ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শেষ বেলায় সূচকের উর্ধগতিতে ভাটা

প্রকাশিত: ০৩:৪৬, ২৭ মে ২০১৫

শেষ বেলায় সূচকের উর্ধগতিতে ভাটা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শেষ পর্যন্ত পুঁজিবাজারে বড় ধরনের সূচকের উর্ধগতিতে কিছুটা ভাটা পড়েছে। সোমবার মূল্যসূচকের বড় ধরনের উলম্ফনে দিনের লেনদেন শেষ হওয়ার পর মঙ্গলবারও মূল্য সূচকের উত্থানে শুরু হয় দিনের লেনদেন। প্রথমে লেনদেন শুরুর পৌনে এক ঘণ্টায় দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক ডিএসইক্স বেড়ে যায় ৫৭ পয়েন্ট। কিন্তু দিন শেষে ডিএসইর সূচকে যোগ হয়েছে মাত্র ১২ পয়েন্ট। একইসঙ্গে লেনদেনও কিছুটা কমেছে। মূলত কিছু কোম্পানির মুনাফা তোলার কারণেই পুঁজিবাজারে ছন্দপতন ঘটেছে বলে বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শুরুতে সূচকের বড় ধরনের উর্ধগতির পরে সূচক কিছুটা কমতে থাকে। এভাবে সূচকের ওঠানামা শেষে বেলা ১টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত এ ধারা বজায় থাকায় আগের দিনের তুলনায় সূচক বেড়ে যায় ৪৮ পয়েন্ট। তবে বিনিয়োগকারীদের কিছুটা শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ার কারণে ডিএসই সূচক পৌঁছায় ৪ হাজার ৬২৭ পয়েন্টে। বাজার বিশ্লেষকরা জানান, গত কয়েকদিন ধরে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধির কারণে বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতা ছিল বাজারে। ফলে শেষদিকে বিক্রির চাপ বেড়ে যাওয়ায় উর্ধমুখী প্রবণতায় ছন্দপতন ঘটেছে। এটিকে বাজারের স্বাভাবিক আচরণ বলে মনে করছেন তারা। এদিকে দিনটিতে ডিএসইতে ৮০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। যদিও সোমবারের তুলনায় লেনদেন সামান্য কমেছে। মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ৮৩৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। মঙ্গলবার এর পরিমাণ ছিল ৮৫৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এদিকে সূচক বাড়লেও বেশিরভাগ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর কমেছে। হাতবদল হওয়া ৩১৫টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দিনশেষে দর বেড়েছে ১২৩টির, কমেছে ১৫৬টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির দর। মঙ্গলবারে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। দিনশেষে কোম্পানির ৬৮ কোটি ৩৭ লাখ ৮৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে থাকা এসিআই ফরমুলেশন্সের লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ৯৮ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। ২৯ কোটি ৩৩ লাখ ৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ ইউনাইটেড পাওয়ার। লেনদেনে এরপর রয়েছে যথাক্রমে- মবিল যমুনা, এসিআই, বেক্সিমকো, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড, সাইফ পাওয়ারটেক, বিএসআরএম লিমিটেড, আরএকে সিরামিকস। ডিএসইর দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : কেয়া কসমেটিকস, আল আরাফাহ ব্যাংক, এসিআই ফর্মুলেশন, আইসিবি ১ম এনআরবি, লঙ্কা বাংলা ফাইন্যান্স, এসিআই, ডেল্টা লাইফ, বিএসআরএম লিমিটেড ও নর্দান ইন্স্যুরেন্স। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো : মেঘনা কনডেন্স মিল্ক, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, ইস্টার্ন কেবলস, আনলিমা ইয়াং, ইউনিক হোটেল এ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেড, উত্তরা ব্যাংক, খুলনা প্রিন্টিং এ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড, রূপালী ব্যাংক, ন্যাশনাল ফিড মিলস লিমিটেড ও সুহৃদ ইন্ড্রাস্টিজ। দেশের অপর পুঁজিবাজার সব ধরনের সূচকই বেড়েছে। বেশিরভাগ কোম্পানির দর বাড়ার কারণে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সিএসইএক্স ৫২.৪৪ পয়েন্ট বেড়ে দিনশেষে ৮৭১২.৭২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সেখানে লেনদেন হয়েছে ৭৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৪টির, কমেছে ৯০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির দর।
×