ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ২৬ মে ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

শিক্ষা বিনিয়োগের ক্ষেত্র! বিশ্বব্যাপী বড় বড় পুঁজিবাদী দেশগুলো গত শতাব্দীর ৯০ দশকের পর থেকে তীব্র বাজার সঙ্কটে পড়েছে। এ সঙ্কট থেকে বাঁচার অভিজ্ঞতায় পুঁজিপতিরা দেখছে, কারখানার বিনিয়োগ লোকসানের ঝুঁকি, শ্রমিক অসন্তোষসহ নানা সমস্যা। সে তুলনায় শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ অনেক দিক থেকে নিরাপদ। ফলে ব্যবসায়ীদের নিশ্চিত মুনাফার জন্য শিক্ষা এখন বিনিয়োগের বড় ক্ষেত্র। পুঁজিপতিরা শিক্ষাকে নিয়ে বাণিজ্য করে যাচ্ছে। কিন্তু সরকার, শিক্ষা মন্ত্রণালয় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে, যেটি সত্যিই হতাশাজনক। আবুল বাশার (মিরাজ) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। নওগাঁ টাউন হলের পুনর্গঠন নওগাঁ পৌরসভার একমাত্র টাউন হল দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর থেকে একেবারে সংস্কারহীন ও রক্ষণাবেক্ষণহীন হওয়ায় নওগাঁ পৌরবাসী বিষম ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে শিক্ষা, বিনোদন ও সাংস্কৃতিক চর্চা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছে। নিয়মমাফিক এ টাউন হলের ইমারত দুই বছর পর পর চুনকাম এবং রং মেরামতের কার্যক্রম চলার কথা থাকলেও তৎকালীন পৌর কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসনের অবহেলার কারণে তা হয়ে উঠেনি। এর ফলে রাজশাহী বিভাগীয় উন্নয়ন বোর্ডের মহতী উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়। আর দু’লক্ষাধিক পৌর নাগরিক অধিবাসী চিত্তবিনোদনের সুযোগ-সুবিধা ও জ্ঞান আহরণ থেকে বঞ্চিত হয়। এক্ষেত্রে সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্য রাখার কথা থাকলেও কোনটাই ফলপ্রসূ হয়নি, এই জন্য কেন একটা জনহিতকর প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের পথে নিমজ্জিত হলো এবং লক্ষাধিক নগরবাসী অধিকার বঞ্চিত হলো, তা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। নওগাঁ প্রধান সড়কের পাশে পার নওগাঁয়, প্রায় এক বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত নওগাঁ টাউন হল কেন উন্নয়নবঞ্চিত হয়ে এর নির্মাণ অবকাঠামো, সাজসজ্জা, অলঙ্কার, আসন ব্যবস্থা, দরজা কপাট, উচ্ছন্নে গেল; তা তদন্তের দাবি রাখে। এর ইমারত এমন কি ছাদের অবস্থাও নাজুক, মরিচা আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। এই জন্য সাধারণ মেরামতে টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। আর তা সম্ভব না হলে এতে নওগাঁ জেলাবাসী শিক্ষাদীক্ষা, জ্ঞান আলোচনা, মূল্যবান কীর্তি সংরক্ষণ, কৃষি, ক্রীড়া, শিল্প, স্বাস্থ্য, ইত্যাদি বিষয়ক পৃথক পৃথক পাঠাগার, সেমিনার কক্ষ বা হল গড়ে তোলা প্রয়োজন। এটাকে একটা বহুতল বিশিষ্ট বহুমুখী হল ও ইনস্টিটিউট রূপে গড়ে তোলা প্রয়োজন, যাতে শিক্ষার প্রতিটি বিষয়ে শিক্ষার্থী বা আগ্রহী নাগরিক সমাজ এখানে অধ্যয়ন, চর্চা, গবেষণা, অবলোকন করতে পারে। মোঃ রফিকুল ইসলাম এমএ স্বদেশ ভবন, পার নওগাঁ। প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও বার্তা বর্তমান বিশ্বে আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষ নিজ ঘরে বসে সারা পৃথিবী ঘুরে আসতে পারে। পৃথিবীর যে কোন রাষ্ট্র ভ্রমণ করতে পারে। পৃথিবীর আকাশে, বাতাসে, সমুদ্রে, পাহাড়ে, গুহায়, গ্রাম-গঞ্জে, প্রত্যন্ত অঞ্চল পরিভ্রমণ করতে পারে। প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশের আয়তন অনেক ছোট হয়ে মানুষের হাতের মুঠোর মধ্যে চলে এসেছে। রূপকথা মনে হলেও একথা সত্যি যে, দেশের প্রায় ৮০ হাজার গ্রামের জনগণ প্রতিমাসে ১০-১৫ দিন নিজ ঘরে বসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত লাভ করার সুযোগ পাচ্ছেন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রী একসঙ্গে কয়েকটি জেলার জেলা প্রশাসক, এসপি ও প্রতিটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের সরাসরি নির্দেশনা ও পরামর্শমূলক আহ্বান জানিয়ে জনগণের সেবা করার জন্য প্রতিটি এলাকা পরিদর্শন করার নির্দেশ দিচ্ছেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মানুষ ঘরে বসে টিভিতে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত লাভ করতে পারছে। এতে বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি অনুভব করতে পারছে তারা। গ্রাম পর্যায়ে প্রতিটি তহশিল অফিসে হাজার হাজার, লাখ লাখ টাকার দুর্নীতি, ভূমিদস্যু কর্তৃক গরিব কৃষকের সম্পত্তি দখল, বিদ্যুত অফিসে ব্যাপক দুর্নীতি ও হয়রানি, স্বাস্থ্যসেবায় দুর্নীতি, ভেজাল ওষুধ বিক্রি, খাল দখল, কৃষি জমি হ্রাস করা, সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য, ধর্মের নামে সাম্প্রদায়িকতার বিভেদ সৃষ্টি, জঙ্গীবাদের ঘাঁটি স্থাপন প্রভৃতি তথ্য এখন থেকে প্রশাসন সরাসরি জানতে পারবে এবং এ ব্যাপারে কার্যকর ভূমিকা গ্রহনে তৎপর হবে। এম আলী শ্রীনগর।
×