ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ২৩ মে ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, বান্দরবান আর খাগড়াছড়ি। অফুরান সৌন্দর্য রয়েছে এই পাহাড়ী জেলাগুলোতে। পর্যটন শহরও বলা হয়- অরণ্য, পাহাড়, ঝর্ণা রয়েছে এর সর্বত্র। তবে রাঙ্গামাটির বাড়তি আকর্ষণ হলো হ্রদ। অথচ রাত্রি যাপনে এখানকার হোটেল-মোটেলগুলো পর্যটকদের কোন অবস্থায়ই আকৃষ্ট করতে পারছে না। এ কারণে পাহাড়ী শহরগুলোতে কেউ একবার গেলে দ্বিতীয়বার আর যেতে আগ্রহ দেখান না। সারাশহর ঘুরেও পর্যটন মৌসুমে পর্যটকরা ভালমানের পরিচ্ছন্ন হোটেলে গিয়ে সিট পান না। আর সিট পেলেও ভাড়া নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অনেক বেশি থাকে। প্রসঙ্গত, ভারতের নৈনিতাল, কুলু, মানালি, দার্জিলিংয়ের পাহাড়ী শহরে গেলে কম খরচে (ভারতীয় টাকায় দৈনিক থাকা-খাওয়া খরচ মিলে ৫০০-৬০০ টাকায়) সহজেই রাত্রি যাপন করার সুব্যবস্থা রয়েছে। এমনকি বাসস্ট্যান্ড থেকে পাহাড়ী শহরে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে দেখা মেলে হোটেলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। তারাই হোটেলে থাকা-খাওয়ার দরদাম করে নিয়ে যায় হোটেলে। এরকম ব্যবস্থা তো রাঙ্গামাটি, বান্দরবান আর খাগড়াছড়িতে নেই। শুধু কি তাই, বাংলাদেশের প্রধান পর্যটন নগরী কক্সবাজারেও এমন ব্যবস্থা চোখে পড়েনি কখনও। এজন্য দায়ী যারা এখানকার হোটেল-মোটেল চালান। এ কারণে বলছি, পর্যটকরা বাস থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে হোটেল-মোটেলের সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত থেকে স্ব-স্ব হোটেলে নিয়ে যেতে আগ্রহ দেখালে পর্যটকদের আর এভাবে ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হতো না। লিয়াকত হোসেন খোকন ঢাকা। উৎসব ভাতা রাষ্ট্রীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সম্মানী ভাতা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। রাষ্ট্রীয় সামর্থ্যরে আলোকে বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা চালু ও বৃদ্ধি করে এসেছে যা প্রশংসার দাবিদার। অনেক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে বর্তমান ভাতা যে কত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে তা ভুক্তভোগী ছাড়া অন্যদের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবার-পরিজনরা এ সমাজের অংশ। সমাজে বসবাসরত অন্যদের ন্যায় মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনে, তাঁদের পরিবার-পরিজনের জীবনেও আসে বিভিন্ন উৎসব। চাকরিজীবী থেকে শুরু করে সরকারী-বেসরকারী সব পর্যায়ের, সব পেশার লোকজনই কমবেশি উৎসব ভাতা পেয়ে থাকেন। মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা যাঁরা পাচ্ছেন তাঁদের সম্মানী ভাতার পাশাপাশি উৎসব ভাতা প্রদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট বিনীত আবেদন জানাচ্ছি। বর্তমান সরকার সবসময়ই মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপারে আন্তরিক। