ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বরিশালে তিন ব্রিজ ভেঙ্গে পড়ার তিন বছর

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ২৭ মে ২০১৫

বরিশালে তিন ব্রিজ ভেঙ্গে পড়ার তিন বছর

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ জেলার সদর উপজেলার চরকাউয়ার বাইলাখারী, আগৈলঝাড়ার জোবারপাড় ও গৌরনদীর সরিকল হাটের জনগুরুত্বপূর্ণ তিনটি ব্রিজ ভেঙ্গে পড়ার তিনবছর পরেও সংস্কার কিংবা পুনর্নির্মাণ করা হয়নি। ফলে ওইসব এলাকার স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার বাসিন্দাকে প্রতিদিন যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিষয়টি দেখার কেউ নেই। সূত্রমতে, চরকাউয়া ইউনিয়নের বাইলাখারী খালের উপরের ব্রিজটি তিন বছর পূর্বে ভেঙ্গে পড়ায় প্রতিদিনই খালের দু’পার্শ্বের দুইটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণকে পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহাবুব হোসেন জানান, বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে কলাগাছের ভেলায় শিক্ষার্থীরা ও স্থানীয় বাসিন্দারা পারাপার হতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। তিনি আরও জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ ব্রিজটি পুনর্নির্মাণের জন্য একাধিকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত আবেদন করেও কোন সুফল মেলেনি। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুর রউফ মিয়া বলেন, চেয়ারম্যানদের কাছে খবর পেয়ে আমি নিজেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের দুর্ভোগ লাঘবে সত্বরই ব্রিজটি পুনর্নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আগৈলঝাড়া-পয়সারহাট খালের জোবারপাড় বাজার সংলগ্ন ব্রিজটি তিন বছর থেকে ভেঙ্গে পড়ে যানবাহনসহ জনসাধারণের চলাচল বন্ধ হয়ে রয়েছে। ব্রিজটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহনসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও জনসাধারণ চলাচল করতেন। ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে সংস্কার কিংবা পুনর্নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় প্রতিদিনই স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বাগধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্টি জানান, জেলা পরিষদ থেকে ১০ বছর পূর্বে ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। তিনি আরও জানান, ব্রিজ নির্মাণের শুরুতেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করায় ব্রিজটি ধসে পড়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের জানিয়েও কোন সুফল হয়নি। সরিকল-আগরপুর খালের সরিকল হাটের মধ্যকার ব্যস্ততম ব্রিজের গোড়ার একটি অংশ গত সাড়ে তিন বছর পূর্বে ধসে পড়ে। ধসে পড়া অংশে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় যাতায়াত করলেও বিষয়টি দেখার কেউ নেই। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসেন মিলন বলেন, ওই ব্রিজটি দিয়ে প্রতিদিন সরিকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় শত শত বাসিন্দা পারাপার হতে গিয়ে বিকল্প বাঁশের সেতুতে দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। ব্রিজটি সংস্কারের জন্য একাধিকবার উপজেলা উন্নয়ন সভায় উপস্থাপন করেও কোন প্রতিকার মেলেনি। চরকাউয়া, জোবারপাড় ও সরিকল হাটের তিনটি ব্রিজ ভেঙ্গে পড়ার বিষয়ে জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা বলেন, ব্রিজ সংস্কার ও পুনর্নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে বরাদ্দ চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রেরণ করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে।
×