ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রোবট বিপ্লব

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ২৫ মে ২০১৫

রোবট বিপ্লব

কেবলমাত্র গবেষণাগারে বিজ্ঞানীদের কাজের জন্য রোবটের ব্যবহার সীমিত রাখতে চাইছেন অস্ট্রেলিয়ার বিশেষজ্ঞরা। ইউনিভার্সিটি অব টেকলোনলজি সিডনির (ইউটিএস) সম্প্রতি এমন অনেক রোবট আবিষ্কার করেছে যা দৈনন্দিন ঘর-গৃহস্থালি কাজে ব্যবহার করা যাবে। এই রোবট এখন ইউটিএসের ভূগর্ভস্থ গ্রন্থাগারটি নিয়ন্ত্রণ করছে। সবচেয়ে বড় রোবটটি উচ্চতায় সাড়ে চার ফুট। এর রয়েছে দুটি হাত ও দেহ কাঠামোটি বিভিন্ন কাজের উপযোগী করে তৈরি। রোবটটি মানুষের ডাকে সাড়া দিতে পারে। রয়েছে কর্মক্ষম একাধিক সেন্সর, দুটি ক্যামেরা এবং এমন দুটি চোখ যেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে রং পরিবর্তন করতে পারে। রোবট প্রকল্পটির প্রধান মেরি এ্যান উইলিয়ামস জানিয়েছেন, রোবটগুলো মেঝে থেকে জিনিসপত্র ওপরে উঠাতে সক্ষম। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মানুষের বিশ্বাস, অনুভূতি, মন, মেজাজের মতো সূক্ষ্ম বিষয়গুলো আঁচ করতে সমর্থ এ কম্পিউটারগুলো। মোট কথা, রোবটগুলো অনেকটা সামাজিক চরিত্রের। সম্ভাবনাময় হলেও রোবটগুলোর দাম আকাশছোঁয়া হওয়ায় সবাই এগুলো চাইলেই ব্যবহার করতে পারবে না। এগুলোর দাম প্রায় দেড় থেকে দু হাজার ডলারের মধ্যে। এর আগে জাপানের সনি কোম্পানি ১৯৯৯ সালে সাধারণ মানুষের ব্যবহার উপযোগী কুকুর আকৃতি আইবো রোবট বাজারে এনেছিল। কিন্তু অতি উচ্চমূল্যের কারণে ওগুলো খুব একটা জনপ্রিয় হয়নি। আইবো রোবট প্রকল্পের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন মেরি। ২০০৬ সালে ফরাসী রোবোটিক কোম্পানি এ্যালডেবারান তৈরি করে রোবট নেও। ওই রোবটগুলো মানুষের কন্ঠস্বর শনাক্ত করতে পারত। নেও আসার পর আইবো এবং রোবোকাপকে বিদায় নিতে হয়। সূত্র - সিডনি মর্নিং হেরাল্ড
×