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য উৎসব ভাতার ব্যাপারেও সরকার আন্তরিক হবেন এবং উৎসব ভাতার ঘোষণা দেবেন বলে মুক্তিযোদ্ধারা আশাবাদী। দিদার উল আলম চাটখিল, নোয়াখালী। দুর্ভোগের প্রতিষ্ঠান দেশের নিম্ন, মধ্যবিত্ত ও গরিব পরিবার থেকে উচ্চশিক্ষায় আসা সর্বোচ্চসংখ্যক ছাত্রদের আশ্রয়স্থল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। উচ্চ শিক্ষার সবচেয়ে বেশি অবহেলা আর উদাসীনতার শিকার এই বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৯২ সালে সেশনজট নিরসনের কথা বলে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে উঠেছিল। কিন্তু বিগত ২৩ বছরের অভিজ্ঞতা বলে এর বয়স যত বেড়েছে ভোগান্তিও বৃদ্ধি পেয়েছে তার চেয়ে বেশি। চার বছরের অনার্স কোর্স শেষ করতে সময় লাগে ছয় থেকে সাত বছর। তিন বছরের ডিগ্রী কোর্স শেষ করতে লেগে যায় পাঁচ বছর। শিক্ষাজীবন শেষ হতে না হতে সরকারী চাকরির বয়সসীমা পার হয়ে যায় অনেকের। নামে বিশ্ববিদ্যালয় হলেও বাস্তবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত ক্লাসরুম এবং শিক্ষকের সঙ্কট আজও বহাল আছে। আবুল বাশার (মিরাজ) ময়মনসিংহ। ফেরি সার্ভিসের উন্নয়ন চাই চাঁদপুর হয়ে চট্টগ্রাম-খুলনা মহাসড়ক দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম প্রধান মাধ্যম। গত শতকের ষাটের দশক থেকে মহাসড়কটি নির্মাণের দাবি উঠলেও চালু হয় ২০০১ সালের ২৫ এপ্রিল। বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থায় এ মহাসড়কটি সবচেয়ে সহজ ও হ্রস্বপথ। রাষ্ট্রের যোগাযোগ ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ ও জ্বালানি সাশ্রয়েও এ মহাসড়কের গুরুত্ব অপরিসীম। এ মহাসড়কের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি সার্ভিস। এ ফেরিরুটে বর্তমানে মাত্র ৩টি ফেরি চলাচল করছে, যার সব কটিই জরাজীর্ণ ও শম্বুক গতিসম্পন্ন, মাঝে মাঝে ফেরিগুলো যান্ত্রিক ক্রটির কারণে অচল হয়ে পড়ে। ফলে নদীর উভয় তীরে বাস, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের জট লেগে থাকে। এ কারণে মহাসড়কটি উদ্বোধনের এক যুগ পরেও এর কার্যকারিতা কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি। মেঘনার পশ্চিমপাড়ে দুই চরের মধ্যবর্তী চ্যানেলটি সর্বক্ষণিক ড্রেজিং করা প্রয়োজন। ঢাকাÑবরিশালগামী নৌযানগুলোর নির্বিঘেœ চলাচলের স্বার্থেও এ চ্যানেলটির ড্রেজিং করা অপরিহার্য। চাঁদপুর ও শরীয়তপুর উভয় ফেরিঘাটে একটি করে পন্টুন থাকার ফলে একটি ফেরি না ছাড়লে অপরটি তীরে ভিড়তে পারে না, মাঝ নদীতে দাঁড়িয়ে থাকে। উভয় ফেরিঘাটে দুটি করে পন্টুন বসানোর কোন বিকল্প নেই। চাঁদপুরের নিকটবর্তী মেঘনা অত্যন্ত প্রশস্ত, গভীর ও উত্তাল। এ কারণে এ ফেরিঘাটে কমপক্ষে ৪টি ফেরি চালু করা জরুরী। উভয় ফেরিঘাটে