ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দেশে বিদ্যমান কিছু আইন সংশোধন করা দরকার ॥ প্রধান বিচারপতি

প্রকাশিত: ০৭:১১, ২৭ মে ২০১৫

দেশে বিদ্যমান কিছু আইন সংশোধন করা দরকার ॥ প্রধান  বিচারপতি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, বাংলাদেশে বিদ্যমান কিছু আইন সংশোধন করা প্রয়োজন। এসব আইনের মধ্যে ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের কিছু ধারা নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে অত্যন্ত যুগোপযোগী। কিন্তু এই সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ (৪) ধারা নারীর সম্ভ্রমের প্রতি চরম অবমাননা। এই বিধানের ক্ষমতাবলে কোন যৌন হয়রানির মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত নারীকে চরিত্রহীনা বলে আখ্যায়িত করার চেষ্টা করে আসামিপক্ষ। এজন্য সাক্ষ্য আইন সংশোধনের মোক্ষম সময় এখন। মঙ্গলবার সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে ‘নারীর প্রতি সহিংসতা যুগান্তকারী রায় : বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান (২য় খ-)’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করার অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আপীল বিভাগের বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি ইমান আলী, সুপ্রীমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আমীর-উল-ইসলাম ও এ্যাডভোকেট সিগমা হুদা। বইটির সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন এ্যাডভোকেট ফৌজিয়া করিম। প্রধান বিচারপতি বলেন, প্রকাশ্য আদালতে যৌন হয়রানির শিকার কোন নারীর চরিত্র নিয়ে জেরা করা ঠিক নয়। কিন্তু ধর্ষণের শিকার মহিলাকে সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ (৪) ধারাবলে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেন আসামিপক্ষের কৌঁসুলিরা। এই জেরার উদ্দেশ্য ক্ষতিগ্রস্ত নারীকে দুশ্চরিত্রা প্রমাণিত করা। তাই ওই বিধানটি কালো, বিধানটি ঔপনিবেশিক ধ্যান-ধারণার। তাই সাক্ষ্য আইন সংশোধনের জন্য নারী নির্যাতন নিয়ে কাজ করছে এমন সংগঠনকে আরও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান প্রধান বিচারপতি। সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, বইটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতের দেয়া যৌন হয়রানি সংক্রান্ত রায় সন্নিবেশিত করা হয়েছে। বইটি সম্পূর্ণ ইংরেজীতে হওয়ায় গ্রামীণ নারীরা এর মর্মার্থ বুঝতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ জন্য তিনি বইটি বাংলায় অনুবাদ করার পরামর্শ দেন।
×