ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

গত পাঁচ দিনের সর্বশেষ ঘটনা ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে নার্স হয়রানি ;###;আর পাঁচ মাসে সারাদেশে যৌন সন্ত্রাসের ঘটনা ২১১

অপরাধের ঘটনা বাড়ছে, ধরা পড়ছে না যৌন নিপীড়ক

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ২৭ মে ২০১৫

অপরাধের ঘটনা বাড়ছে, ধরা পড়ছে না যৌন নিপীড়ক

আজাদ সুলায়মান ॥ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কুড়িলে রাস্তা থেকে মাইক্রোবাসে তুলে গারো তরুণীকে গণধর্ষণ। শুক্রবার যাত্রাবাড়ীতে এক তরুণীকে বাসায় আটকে রেখে নির্যাতন। শনিবার রাতে খিলগাঁও থেকে চলন্ত ট্রাকের মধ্যে স্বামীকে জুস খাইয়ে অজ্ঞানের পর স্ত্রীকে ধর্ষণ শেষে গাজীপুরের রাস্তায় ফেলে দেয়া হয়। রবিবার সন্ধ্যায় সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে স্নাতকোত্তর শ্রেণীর ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে জুতোপেটা করা। একই রাতে মাদারীপুরের শিবচরের বন্দরখোলা গ্রামের লম্পট ভাসুরের নেৃতৃত্বে গণধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ। সর্বশেষ মঙ্গলবার ইবনে সিনা হাসপাতালেও একজন নার্সকে যৌন হয়রানির ঘটনায় তোলপাড় চলছে। গত পরশু রাতে রাজধানীর কল্যাণপুরের ইবনে সিনা হাসপাতালে এক নিরাপত্তাকর্মী নার্সদের রুমে গিয়ে একজন নার্সের ওড়না ধরে টান দেয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে সেখানকার নার্সরা দু’ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয়ার পর নার্সরা কাজে যোগ দেন। এটি গত পাঁচদিনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের চিত্র। এভাবে যদি মাসের পর মাসের পরিসংখ্যান নেয়া যায়, তাহলে গত জানুয়ারি থেকে চলতি মাস পর্যন্ত পাঁচ মাসে রাজধানীসহ দেশব্যাপী এ জাতীয় ধর্ষণ ও যৌনসন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে ২১১টি। তার মধ্যে শুধু ধর্ষণই ঘটেছে ১৫৯টি। বাকিগুলো ধষর্ণের চেষ্টা, হামলা, আটকে নির্যাতন রাখা ও লাঞ্ছিত করা। সবচেয়ে বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে, এ সময়ে এ জাতীয় অপরাধে কৌশলগত পরিবর্তন এসেছে যা আরও উদ্বেগের। রাজপথে চলন্ত গাড়িতে গণধর্ষণ শেষে ছুড়ে ফেলা দিল্লীর সেই মেয়েটির কথাই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। এখানকার ধর্ষকরাও যে দিল্লীর সেই লোমহর্ষক পথেই হাঁটছে। দিন-রাত ধারাবাহিকভাবে একই স্টাইলে এ জাতীয় যৌনসন্ত্রাসের ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক নেমে এসেছে কর্মজীবী নারী ও ছাত্রী-শিক্ষিকা ও গৃহবধূদের মাঝে। শুধু যে রাতের আঁধারে নির্জন রাস্তায় নারীর সম্ভ্রমই লুট করা হচ্ছেÑ তা নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো মুক্তচিন্তার নিরাপদ পরিবেশেও উচ্চ শিক্ষার্থী নারীও নিরাপদবোধ করতে পারছেন না। শাহজালালে রবিবার সন্ধ্যায় সতীর্থদের সঙ্গে স্বাভাবিক আড্ডাতে হানা দেয় ছাত্রলীগের এমন এক দুর্ধর্ষ ক্যাডার, রিফাত আদনান পাপন বার বার এ জাতীয় অপরাধের দরুন বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। তার হামলা থেকে পরে