যাত্রীছাউনি ও বিশ্রামাগার নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। শাহেনশাহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। শহরকেন্দ্রিকতা কমাতে হবে নাগরিক সুবিধা, আধুনিক মনোভাব এবং আর্থ-সামাজিক কারণসহ নানাবিধ কারণে শহরকেন্দ্রিকতা বেড়ে চলেছে। বর্তমানে গ্রাম থেকে শহরে আসার প্রবণতা কমবেশি সবার ভেতরে কাজ করছে। ধীরে ধীরে গ্রাম থেকে সচ্ছল, দূরদর্শী, সচেতন মানুষেরা শহরে ভিড় করছে। এক সময় ধনে-জনে পরিপূর্ণ গ্রামগুলোর অবস্থা এখন করুণ। যারা এখনও গ্রামে বসবাস করছে তাদের অনেকেই নিরূপায় হয়ে গ্রামে আছে। আমরা যতই শহরকেন্দ্রিক হই না কেন ভুলে গেলে চলবে না যে, বেঁচে থাকার প্রধান অবলম্বন খাদ্যশস্য উৎপাদনের কেন্দ্রবিন্দু কিন্তু গ্রাম। সেদিক থেকে গ্রামের প্রতি সহানুভূতি ও টান যেমন থাকতে হবে তেমনি রাষ্ট্রেরও থাকতে হবে সুদৃষ্টি। যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছে। ফলে গ্রামের সঙ্গে শহরের দূরত্ব অনেক কমে গেছে। তাহলে কেন মানুষ ক্রমাগত শহরকেন্দ্রিক হচ্ছেÑ সেসবের কারণ খুঁজে বের করে তার প্রতিকারে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। শহরে নাগরিক সুবিধা যেমন আছে তেমনি আছে নানা বিড়ম্বনাও। তবুও মানুষ শহর ছাড়ছে না। বরং প্রতিনিয়ত শহরে আসছে। অনেকেই গ্রামের জমি বিক্রি করে হলেও শহরে বসবাস করতে চান। একটু ভাল থাকার এবং সুবিধার জন্য মানুষ তার ইচ্ছানুযায়ী ইতিবাচক যে কোন পথ বেছে নিতে পারে। নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী যে কোন ইতিবাচক সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ন করার অধিকার তার আছে। কাজেই মানুষের শহরকেন্দ্রিক অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করা কারও পক্ষে সম্ভব নয়। তাই গ্রামগুলোর দিকে আন্তরিক মনোভাব নিয়ে তাকাতে হবে এবং গ্রামকেন্দ্রিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়ালেখার মান আরও বাড়াতে হবে। পড়ালেখার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে হবে। সরকারী পর্যায়ে চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। প্রয়োজনীয় নাগরিক সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করতে পারলে মানুষের শহরকেন্দ্রিকতা কিছুটা হলেও কমবে। মোহাম্মদ শরীফ ঢাকা সংযড়ৎরভ৯৮@মসধরষ.পড়স কী বিচিত্র! পাকিস্তান রাষ্ট্র নিয়ে কিছু লিখতে গেলে এর সম্পর্কে ভাল কিছু পাওয়া যায় না। যার ফলে কখনও দেশটি নিয়ে লেখার আগ্রহ জন্মেনি। কিন্তু এ রাষ্ট্রটি নেপালের মতো অজাতশত্রু একটি দেশের সঙ্গে তাদের চরম বিপদের দিনে গোমাংস পাঠিয়ে তাদের সঙ্গে যে ধরনের মশকরা করল তা কখনই প্রত্যাশা করা যায় না। জিন্নাহ শঠতার মাধ্যমে পাকিস্তান নামক দেশটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সারাজনম অখ- ভারতের জন্য কাজ করে হঠাৎ ব্রিটিশের কাছ থেকে উপঢৌকন নিয়ে পাকিস্তান নামক