ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পুুঁজিবাজারে সূচক বাড়ল ৩ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ২৬ মে ২০১৫

পুুঁজিবাজারে সূচক বাড়ল ৩ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবারে দেশের উভয় পুঁজিবাজারে সূচকের বড় উর্ধমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি পর্র্যায়ের সব ধরনের বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন ছাড়িয়েছে সাড়ে ৮শ’ কোটি টাকা। বড় ও ছোট মূলধনী সব ধরনের কোম্পানির দর বাড়ার কারণে সেখানকার সব ধরনের সূচকই বেড়েছে প্রায় ৩ শতাংশ। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসইএক্স বেড়েছে ২০১ পয়েন্ট। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, আগামী বাজেট পুঁজিবাজারবান্ধব হচ্ছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বৈঠকে এমন আভাস দেয়ার পরেই বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে থাকে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক অস্থিরতা কমে যাওয়া এবং সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোর পরিপত্র জারির পরেই বাজারে লেনদেন বাড়তে থাকে। একই সঙ্গে আগামীতে শেয়ার দর আরও বাড়বে এমন আশাতেই বিনিয়োগকারীদের বড় একটি অংশ বাজারে সক্রিয় হয়ে উঠছেন। এটির কারণেই বাজারে সূচকের এই উল্লম্ফন দেখা গেছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দিনটিতে সার্ভারের কারিগরি ত্রুটির কারণে ডিএসইতে দিনের স্বাভাবিক লেনদেন আড়াই ঘণ্টা দেরিতে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে শুরু হয়। লেনদেন চলে বিকাল ৪টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত। লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪৯ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর টানা ঊর্ধ্বমুখীতার কারণে সাড়ে ১২টায় ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৫৯ পয়েন্ট, ১২টা ৪০ মিনিটে বাড়ে ৬৬ পয়েন্ট, ১২টা ৫০ মিনিটে বাড়ে ৬০ পয়েন্ট, দুপুর ১টায় বাড়ে ৭৩ পয়েন্ট, দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক আগের দিনের তুলনায় বাড়ে ৮৫ পয়েন্ট। দিন শেষে ডিএসইর সার্বিক সূচকটি মোট আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১৩০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৬১৫ পয়েন্ট। ব্লু চিপস বা ডিএসই-৩০ সূচকটি আগের দিনের চেয়ে মোট ৫৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৭৩৬ পয়েন্ট। এই সূচকটি বেড়েছে প্রায় ৩ দশমিক ২০ শতাংশ। সারাদিনে সূচকের বড় ধরনের উত্থানের দিনে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮৫৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৫০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৪৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির দাম। ডিএসইতে লেনদেনের ভিত্তিতে সেরা কোম্পানিগুলো হলো : খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, ইউনাইটেড পাওয়ার, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড, এএফসি অ্যাগ্রো, আরএকে সিরামিক, বেক্সিমকো, বারাকা পাওয়ার, সাইফ পাওয়ার, মবিল যমুনা বাংলাদেশ ও ইউনিক হোটেল। দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ৭ম আইসিবি, ফ্যামিলি টেক্স, বিএসআরএম লিমিটেড, পাওয়ার গ্রিড, এইচ আর টেক্সটাইল, বেক্সিমকো, অলটেক্স, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, জিবিবি পাওয়ার ও কেয়া কসমেটিক্স।
×