অন্যান্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা উদ্ধার করে মেয়েটিকে। তাকেও টেনে-হিঁচড়ে নির্জনে নিয়ে সম্ভ্রমহানির আশঙ্কা ছিল। এ ঘটনার পর এখনও পাপনকে আটক করেনি পুলিশ। আকস্মিক এ ধরনের যৌনসন্ত্রাসের দৌরাত্ম্যে সর্বত্র উদ্বেগ নেমে এলেও পুলিশ হাঁটছে সেই পুরানো পথেই। বলছেও একই কথা। পুলিশের বিশ্লেষণে এতটুকু পরিবর্তন ঘটেনি। সেই চিরাচরিত ভাষায় পুলিশ বলছে, ‘এসব বিছিন্ন ঘটনা। মাঝে মাঝে এ জাতীয় অপরাধ একত্রে ঘটে বলে মনে হয়- হঠাৎ বেড়ে গেছে।’ পুলিশের এ বিশ্লেষণকে ভ্রান্তিকর ও দায় এড়ানোর কৌশল উল্লেখ করে অপরাধী বিজ্ঞানীরা বলছেন- এ জাতীয় অপরাধ আগেও ঘটত। এখন তার কলেবর বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রকাশও পাচ্ছে ব্যাপকহারে। এজন্য দায়ী অনেকগুলো ফ্যাক্টর। সমাজে এখন চলছে যুগসন্ধিক্ষণ। একটা বিশেষ অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় উত্তরণ ঘটছে। দেশ যত উন্নতির দিকে যাবে ততই এ জাতীয় অপরাধও বাড়বে। কিন্তু সমতালে তার প্রতিকার না করা গেলে সামনের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবার আশঙ্কা থেকে যায়। এজন্যই অপরাধীরা অপরাধ করে শাস্তির মুখোমুখি হবে তো দূরের কথা-ধরাই তো পড়ছে না। ধরা পড়লেও ত্রুটিপূর্ণ বিচার পদ্ধতি ও পুলিশের ন্যায় নিষ্টা আন্তরিকতা ও দক্ষতার অভাবে অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। গত পাঁচদিনের ঘটনাগুলোর সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে অনুসন্ধানে দেখা যায়, এসব ধর্ষণ ঘটনার নায়করা সবাই ধরাছোঁয়ার বাইরে। প্রতিটি ঘটনায় তোলপাড় হলেও ধর্ষকদের ধরার ক্ষেত্রে পুলিশ চরমভাবে ব্যর্থ। আর অপরাধীরা ধরা না পড়ায় অন্যরা উৎসাহিত হয়ে একই কায়দায় একই কর্ম করছে। এসব ঘটনায় আরও সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে- নারী যে শুধু রাস্তায় চলার পথেই সতীত্ব হারাচ্ছে তা নয়। রাতের নিজের ঘরে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন অবস্থাতেও প্রতিবেশী লম্পটদের কাছে গণধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। মাদারীপুরের শিবচরের গায়ে যে গৃহবধূর গভীর রাতে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি ভাবতেও পারেননি চাচাত এক ভাসুরের নেতৃত্বে তার ওপর চালানো হবে গণধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ। ধর্ষণ করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি সেই ভাসুর, উল্টো হুমকি দিয়ে গেছে এ ঘটনা কাউকে ফাঁস করা হলে পরিনাম ভয়াবহ হবে। গৃহবধূ এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হলেও পুলিশ কাউকে আটক করেনি। সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্রীকে প্রকাশ্যে জুতোপেটার পর আর ভয়ঙ্কর কিছু ঘটানোর চেষ্টার সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা না এলে পাপনের হাত থেকে তাকে রক্ষা সম্ভব ছিল না। ধর্ষণ শেষে গাজীপুরের তেলিপাড়া যে গৃহবধূকে ফেলে দেয়া হয় তার স্বামীও পাশেই বসা ছিলেন। এই দম্পতির বাড়ি জামালপুরেরর দেওয়ানগঞ্জে। তারা রাজধানীর খিলগাঁও এলাকা থেকে ট্রাকযোগে যাচ্ছিল নিজ গ্রামে। চালক