আমার সাধ না মিটিল...
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর পুত্র মাহী বি চৌধুরী ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়রপ্রার্থী হয়েছিলেন। প্রথমদিকে বিএনপি প্রার্থী না দেয়ায় তিনি মনে করেছিলেন বিএনপি তাঁকে সমর্থন দেবে আর তাতে করে তিনি বিজয়ী হয়ে মেয়র হয়ে যাবেন। মেয়র হলে তাঁর কপাল খুলে যাবে। বিএনপি নেত্রীর মন পাওয়ার জন্য মাহী ছুটে গেছেন তাঁর কার্যালয়ে। শুধু বিএনপি নয়, তিনি এরশাদের সমর্থন আদায়েরও চেষ্টা করেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, মাহী কারও মনই গলাতে পারেননি- সমর্থন তো দূরের কথা। মাহী ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণে নিজে আধুনিক পোশাকে ঝাড়ু হাতে রাস্তা পরিষ্কার করতে নেমে কভারেজ পাওয়ার চেষ্টাও কম করেননি। মুখে ভারতবিরোধিতা করলেও নির্বাচনে ভোটারদের মনোযোগ কাড়তে ভারতের মোদি-স্টাইল অনুকরণ করতে সিদ্ধহস্ত।
কিন্তু এতকিছু করেও মাহী নির্বাচনে গো-হারা হেরেছেন। তাঁর জামানতও বাজেয়াফত হয়েছে। শুধু মাহী নন, জাতীয় পার্টির সাইফুদ্দিন মিলন, বাম মোর্চার জোনায়েদ সাকী, সিপিবির আবদুল্লাহ আল কাফিরও জামানত বাজেয়াফত হয়েছে। ভোটাররা বড় বড় কথা পছন্দ করেন না- তারা প্রার্থীদের ভেতর আস্থা খুঁজতে চান।
মাহী বি চৌধুরীর আশা ভঙ্গ হয়েছে। নগরবাসী সঠিক মূল্যায়নই করেছেন তাদের ভোটাধিকারের মাধ্যমে। সাধারণ মানুষ এসব অতিকথনে দুষ্ট তথাকথিত রাজনীতিকদের চিনতে ভুল করেন না।
মাহীর সাধ ছিল মেয়র নির্বাচনে তাঁর ম্যাডামের অনুগ্রহ ও কৃপা পেয়ে তিনি জাতীয়তাবাদের ঝা-া নিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হবেন। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি।
কাজী নরুল আমিন
কলেজ রোড, মুন্সীগঞ্জ।
আর কতকাল?
‘ভূমিদস্যুদের কবলে পড়ে কপোতাক্ষ নদ বিলীনের পথে’- এ রকম একটি সংবাদ পত্র-পত্রিকার কল্যাণে চোখে পড়েছে। শুধু কপোতাক্ষ নদ নয়, বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, গড়াই, তুরাগসহ অসংখ্য নদের অস্তিত্ব দিন দিন বিলীন হতে চলেছে। প্রশাসন রহস্যজনক কারণে ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে আইনগত কোন ব্যবস্থা নিতে পারছে না। এর পেছনে রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তি কাজ করছে। ফলে নদী দখল, নদী ভরাট করে দেশের কতনা নদ-নদী দিন দিন সঙ্কুচিত হয়ে ধ্বংসের পথে যাচ্ছে। এক সময় প্রমত্তা নদীগুলো ছিল দেশের মানুষের জীবন জীবিকার প্রধান উৎস। নদ-নদী দিয়ে রং-বেরঙের নৌকো যোগে পণ্য আমদানি রফতানি হতো। নদীসংলগ্ন গ্রাম বাংলার হাজার হাজার মানুষ নদ-নদী থেকে মৎস্য আহরণ করে জীবন নির্বাহ করতেন। কিন্তু বাংলাদেশের কোন কোন এলাকার অর্থনৈতিক কর্মকা-ের মূলভিত্তি করতোয়া, ঘাঘট, কুশিয়ারা, ধলেশ্বরী, মধুমতি, বলেশ্বর, আত্রাই, গোমতিসহ অসংখ্য নদী এখন কালের বিবর্তনে মৃতপ্রায়।
