ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভূমিকম্পপরবর্তী দুর্যোগ

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ২৮ মে ২০১৫

ভূমিকম্পপরবর্তী দুর্যোগ

ভূমিকম্প হলে কখন কী করা লাগবে সে সম্পর্কে ধারণা নেই বেশিরভাগ জনগণের। আমাদের সমাজে প্রচলিত একটি ধারণা রয়েছে তা হলো, ভূমিকম্প হলে তড়াহুড়ো করে বাইরে বেরিয়ে আসা। এটি সব এলাকা বা জায়গার জন্য প্রযোজ্য নয়। ভূমিকম্পের জন্য প্রয়োজন ভূমিকম্পপূর্ববর্তী জনসচেতনতা। এটা যেমন জরুরী, ঠিক এরচেয়ে বেশি জরুরী প্রস্ততি। যখন নড়ে ওঠে তখন সবার টনক নড়ে। কিন্তু নড়া শেষ হলে সবাই ভুলে যায় কেন নড়ে উঠেছিল এবং এর আগে আমার কী করা উচিত ছিল। সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হলো রাজধানীর বেশিরভাগ মানুষই জানেন না ভূমিকম্পপূর্ববর্তী এবং পরবর্তী প্রস্তুতির কথা। ‘রানা প্লাজা’ একটি ট্র্যাজেডির নাম। রানা প্লাজা ধসে পড়ার বিষয়টি সকলেই অবগত রয়েছেন। এটা ছিল মানবসৃষ্ট দুর্যোগ। এই মানবসৃষ্ট দুর্যোগকে সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছে সরকারের প্রতিটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠানকে। কিন্তু বড় মাত্রায় ভূমিকম্প হলে তো ১-২টা ভবন ধসে পড়বে না; শত শত ভবন ধসে পড়বে। সে পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফায়ার ব্রিগেড কতটা কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারবে তা বুঝে ওঠা কষ্টসাধ্য। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে এ রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করার মতো কতটুকু প্রস্তুতি রয়েছে তা নেপালের পরিস্থিতি দেখলেই অনুমান করা যায়। বিগত দিনগুলোতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করতে গিয়ে নানা রকম বেগ পোহাতে হয়েছে। ভূমিকম্পের ভয়াবহতা প্রকট। এ সম্পর্কে যদি দেশবাসীকে এখনই সচেতন করে না তোলা যায় তবে ভবিষ্যতে বড় রকমের দুর্যোগ সৃষ্টি হতে পারে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইতোমধ্যে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিলেও বাস্তবে এ রকম পদক্ষেপ কতটুকু কার্যকরী তা বুঝে ওঠা কষ্টকর। কারণ রাজধানী ঢাকায় এক ভবনের পরে আরেক ভবন দাঁড়িয়ে আছে। হাঁটাচলার মতো জায়গা না রেখেই অপরিকল্পিত নগরায়ন চলছে। ভূমিকম্প হলে সবার প্রথমে ফায়ার ব্র্রিগেড উদ্ধার অভিযান শুরু করবে। কিন্তু ফায়ার ব্রিগেড কি সময়মত দুর্যোগপূর্ণ এলকায় পৌঁছতে পারবে? এ রকম অপরিকল্পিত নগরায়নের কারণে ভূমিকম্পপরবর্তী দুর্যোগ সামাল দিতে অবশ্যই ফায়ার ব্রিগেড ও অন্যান্য সংস্থাকে বেগ পোহাতে হবে। তাই, এ সংস্থাগুলোকে অতিসত্বর আধুনিকায়ন করে গড়ে তোলা জরুরী। ঢাকা কলেজ থেকে
×