ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এনসিটিতে অপারেটর নিয়োগে অশুভ তৎপরতা

প্রকাশিত: ০৩:৪৮, ২৭ মে ২০১৫

এনসিটিতে অপারেটর নিয়োগে অশুভ তৎপরতা

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ দীর্ঘদিন ঝুলে থাকার পর অবশেষে শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালে (এনসিটি) অপারেটর নিয়োগের প্রক্রিয়া। এ জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ টেন্ডার আহ্বান করেছে। কিন্তু শর্তের বেড়াজাল এমনই যে, এতে অংশগ্রহণ করতে পারবে মাত্র একটি প্রতিষ্ঠান। ফলে এ দরপত্র প্রতিযোগিতামূলক হবে না এমনই অভিমত বন্দর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর। নিউমুরিং কন্টেনার টার্মিনালে অপারেটর নিয়োগের জন্য ইতোমধ্যেই টেন্ডার আহ্বান করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ৭ মে থেকে শুরু হয় সিডিউল বিক্রি। দরপত্র জমা দেয়া যাবে আগামী ১ জুন পর্যন্ত। কিন্তু দরপত্রে অংশগ্রহণকারীদের জন্য এমন দুটি শর্ত যুক্ত করা হয়েছে তাতে অংশগ্রহণে যোগ্য প্রতিষ্ঠান মাত্র একটি। ফলে এই দরপত্র আহ্বান কেবলই একটি অপারেটরকে বৈধতা প্রদানের নামান্তর বলে অভিযোগ উঠেছে। বন্দর সূত্রে জানা যায়, দরপত্রের অনেকগুলো শর্তের মধ্যে একটি হলোÑআবেদনকারীকে অবশ্যই টার্মিনাল অপারেশনের যোগ্যতা থাকতে হবে। অপর কঠিন শর্তটি হলো-আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের বছরে ন্যূনতম ৩৫ কোটি টাকার ব্যাংক লেনদেন থাকতে হবে। এই দুটি শর্ত এনসিটিতে অপারেটর নিয়োগের ক্ষেত্রে দরপত্রের প্রতিযোগিতাকে সীমিত করে দিতে পারে। কেননা, শুধুমাত্র একটি প্রতিষ্ঠানেরই রয়েছে এমন যোগ্যতা। এনসিটিতে অপারেটর নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় নির্দেশনা অনুযায়ী দরপত্রের শর্ত ঠিক করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় চায় এনসিটি পরিচালনার জন্য যোগ্যতা ও সামর্থ্যবান দক্ষ অপারেটর। এদিকে, শর্তাবলী পর্যালোচনায় দেখা যায়, এ প্রক্রিয়া অপারেটর নিয়োগ করা হলে শুধুমাত্র সুযোগ পাওয়ার মতো প্রতিষ্ঠান রয়েছে সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেড। কারণ কেবলমাত্র এ প্রতিষ্ঠানটিরই আছে টার্মিনাল অপারেশনের যোগ্যতা। বন্দরের সিসিটি (চিটাগাং কন্টেনার টার্মিনাল) পরিচালনা করে আসছে এ প্রতিষ্ঠান। এছাড়া এনসিটির দুটি জেটিও পরিচালনা করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। চট্টগ্রাম বন্দরে সাইফ পাওয়ার টেক ছাড়াও আরও ৬টি বার্থ অপারেটর প্রতিষ্ঠান থাকলেও এককভাবে বছরে ৩৫ কোটি টাকার লেনদেন অন্যকোন প্রতিষ্ঠানের নেই। ফলে সাইফ পাওয়ার টেককে বৈধভাবে কাজ পাইয়ে দেয়ার জন্যই টেন্ডার প্রক্রিয়া এমন শর্ত আরোপ করা হয়েছে বলে অভিযোগ চট্টগ্রাম বন্দরের অন্যতম বেসরকারী অপারেটরদের।
×