বলেন, বার কাউন্সিলের সচিব একজন সিটিং জজ। তিনি জেলা জজ হিসেবে ভোটার তালিকা সংশোধন করতে পারেন কিনা। আদালত থেকে ভোটার লিস্ট তৈরিতে কমিটি গঠনের জন্য নাম দেয়ার কথা বললে, সাদা প্যানেল থেকে ব্যারিস্টার তানিয়া আমির ও সৈয়দ রেজাউর রহমানের নাম প্রস্তাব করেন। অন্যদিকে নীল প্যানেলের আইনজীবী এ্যাটর্নি জেনারেলের নাম প্রস্তাব করেন। আদালত এ্যাটর্নি জেনারেলকে প্রধান করে এক সদস্য হিসেবে কমিটি গঠনের আদেশ দেন। নিল প্যানেল থেকে এ্যাটর্নি জেনারেলের নাম প্রস্তাব করায় সাদা প্যানেল থেকে ব্যারিস্টার রোকনুদ্দিন মাহমুদ বলেন, এ বিষয়টি আদালতে নথিভুক্ত থাকুক যে এ্যাটর্নি জেনারেলের নাম নীল প্যানেল থেকে এসেছে। প্রধান বিচারপতি তাতে সম্মতি প্রদান করেন। গত ২৫ মার্চ বার কাউন্সিল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ও ৯ এপ্রিল ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে ভোটার সংখ্যা দেখানো হয় ৪৮ হাজার ৪৬৫ জন। ২০ মে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে ভোটার তালিকায় ত্রুটি ও একই নাম একাধিকবার থাকার অভিযোগ জানিয়ে কাউন্সিলের নির্বাচিত পাঁচ সদস্য এবং ১০১ জন আইনজীবী ২৯ এপ্রিল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সচিবকে চিঠি দেন। এতে অভিযোগ করা হয়, আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হলেও কাউন্সিল নিজস্ব নথির সাহায্য না নিয়ে আইনজীবী সমিতিগুলোর পাঠানো সদস্য তালিকা ধরেই ভোটার তালিকা তৈরি করেছে। ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ১২ মে কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এ্যাটর্র্নি জেনারেল বিশেষ সভা ডাকেন, যাতে নির্বাচন সাত দিন পিছিয়ে ২৭ মে করা হয় এবং ভোটার তালিকা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়। ভোটার তালিকা সংশোধন করে করা হয়েছে ৪৭ হাজার ২৪। বার কাউন্সিলের ৭টি সাধারণ আসনে ৩২ জন ও ৭টি গ্রুপ আসনে ২৯ জনসহ মোট ৬১ এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। বার কাউন্সিলের সনদপ্রাপ্ত আইনজীবীগণ জেনারেল আসনে ৭ জন এবং ৭টি গ্রুপ আসনে প্রত্যেকটির এলাকার লোকাল আইনজীবী সমিতির সদস্যগণের মধ্য থেকে একজন করে ৭ জনকে নির্বাচিত করবেন। বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির ভবন, দেশের সকল জেলা সদরে দেওয়ানী আদালত প্রাঙ্গণে একটি করে ভোট কেন্দ্র থাকবে। এ ছাড়া বাজিতপুর, ঈশ্বরগঞ্জ, দুর্গাপুর, ভাঙ্গা, চিকন্দি, পটিয়া, সাতকানিয়া, ফটিকছড়ি, সন্দ্বীপ, হাতিয়া, নবীনগর ও পাইকগাছায়সহ ৭৭টি কেন্দ্রে ভোট প্রদান করা যাবে। এ গ্রুপের মধ্যে রয়েছে বৃহত্তর ঢাকা জেলার সকল লোকাল আইনজীবী সমিতি, গ্রুপ বিতে বৃহত্তর ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও ফরিদপুর জেলার অন্তর্গত সকল লোকাল আইনজীবী সমিতি, সি গ্রুপে বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলা, ডি গ্রুপে বৃহত্তর কুমিল্লা ও সিলেট জেলা, ই গ্রুপে বৃহত্তর খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী জেলা, এফ গ্রুপে বৃহত্তর রাজশাহী, যশোর ও কুষ্টিয়া এবং এফ গ্রুপে বৃহত্তর দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া ও পাবনা জেলার অন্তর্গত সকল লোকান আইনজীবী সমিতির। এদিকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের বাইরে ঐক্যবদ্ধ আইনজীবী সমাজ নামে আরেকটি প্যানেল দেয়া হয়েছে। নির্বাচনে সাধারণ আসনে ৩২ জন, গ্রুপ অনুযায়ী গ্রুপ-এ আসনে ৪ জন, গ্রুপ-বি আসনে ৩ জন, গ্রুপ-সি আসনে ৩ জন, গ্রুপ-ডি আসনে ৫ জন, গ্রুপ-ই আসনে ৩ জন, গ্রুপ-এফ আসনে ৪ জন এবং গ্রুপ-জি আসনে ৭ জন প্রার্থী রয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সমন্বয় পরিষদের প্যানেলে রয়েছেন এম আমীর-উল-ইসলাম, আব্দুল বাসেত মজুমদার, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, আব্দুল মতিন খসরু, পরিমল চন্দ্র গুহ, জেড আই খান পান্না, শ.ম রেজাউল করিম। গ্রুপ অনুযায়ী রয়েছেন গ্রুপ এ ঢাকা আসনে কাজী মোঃ নজিবুল্লাহ হিরু, গ্রুপ বি আসনে আলহাজ এইচ আর জাহিদ আনোয়ার, গ্রুপ সি আসনে মোঃ ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী, গ্রুপ ডি আসনে সরোয়ার আহম্মেদ চৌধুরী আবদাল, গ্রুপ ই আসনে পারভেজ আলম খান, গ্রুপ এফ আসনে মোঃ ইয়াহিয়া ও গ্রুপ জি আসনে মোঃ রেজাউল করিম। অন্যদিকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল রয়েছেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, এজে মোহাম্মদ আলী, এএম মাহবুব উদ্দিন (খোকন), মোঃ সানা উল্লাহ মিয়া, মোঃ বদরুদ্দোজা (বাদল), আলহাজ মোঃ বোরহান উদ্দিন, মোঃ মহসিন মিয়া, গ্রুপ এ আসনে রয়েছেন গোলাম মোস্তফা খান, বি আসনে মোহাম্মদ আব্দুল বাকী মিয়া, সি আসনে কবির চৌধুরী, ডি আসনে মোঃ কাইমুল হক, ই আসনে আব্দুল মালেক, এফ আসনে মোঃ ইসহাক ও জি আসনে একে এম হাফিজুর রহমান। ঐক্যবদ্ধ আইনজীবী সমাজের প্যানেলে রয়েছেন সুব্রত চৌধুরী, শাহ মোঃ খসরুজ্জামান, একেএম জগুলল হায়দার আফরিক, সরওয়ার-ই-দীন, মোঃ হেলাল উদ্দিন, আব্দুল মোমেন চৌধুরী, মোঃ জহিরুল ইসরাম, গ্রুপ অনুযয়াী আসনে রয়েছেন এ আসনে এস এম আলতাফ হোসেন, বি আসনে নজরুল ইসলাম খান, সি আসনে আব্দুর রহমান জাহাঙ্গীর, ডি আসনে শান্তিপদ ঘোষন, ই আসনে আব্দুল আজিজ, এফ আসনে ডি এম বারী ও জি আসনে এটিএম এনামুল হক। এই তিনটি প্যানেলের বাইরে আরা যারা আছেন তাদের মধ্যে সাধারণ আসনে রয়েছেন আলহাজ মোঃ ইস্রাফিল, ড. মোঃ ইউনুস আলী আকন্দ, নাসির উদ্দিন আহম্মেদ (অসীম), মোঃ আবুল কালাম আজাদ, মোঃ আবুল হোসেন, মোঃ এনামুল কবির হাওলাদার, মোঃ দেলোয়ার হোসেন মল্লিক, মোঃ মাহবুব মিয়া, মোঃ শওকত হায়াত, মোঃ সামছুল হক, সুলতান এ সবুর। গ্রুফ আসনে রয়েছেন এ আসনে সায়মা খান, ডি আসনে মাছুদ সালাউদ্দিন, মোঃ আখতার বকস জাহাঙ্গীর, এফ আসনে মোঃ মাহাবুবুল হক জোয়াদ্দার, জি আসনে মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বুলু, মোঃ রফিকুল ইসলাম সরকার, মোঃ শহীদুল্লাহ বিশ্বাস হেলাল, শাকিল মোঃ শরিফুল হায়দার।
×