ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মুন্সীগঞ্জে ১১ সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ২৬ মে ২০১৫

মুন্সীগঞ্জে ১১ সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ বিশৃঙ্খলাসহ নানা কারণে অভিযুক্ত মুন্সীগঞ্জের ১১ সংবাদকর্মীকে নিয়ে সোমবার জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। সভায় মাদকসেবী, বিশৃঙ্খল ও অপেশাদার ১১ সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে সর্বসম্মতিক্রমে নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হয়। জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জামাল হোসেন বলেন, সাংবাদিকতার মতো মহান পেশায় থেকে যারা মাদক সেবন ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তাদের এ পেশা মানায় না। এ বিষয়ে প্রেস কাউন্সিল, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, সাংবাদিকদের কাছে আমরা অনেক কিছু আশা করি। কিন্তু সাংবাদিকরাই যদি নীতিভ্রষ্ট হয়। তাহলে সমাজের ক্ষতি হয়। আওয়ামী লীগের আরেক সহ-সভাপতি শাহ আলম মল্লিক বলেন, সাংবাদিকরা নেশার সঙ্গে জড়িত থাকালে সমাজ গঠনে লেখালেখি করবে কারা? ‘চেতনায় একাত্তরে’র সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, হলুদ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ঘটনায় প্রকৃত সাংবাদিক এবং সমাজ উপকৃত হবে। মিরকাদিমের মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহিন বলেন, মিরকাদিমের পূর্ব পাড়ায় ও সিপাহীপাড়ায় মাদক ব্যবসা বেড়ে গেছে। সেখানে অবৈধ মোটরসাইকেলের উপস্থিতি বেড়েছে। মুন্সীগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রশিক্ষক মুফতি সারোয়ার হোসাইন বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। তাই মাদকসেবী, বিশৃঙ্খল ও অপেশাদার ১১ সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে এই সভায় নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করা উচিত। পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলোরও মফস্বলে সাংবাদিক নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন করলে অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে। আর প্রেস কাউন্সিল যে ১১ সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছে তারও সঠিক তদন্ত চলছে। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক বলেন, সাংবাদিকরা মুন্সীগঞ্জের উন্নয়ন, অগ্রগতি, প্রগ্রতি ও শান্তির স্বার্থে সুস্থ সাংবাদিকতা, সাংবাদিকদের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় জেলা প্রশাসনের ইতিবাচক ভূমিকা অব্যাহত থাকবে। আট দফা দাবিতে শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চবি সংবাদদাতা ॥ প্রস্তাবিত অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য বৈষম্যমূলক বেতন কাঠামোর প্রতিবাদে এবং স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর দাবিতে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে কর্মসূচী পালন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে সচিব কমিটি যে প্রস্তাব করেছে তা শিক্ষকদের উচ্ছ্বসিত হওয়ার পরিবর্তে হতাশায় নিমজ্জিত করেছে। সচিব কমিটি নিজেদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে এবং চরম স্বার্থপরতার পরিচয় দিয়ে যে প্রস্তাব করেছে তা চবি শিক্ষক সমিতি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।’ বক্তারা অনতিবিলম্বে চবি শিক্ষক সমিতির আট দফা দাবি মেনে নিতে প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যদের প্রতি জোর দাবি জানান। এ সময় মঙ্গলবার ও বুধবার কালোব্যাজ ধারণ কর্মসূচীও ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি দাবি আদায় না হলে লাগাতার ক্লাস পরীক্ষা বর্জন ও আমরণ অনশনসহ কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ার করা হয়। চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. কাজী এস এম খসরুল আলম কুদ্দুসীর সঞ্চালনায় ও সমিতির সভাপতি ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুরের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সহযোগী অধ্যাপক এবিএম আবু নোমান, অধ্যাপক ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপক বেনু কুমার দে, প্রভাষক মোঃ মোরশেদুল আলম প্রমুখ।
×