একটি রাষ্ট্রের দাবি তোলেন যার অবয়ব বিচিত্র। তার এ চরিত্র শুধু দেশের বেলায় নয়, তার বিয়ে করা স্ত্রীর বেলায়ও। তিনি খ্রীস্টান মহিলা বিয়ে করলেন। এতে আপত্তির কিছু নেই। স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ এটাও অস্বাভাবিক নয়। মতানৈক্য হতেই পারে। তাই বলে তাকে নিঃস্ব ভিখারি করে দেয়া কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। এখানেই শেষ নয়। তাঁর ঔরসজাত মেয়েটিকেও বঞ্চিত করেন তার সকল সম্পদ থেকে। বোম্বেতে তার একটি বাড়ি ছিল। সেটা ভাড়া দেয়া ছিল একটা দীর্ঘ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ফ্রান্স অথবা জার্মানির কাছে। দেশ ভাগ হলেও চুক্তির প্রেক্ষিতে তিনি বাড়িটি বদল করতে কিংবা বিক্রি করতে পারেননি। পাকিস্তান গিয়ে সেখান থেকে ভারত সরকারের কাছে একটি পত্র দিয়ে জানান, চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে সেটা তিনি ব্যতীত অন্য কারও কাছে এমনকি তার স্ত্রী কিংবা কন্যার কাছেও হস্তান্তর করতে পারবে না। এদিকে তার মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হলে বাড়িটি গ্রহণ করতে গেলে ভারত সরকার পত্রটি দেখায়। তখন তার মেয়ে বাড়ি না পেয়ে তার বিদেশের আবাস স্থলে চলে যান। স্ত্রীর অসদাচরণের জন্য তাকে স্বামী সম্পত্তি হতে বঞ্চিত করার কথা শোনা যায়, কিন্তু নিজের ঔরসজাত মেয়েকে বঞ্চিত করার ইতিহাস আমার জানা নেই। পাকিস্তানের স্রষ্টা যখন এমন মানসিকতার মানুষ ছিলেন, তবে পাকিস্তান রাষ্ট্রটি খোদার অদেখা রাষ্ট্র হবে এটা আর আশ্চর্য কি? তাই বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান গণহত্যা, ধর্ষণ করবেÑ তাদের কাছে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু নেহায়ত অসহায় সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত একটি দেশের সঙ্গে এই বিপদের সময় গোমাংস পাঠিয়ে দেশটির সঙ্গে মশকরা করা একটি দেশের জন্য অতি জঘন্য কাজ ছাড়া আর কিছু নয়। তারা যে কত নৃশংস নেপালে গোমাংস পাঠিয়ে তারা সেটাই আবার নতুন করে প্রমাণ করল। রাধাকান্ত রায় ঢাকা। তোমারে বধিবে যে ... ‘বাঘের ঘরে গোগের বাসা’ প্রবাদটি বহুল প্রচারিত। এর পাশাপাশি আরও একটা প্রবাদ আমরা প্রায়ই ব্যবহার করি তা হলোÑ ‘তোমারে বধিবে যে গোকূলে বাড়িছে সে’ অর্থাৎ নিজের শত্রু ঘরের মধ্যে প্রতিপালিত হচ্ছে। প্রবাদটির নানারকম প্রয়োগ ও যথার্থতা আমরা আমাদের প্রতিদিনের জীবনে লক্ষ্য করি। সম্প্রতি আট বছরের শিশু আবীর অপহরণ সংবাদটি দেখে ওপরের প্রবাদ দুটোর কথা মনে পড়ে গেল। আবীরের বাবা শিল্পপতি শাহাদত হোসেন টিএনজেড গ্রুপ অব কোম্পানিজের মালিক। গত ২ মে তার একমাত্র সন্তান আবীরকে বনানী ফ্লাইওভারসংলগ্ন সড়ক থেকে অপহরণ করে ১০ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। আবীরের বাবার সঙ্গে অনেক দেন-দরবার করে অপহরণকারীরা টাকার পরিমাণ ১০ কোটি থেকে নামিয়ে ২ কোটিতে ধার্য করে। দুই