তার পাশেই দুজনকে বসতে দেন। গাজীপুরের রাস্তা ধরে চলার সময় স্বামী আমিনুল ইসলামকে জুস খাইয়ে অজ্ঞান করে। তারপর তার স্ত্রীর ওপর সর্বস্ব কেড়ে নেয় লম্পট চালক। জয়দেবপুর চৌরাস্তার এক কিলোমিটাার উত্তরে তেলিপাড়ায় তাদের দুজনকেই ফেলে দিয়ে ট্রাক চলে যায় নির্বিঘেœ। এ ঘটনায় গাজীপুর থানায় একটি মামলা হলেও পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে একজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, এতে প্রমাণ হয় রাতে চলাচলকারী হাইওয়েতে মোতায়েনকৃত পুলিশের বিভিন্ন সদস্যরা কেউই নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট বা সচেতন নয়। এটাও একটা বড় ধরনের অপরাধ। যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে বের হয়ে কয়েক গজ সামনে গেলেই ভয়ানক বিপদে পড়বেন এমনটি কখনই কল্পনা করেননি বাইশ বছরের গারো তরুণী। তাকেও যেভাবে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে খিলক্ষেত বিমানবন্দরের মতো কর্মব্যস্ত সড়কের ওপর চলন্ত অবস্থায় পাঁচজন মিলে গণধর্ষণ করেছে তাও অবিশ্বাস্য। এ নিয়ে রাজধানীসহ দেশের সর্বত্র নারী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো ব্যাপক প্রতিবাদ বিক্ষোভে ফেটে পড়লেও পুলিশ এখন কাউকে আটক করতে পারেনি। ঘটনার ছয়দিন পরও ধর্ষকদের শনাক্তও করতে পারেনি। যদিও ভাটারা থানার পুলিশ বার বার দাবি করছে-তুষার নামে একজনকে শনাক্ত করা হচ্ছে। তাকে যে কোন সময় আটক করা হতে পারে। পুলিশের এই আশ্বাসের ওপর ভিকটিমসহ কোন মহলই আস্থা রাখতে পারছে না। এ নিয়ে হাইকোর্ট একটি রুল দেয়ার পরও তদন্তে কোন অগ্রগতি চোখে পড়ছে না। প্রশ্ন ওঠেছেÑ কেন হঠাৎ একই ধরনের অপরাধ ভয়ানক আকার ধারণ করল। এ নিয়ে পুলিশ ও অপরাধ বিজ্ঞানীরাও উদ্বিগ্ন। এ সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. জিয়া রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, যৌনসন্ত্রাস ও ধর্ষণের মতো অপরাধ আগেও ছিল। তখন এগুলো এত বেশি ফোকাস পেত না। এখন মিডিয়া এত বেশি স্ফীত হয়েছে, বিশেষ করে সামাজিক গণমাধ্যম এতটা শক্তিশালী হয়েছে, অজপাড়াগাঁয়ের রাতের আঁধারে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো মুহূর্তেই ওঠে আসছে। ফাঁস হয়ে যাচ্ছে সমাজপতি বা প্রভাবশালীদের অপকর্ম। ফলে তার প্রতিবাদ ও বিক্ষোভও ঘটছে একই হারে। দেশী-বিদেশী বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলো প্রতিক্রিয়ার বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে অনায়াসে। এজন্য এটা আতঙ্কে পরিণত হচ্ছে। এ জাতীয় অপরাধের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধির কারণ হলো-এনোমিক সিচুয়েশান। অর্থাৎ আমরা একটা যুগসন্ধিক্ষণের মধ্যে দিয়ে চলেছি। সমাজের এক অবস্থা থেকে আরেক অবস্থার মধ্যে প্রবেশ করছি। এখন মানুষের মাথাপিছু আয় বাড়ছে। অর্থনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির দরুন মানুষ অনায়াসে দেশী-বিদেশী সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের শিকার হচ্ছে। ঘরে ঘরে ডিশের মাধ্যমে আকাশ সংস্কৃতির প্রভাবে তরুণরা উদ্বেলিত। হিন্দী সিরিয়াল দেখে তরুণ তরুণীরাও আধুনিক ও সাহসী হয়ে উঠছে। মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে কর্মক্ষেত্রেরও প্রসার ঘটছে। নারী এখন ঘর ছেড়ে জীবিকার টানে বহির্মুখী হচ্ছে। গার্মেন্টেস খাত বিশ্বের সমীহ জাগানো অবস্থায় আসায় কর্মজীবী নারীর আজ সর্বত্র বিচরণ। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির অভাবনীয় প্রসারের দরুন দেশে পর্নোগ্রাফির প্রভাব বাড়ছে। এখন তরুণ-তরুণী এমনকি বয়স্করাও অনায়াসে হাতের মুঠো পেয়ে যাচ্ছে বিশ্বের সবর্শেষ কেলেঙ্কারি ভিডিও। নিরাপদে নির্বিঘেœ যে কোন স্থানে বসে পর্নোগ্রাফি দেখে তারা ধর্ষকামী হয়ে উঠছে। বাংলাদেশে পর্নোগ্রাফির যত সহজলভ্যতা পৃথিবীর কোন দেশেই এমন সুযোগ নেই। আমেরিকার কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বসে ইচ্ছা করলেই কোন শিক্ষার্থী পর্নো নেটে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছে না। কেউ ইচ্ছে করলে প্রচুর টাকা খরচ করে ব্যক্তিগতভাবে পারে না। ড. জিয়া রহমান এ সঙ্কট সম্পর্কে আরও বলেন, দেশ এগিয়ে গেলেও এখানকার বিচার ও পুলিশী ব্যবস্থা রয়ে গেছে সেই মান্ধাতা আমলেরই। পুলিশের তদন্তের ধরন, অপরাধী ধরে দ্রুততম সময়ে তদন্ত করে চার্জশীট প্রদান করে বিচারব্যবস্থার মুখোমুখি করা এখনও অনেক জটিল। এ ক্ষেত্রে তেমন কোন অগ্রগতি ঘটেনি। এজন্য দরকার জনসচেনতা তৈরি পুলিশ ও জুডিসিয়াল সিস্টেমকে যুগোপযোগী করা। যেমন যুক্তরাষ্ট্রে কোন কালো নারীর ওপর যৌন নিপীড়ন করা হলে খুব তোলপাড় হয়। তখন সেটা বর্ণবাদবিরোধী আইনে দ্রুততম সময়ে কঠোর সাজা নিশ্চিত করা হয়। অপরাধীকে কিছুতেই ছাড় দেয়া হয় না। যে কারণে দেখা যায়, ইরাকে আমেরিকান যে সব সৈনিক নারীদের ওপর যৌন হয়রানি চালিয়েছে তাদেরও বিচার হয়েছে। মোট কথা অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার বিষয়টি যতদিন নিশ্চিত না করা যাবে ততদিন পর্যন্ত এ জাতীয় অপরাধ বেপরোয়া ঘটবে। তিনি এ ক্ষেত্রে গারো তরুণী ধর্ষণের উদাহরণ টেনে বলেন, আমেরিকা অন্য কোন দেশে হলে এ ঘটনা তাৎক্ষণিক চোখে পড়ার মতো একশন নেয়া হতো। কিন্তু এখানে তো কিছুই দেখা যাচ্ছে না। অথচ এটা কতটা বিপজ্জনক তা পুলিশেরও উপলব্ধি করা উচিত। একে তো সে গারো, আদিবাসী বা সংখ্যালঘু তার ওপর সে নারী। এটা ডাবল ডিসক্রিমিনেট। এ জাতীয় ঘটনা খুবই স্পর্শকাতর। কর্মক্ষেত্রে এ জাতীয় নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তো সংশ্লিষ্ট কোম্পানির। তাকে নিরাপদে কোম্পানির গাড়িতে রাতে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা নিশ্চিত করাটা বাধ্যতামূলক। বিদেশ হলে তো তাই হতো। একইভাবে গার্মেন্টসের নারী শ্রমিকদেরও নিরাপদে ঘরে ফেরার যানবাহন নিশ্চিত করা প্রতিটি মালিকেরই দায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর পুলিশের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আর কিছু না। ছেলে-পুলেরা ইয়াবা খেয়ে এ যাচ্ছেতাই করছে। ইয়াবা খেয়ে বাবা মারে ঐশী, গারো তুলে নেয় তুষার। এসব রাতারাতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। ওই মাইক্রোবাসের পাঁচ ধর্ষকই ছিল ইয়াবাসক্ত। তারা সেই রাতে ইয়াবা খেয়েই এমন অপ্রকৃতিস্থ হয়েছিল।
×