প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইসরাইল এবং আমেরিকান ইহুদীদের সঙ্গে অস্বস্তিকর সম্পর্ক সহজ করার প্রচেষ্টা হিসেবে শুক্রবার একটি সিনাগগে (ইহুদীদের উপাসনালয়ে) ভাষণ দেন। তবে তাঁর এই বক্তব্য রাখার আরেকটি উদ্দেশ্য ছিল ‘সত্যনিষ্ঠভাবে কথা বলার দায়িত্ব’ থেকে দেশটিকে সতর্ক করে দেয়া যে, ইসরাইলী নীতি দীর্ঘমেয়াদী শান্তির প্রত্যাশাকে বিপন্ন করে তুলছে। খবর টেলিগ্রাফের।
সাদা ইয়ারমুক (ইহুদীদের মাথায় পরা সাদা গোলটুপি) পরিহিত ওবামা ওয়াশিংটনের এডাস ইসরাইল টেম্পলে বক্তৃতাকালে ইরানের সঙ্গে তাঁর পরমাণু আলোচনায় বিচলিত ইহুদী সমাজকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন এবং ইসরাইলকে প্রতিশ্রুতি দেন যে, আমেরিকা তার পেছনে আছে।’ তবে, প্রেসিডেন্ট সতর্কও করে দেন যে, তিনি ‘কঠিন প্রশ্নগুলো এড়িয়ে’ যাবেন না এবং ইসরাইলী বসতি বিস্তারের বিরুদ্ধেও দ্বি-রাষ্ট্রিক সমাধানের প্রয়োজনীয়তার সপক্ষে কথা বলা অব্যাহত রাখবেন। ওবামা এমন এক সময় এই বক্তব্য রাখলেন যখন ইসরাইলের নতুন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ ধরনের সমাধানের ব্যাপারে তাঁর দেশের (ইসরাইল) অঙ্গীকারের প্রতি সংশয় প্রকাশ করে বিশ্বকে জর্দান নদী থেকে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত বাইবেলে উল্লেখিত ভূখ-ের ওপর ইহুদীদের ঐতিহাসিক দাবির প্রতি স্বীকৃতিদানের আহ্বান জানান। ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লক্ষ্যণীয়ভাবে উগ্র উদ্বোধনী ভাষণে জিপি হাতোভলি পশ্চিম তীরের অঞ্চলসহ ‘এই সমগ্র ভূখ-ের’ ওপর ইসরাইলের অধিকারের ন্যায্যতা প্রতিপন্ন করতে বাইবেলের উদ্ধৃতি দেন। ইরানের সঙ্গে আলাচনার প্রকাশ্য বিরোধিতার জন্য ইসরাইলী নেতা নেতানিয়াহুর প্রতি দীর্ঘদিন যাবত বিরক্ত হোয়াইট হাউস। এই মন্তব্য প্রসঙ্গে সতর্ক করে দেয় যে, যুক্তরাষ্ট্র এর ফলে জাতিসংঘে ইসলাইলকে সমর্থন করা থেকে পিছিয়ে আসতে বাধ্য হতে পারে।