এই যে ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে দিনের পর দিন নানা রকম বর্জ্য পদার্থসহ বিভিন্ন ময়লা আবর্জনার স্তূপের কারণে এই নদীর পানির স্বচ্ছতা আর চোখে পড়ে না। নদীর পানি এতটা দূষিত হয়ে গেছে যে, বুড়িগঙ্গায় লঞ্চ-স্টিমার-নৌকাযোগে চলতে গেলে নাকে ভেসে আসে পচা দুর্গন্ধ। নদী দখল, ভরাট, নদী ধ্বংসের জন্য দায়ী মূলত এক শ্রেণীর অসাধু ভূমিদস্যু ও লোলুপ দৃষ্টিভঙ্গির কতিপয় মানুষ। এরাই যুগ যুগ ধরে নদ-নদীকে নানাভাবে ধ্বংস করে যাচ্ছে। এজন্য দায়ী সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। তারা ধারাবাহিকভাবে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি বলেই ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী দখলবাজদের সাহস সীমাহীনভাবে বেড়েই গেছে। যে জন্য ভূমিদস্যুরা নদ-নদী, খাল-জলাশয় দখল করে কোথাও উঁচু প্রাচীর, অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছে। অনেক স্থানে নদের মধ্যে বহুতল ভবন নির্মাণও করেছে তারা। এভাবে প্রতিনিয়তই নদ-নদী, খালের জমি দখলের প্রতিযোগিতা চলছেই। আমাদের প্রশ্ন, এ দৃশ্য আর কতকাল দেখতে হবে?
লিয়াকত হোসেন খোকন
ঢাকা।
বাকৃবির ডাইনিং
সম্প্রতি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আরিফা নামের এক মেয়ে ভীষণভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে তাকে এ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নিতে হয়। ওই সময় ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের কয়েকজন ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুধু আরিফাই নয় এ রকমভাবে প্রায় প্রতিদিনই মেয়েরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
বাকৃবি হেলথ কেয়ারের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা খাবার কিংবা দূষিত পানি পান করার কারণে সমস্যা হচ্ছে। চিকিৎসকরা প্রতিদিনই এ রকম রোগীর সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। চিকিৎসকরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, এ রকম অপরিচ্ছন্ন, নোংরা খাবার কিংবা দূষিত পানি পানে বড় ধরনের ব্যাধির আশঙ্কা রয়েছে।
বেশ কিছুদিন ধরে ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ছাত্রীরা এ বিষয়ে ডাইনিং কর্তৃপক্ষকে জানালেও তারা কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। ছাত্রীরা ডাইনিংয়ে বিশুদ্ধ খাবার ও পানি সরবরাহের দাবি জানিয়েছে।
আবুল বাশার (মিরাজ)
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
আমাদের কাজ দিন
‘প্রশিকা’ বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের একটি বৃহত্তম উন্নয়ন সংস্থা। এ সংস্থা দারিদ্র্য বিমোচন কার্যক্রমের পাশাপাশি সকল গণতান্ত্রিক এবং অধিকারভিত্তিক আন্দোলনে আমরা সক্রিয়। বিগত জোট সরকারের সময় সংস্থার চেয়ারম্যান কাজী ফারুক আহমদসহ আমরা জেল-জুলুম সহ্য করেছি। তখন থেকেই আমাদের সকল প্রকার দেশী-বিদেশী ফান্ড বন্ধ আছে। আমরা কয়েক হাজার কর্মী ও লক্ষ লক্ষ সুবিধা গ্রহণকারী সদস্য ভীষণ অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে পরিবার নিয়ে কষ্টে দিন যাপন করছি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আমাদের আকুল আবেদন, আমাদের কাজ দিন, আমরা কাজ করতে চাই। ফান্ড এবং বিভিন্ন সরকারী প্রকল্প প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে আমাদের দক্ষ কর্মীর হাতকে দেশ গঠনে কাজে লাগান।
বাকের আহমেদ
প্রশিকা কর্মী, ঢাকা।
শীর্ষ সংবাদ: