ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা

জমা বা উত্তোলন ১০ লাখ টাকা হলেই রিপোর্ট দিতে হবে

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ২৭ মে ২০১৫

জমা বা উত্তোলন ১০ লাখ টাকা হলেই রিপোর্ট দিতে হবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে নিবিড় পর্যবেক্ষণের সুবিধার্থে একটি নির্দিষ্ট হিসাবে এক দিনে এক বা একাধিক লেনদেনের মাধ্যমে জমা বা উত্তোলনের পরিমাণ ১০ লাখ টাকা বা তার বেশি হলেই বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছে লেনদেনের এ রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইইউ জারিকৃত এক সার্কুলারে দেশে কার্যরত সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠনকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আগামী ১ জুন থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর করা হবে এবং আগামী জুলাই মাস থেকেই রিপোর্ট প্রদান করতে হবে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ১০ লাখ টাকা বা তার বেশি একটি একটি হিসাব থেকে লেনদেন হলে তার রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্ব-স্ব কেন্দ্রীয় পরিপালন ইউনিটের মাধ্যমে বিএফআইইউ বরাবর নগদ লেনদেন রিপোর্ট হিসেবে দাখিল করবে। এরূপ বিবরণী মাসিক ভিত্তিতে প্রদান করতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রতিমাসে নগদ লেনদেন রিপোর্ট পরবর্তী মাসের ২১ তারিখের ওয়েবের মাধ্যমে বিএফআইইউ-এর নিকট দাখিল করতে হবে। সংশ্লিষ্ট মাসে রিপোর্টযোগ্য নগদ লেনদেন সংগঠিত না হলেÑ ‘নগদ লেনদেন রিপোর্টযোগ্য কোন লেনদেন নেই’ মর্মে প্রত্যয়ন পত্রের মাধ্যমে জানাতে হবে। দাখিলকৃত এসব রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে রিপোর্ট জমা দেয়ার পরবর্তী ৫ বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে হবে। তবে সরকারী হিসাব, সরকারী মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান, আধাসরকারী বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসাবে নগদ জমার ক্ষেত্রে নগদ লেনদেন রিপোর্ট জমা দিয়ে না হলেও উত্তোলনের ক্ষেত্রে তা যথানিয়মে দাখিল করতে হবে। নগদ লেনদেন রিপোর্টিং পূর্বে প্রবর্তিত সন্দেহজনক লেনদেন রিপোর্টি থেকে আলাদা বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে বলা হয়েছে, কোন হিসেবে নগদ লেনদেন রিপোর্টযোগ্য সকল লেনদেন সম্পাদিত হলেই তা সন্দেহজনক লেনদেন হিসেবে বিবেচিত হবে না। তবে কেন্দ্রীয় পরিপালন ইউনিট সকল লেনদেন পর্যালোচনা করে দরকার হলে সন্দেহজনক লেনদেন রিপোর্ট হিসেবে পৃথক রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
×