ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হিলারির ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি কঠিন হবে

২ কোটি ৬৪ লাখ ডলার পেয়েছি, জানাল ক্লিনটন ফাউন্ডেশন

প্রকাশিত: ০৩:৫১, ২৩ মে ২০১৫

২ কোটি ৬৪ লাখ ডলার পেয়েছি, জানাল ক্লিনটন ফাউন্ডেশন

যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, ইউনিভার্সিটি ও বৈদেশিক সূত্র ও অন্যান্য গ্রুপের কাছ থেকে ২ কোটি ৬৪ লাখ ডলার পাওয়ার কথা ক্লিনটন ফাউন্ডেশন বৃহস্পতিবার জানিয়েছে। এই অর্থপ্রাপ্তির কথা আগে জানানো হয়নি। ওয়াশিংটন পোস্ট অনলাইন। অর্থপ্রাপ্তি প্রকাশের ঘটনা এমন এক সময় ঘঁল, যখন প্রশ্ন উঠেছে ২০০৮ সালে সম্পাদিত এথিকস চুক্তি অনুযায়ী ক্লিনটন ফাউন্ডেশন দাতাদের নাম পরিচয় পুরোপুরি প্রকাশ করেছেন কি এবং হিলারি রডহ্যাম ক্লিনটন যখন ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করতে যাচ্ছেন তখন দাতাদের সঙ্গে স্বার্থের সংঘাত দেখা দেবে না কি। ক্লিনটন দম্পতি ২০০২ সাল থেকে ৯৭টি বক্তৃতা দিয়ে যা আয় করেছিলেন সম্প্রতি তারা সেটি প্রকাশ করেছেন। এদের মধ্যে ২৪টিরও বেশি স্পন্সর করে বিভিন্ন কলেজ, ইউনিভার্সিটি ও বৈদেশিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, অন্তত একটি করে থাইল্যান্ড সরকার। বৃহস্পতিবার রাতে ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে অর্থপ্রাপ্তির খবর প্রকাশিত হয়। মোট প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ দেখান হয়েছে ১ কোটি ২০ লাখ থেকে ২ কোটি ৬৪ লাখ ডলারের মধ্যে। নাইজিরিয়ার দিস ডে নিউজপেপার গ্রুপে বক্তৃতা দিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন পান অন্তত ৫ লাখ ডলার, বেজিংয়ের প্রাকৃতিক গ্যাস বিষয়ক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান হুয়াদু এন্টারপ্রাইজ কনসাল্টিং কোম্পানির তাকে দেয় অন্তত আড়াই লাখ ডলার। অন্যদিকে সিটি ব্যাংক একটি বক্তৃতার জন্য হিলারিকে দেয় আড়াই লাখ ডলার। এসব অর্থপ্রাপ্তি প্রকাশের ঘটনা থেকে আরও যে বিষয়টি জানা গেছে সেটি হলো নিজেদের তারকা খ্যাতিকে কাজে লাগিয়ে ক্লিনটন দম্পতির উপার্জিত অর্থ তারা কেবল ব্যক্তিগতভাবে ধনীই হননি, সমাজ সেবামূলক কাজেও ব্যয় করেছেন। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক দলীয় প্রার্থিতা পাওয়ার জন্য হিলারি যখন প্রচারাভিযান শুরুর তখন একের পর এক নেতিবাচক খবর তাকে মোকাবেলা করতে হচ্ছে। বিশেষ করে আর্থিক স্বচ্ছতার বিষয়ে ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করা তার জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ২০০৮ সালে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসনের সঙ্গে ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের চুক্তি হয়েছিল আর্থিক বিষয়ে তথ্য গোপন না রেখে প্রকাশ করা হবে। যেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে হিলারির নিয়োগ প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। কোন কোন রিপাবলিকান সদস্য অভিযোগ করেছেন যে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় হিলারি বিদেশী দাতাদের পুরস্কৃত করার মতো অবস্থানে ছিলেন। এথিকস চুক্তি অনুযায়ী বৈদেশিক সরকারী দান গ্রহণের ওপর বাধানিষেধ আরোপ করা হলেও বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ফাইন্ডেশনের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ফাউন্ডেশন আলজিরিয়া সরকারের কাছ থেকে ৫ লাখ ডলার গ্রহণ করে। দু’ সপ্তাহ আগেই হিলারি জানিয়েছিলেন যে, তিনি ও স্বামী ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত বক্তৃতা দিয়ে আড়াই কোটি ডলার আয় করেন। এছাড়া ২০০১ সাল থেকে ১২ সাল পর্যন্ত শুধু বক্তৃতা দিয়ে বিল ক্লিনটন কামান ১০ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
×