দফায় দুই কোটি টাকা অপহরণকারীদের দেয়া হলে তারা অপহরণের ৪ দিন পর অর্থাৎ ৬ মে আবীরকে তার বাবার কাছে হস্তান্তর করে। এদিকে র‌্যাব অপহরণকারীদের ধরতে রাজধানীর উত্তরার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এক কোটি ৮০ লাখ ৬৫ হাজার টাকাসহ অপহরণকারী চক্রের মূল হোতা মিজানুর রহমানসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। র‌্যাবের হাতে গ্রেফতারের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। অপহরণকারী পাঁচজনের মধ্যে তিনজনই টিএনজেড গ্রুপে কর্মরত। অপহরণকারীরা প্রথমে এক বছর আগে টিএনজেড কোম্পানির টাকা ছিনতাই করার পরিকল্পনা করলেও তা পরিমাণে কম হবে ভেবে মালিকের একমাত্র পুত্র আবীরকে অপহরণ করে মোটা অঙ্কের টাকা মুক্তিপণের পরিকল্পনা করে। সেই অনুযায়ী অপহরণকারীরা ফিল্মি কায়দায় অপহরণের ছক কাটে। এরই অংশ হিসেবে তারা পল্লবী এলাকায় চার মাস আগে বাসা ভাড়া নেয় এবং শিশু আবীর যে মাদ্রাসায় পড়ত সেখানে তাদের পরিচিত এক শিশুকেও ভর্তি করিয়ে দেয় যাতে তারা আবীরের সব ধরনের খোঁজখবর রাখতে পারে। অপহরণকারীরা ধরা পড়ার পর শিশু আবীরের বাবা শিল্পপতি শাহাদত হোসেন গণমাধ্যমে এসব জানতে পেরে বিস্ময় প্রকাশ করেন। সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিষয়টি তোলপাড়ের সৃষ্টি করেছে। তারানা চৌধুরী কলাবাগান, ঢাকা। সালাহউদ্দিনের আত্মপ্রকাশ! জনকণ্ঠে গত ১৮ মে প্রকাশিত উপ-সম্পাদকীয় ‘সালাহউদ্দিনের আত্মপ্রকাশ বিএনপির সর্বনাশ’ পড়ে স্পষ্ট প্রতীয়মান হওয়া যায় যে, দুরভিসন্ধির রাজনীতির গ্যাঁড়াকলে তখনই পড়তে হয়, যখন তা সৃষ্টি করতে গিয়ে নানা প্রতারণা ও ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিতে হয়। সালাহউদ্দিন আহমেদ অন্তর্ধান রহস্য অনেক প্রশ্নের জন্ম দেয়। বিশেষত যখন দেশজুড়ে পেট্রোলবোমায় মানুষ হত্যা চলছে, তখন তিনি সেই অবরোধ কর্মসূচী পালনের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি পাঠাতেন। তার অতীতের দিকে পর্যবেক্ষণ করলে এটাও স্পষ্ট ২০০৬ সালের পর তিনি আত্মগোপনে ছিলেন প্রায় দু’বছর। এবারও গায়েব হওয়ার আগের তিন মাসও আত্মগোপনে ছিলেন। তার সমস্ত ক্রিয়াকর্মই রহস্যজনক। রাজনীতির ক্ষেত্রে এত অবাঞ্ছিত, এত দুশ্চরিত্র মানুষ কি করে এসে জুটল সেও এক রহস্য। আসলে জোটেনি এদের জোটানো হয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে জানুয়ারি থেকে পরবর্তী তিন মাস যে অপকর্মটি বেশ জাঁকিয়ে বসেছিল সালাহউদ্দিনদের তত্ত্বাবধানে, তা নাশকতা। এভাবে বোমা মেরে মানুষ হত্যার দায়ভার থেকে তিনি ও তার সহকর্মীরা মুক্ত হতে পারলেন না। বিচারের বাণী যেন নীরবে নিভৃতে না কাঁদে। বোমায় দগ্ধ হয়ে নিহতদের স্বজনরা যে হত্যার বিচার চায়, দেশবাসী সরকারের কাছে সেই প্রত্যাশা করে। এমএ সবুর বৈলতাল, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম। চিনিকলের বর্জ্য সমস্যা বাংলাদেশের উত্তর-দক্ষিণ অঞ্চলের ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠান বলতে শুধুমাত্র চিনি শিল্পকে বোঝায় যার প্রধান কাঁচামাল আখ। আখ চাষকে উৎসাহিত করার জন্য জাতীয় বাজেটে কৃষি খাত থেকে আখ চাষে বীজ ও সেচ খাতে ভর্তুকি প্রদানসহ কৃষকদের অধিকতর সহায়তা দান করলে আখের উৎপাদন আরও বাড়ানো সম্ভব। আখের ফলন বৃদ্ধির জন্য লাগসই প্রযুক্তির ব্যবহার, উচ্চ ফলনশীল স্বল্পমেয়াদি আখের জাত উদ্ভাবনসহ মিলগুলোকে সারাবছর চলমান রাখার স্বার্থে সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিদ্যুত উৎপাদন প্ল্যান্ট, র-সুগার প্রসেস প্ল্যান্ট, ডিস্ট্রিলারি স্থাপন ও বাস্তবায়ন করে চিনিকলগুলোর আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে চিনি শিল্পকে লাভজনক করা সম্ভব। প্রতিবেশী ভারতে বর্তমানে ৬০০ চিনিকলে সর্বমোট চিনি উৎপাদিত হয় ২৫ মিলিয়ন টন, আর এর সঙ্গে জড়িত লাখ লাখ আখচাষী। তারা চিনিকলগুলোকে লাভবান করতে ১৮০টি চিনিকলে ঈড়-এবহবৎধঃরড়হ-এর মাধ্যমে বিদ্যুত উৎপাদন করে এবং ৩০৯টি উরংঃরষষবৎরবং-এর মাধ্যমে চড়ঃধনষব ধষপড়যড়ষ উৎপাদন করে কোটি কোটি টাকা আর্থিকভাবে লাভ করতে সহায়তা করছে। পক্ষান্তরে আমাদের এখানেও ভারতের মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করে চিনি শিল্পকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব। সেই সঙ্গে যুগোপযোগী চিনি বিক্রয় নীতিমালা জরুরী। চিনি বিক্রয়ের স্থায়ী নীতিমালা গ্রহণ করতে হবে অথবা উৎপাদিত চিনি শিল্প মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকারকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিক্রয় করতে হবে। অন্যথায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত সরকারী চিনিকলের উৎপাদিত ও মজুদকৃত চিনি অবিক্রীত হয়ে পড়ে থাকলে বা নষ্ট হয়ে গেলে কোটি কোটি টাকা লোকসান গুনতে হবে। অন্যদিকে চিনি শিল্পে আবার নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে। সমস্যাটি হলো, দেশীয় চিনিকলের উৎপাদন মৌসুমে বর্জ্য মিশ্রিত পানি বিভিন্ন নদ-নদীতে প্রবাহিত হয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতার। এতে করে নদীর মাছসহ জলজপ্রাণী হুমকির মুখে পড়েছে। এসব নিরসনে সরকার প্রতিটি চিনিকলে বর্জ্য শোধনাগার প্রস্তুতের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তবে শুধুমাত্র পানি পরিশোধনাগার নির্মাণ না করে তার সঙ্গে সামান্য কিছু ব্যয় করে পানি শোধন করে পানীয়জলের বোতলজাত কারখানা প্রস্তুতের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করতে পারলে আর্থিকভাবে শিল্পটি সহায়ক হবে এবং বর্জ্যগুলো দিয়ে জৈব সার কারখানা করলে প্রাকৃতিক সার উৎপাদন সম্ভব। এর ফলে চাষীরাও রাসায়নিক সারের ব্যবহার বর্জন করবে এবং সেইসঙ্গে এই সারের প্রতি ঝুঁকে পড়বে। শিল্পগুলোও লাভবান হবে এবং বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। খন্দকার শহীদুল ইসলাম
×