ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্বেচ্ছায় রোবোটিক বাহু নাড়াতে পারছেন ব্রেন ইমপ্ল্যান্ট রোগী

প্রকাশিত: ০৩:৫০, ২৩ মে ২০১৫

স্বেচ্ছায় রোবোটিক বাহু  নাড়াতে পারছেন ব্রেন  ইমপ্ল্যান্ট রোগী

নতুন এক ধরনের ব্রেন ইমপ্ল্যান্ট করে চিকিৎসক রোগীর মধ্য অনুভূতিমূলক উন্নতি লক্ষ্য করেছেন। এর ফলে রোগী এখন রোবোটিক বাহু নাড়াতে পারছেন। চিকিৎসকরা আশাপ্রকাশ করেছেন যে, অঙ্গহানির ফলে পক্ষাঘাত রোগীদের চিকিৎসার পথ এবার সুগম হবে। মার্কিন গবেষকরা বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন। খবর এএফপির। এরিক সর্টো নামে ৩৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মস্তিষ্কে বিশ্বের প্রথম সফল নিউরাল প্রসেথিক সার্জারি সম্পন্ন হয়েছে। তিনি এখন রোবোটিক বাহু দিয়ে করমর্দন, পানির কাপ ধরা, কাগজপত্র ও টুকটাক জিনিস নড়াচড়া করতে পারছেন। বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী সায়েন্সে বৃহস্পতিবার এ খবর প্রকাশিত হয়েছে। সর্টো ২১ বছর বয়সে কাঁধে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যান। নতুন গবেষণায় ডিভাইস মস্তিষ্কের এমন স্থানে বসানো হয়েছে যেখানে থেকে ইচ্ছা বা আকাক্সক্ষার বিষয়টি নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। ইতোপূর্বে এ ধরনের অস্ত্রোপচারে ডিভাইস মস্তিষ্কের এমনস্থানে বসানো হয় যেখানে থেকে নিয়ন্ত্রিত হয় দেহের গতি। মস্তিষ্কের কর্টেক্সের নির্দিষ্ট দুই সেট মাইক্রো ইলেকট্রোড বসিয়ে অনুভূতি চাঙ্গা করা হয়। গবেষক দলের প্রধান ক্যালটেকের নিউরোসায়েন্সের প্রফেসর রিচার্ড এ্যান্ডারসন বলেন, ‘যখন আপনি আপনার বাহু নাড়ান, আপনি চিন্তা করেন না এই ঘটনায় কোন মাংসপেশী অংশ নিচ্ছে। ধরুন আপনি হাত উঁচু করছেন, ধরছেন কোন কিছু বা কোন কিছু নড়াচড়া করছেন। আপনার লক্ষ্য থাকে এর মধ্য দিয়ে একটি কাজ সম্পন্ন করা।’ ঠিক একই পদ্ধতি আমরা এই গবেষণায় কৌশলটি প্রয়োগ করেছি। অস্ত্রোপচার সফল হওয়ায় রোগী এখন নিজের ইচ্ছায় হাত নাড়াতে পারছেন।’ ২০১৩ সালে সর্টোর ব্রেন ইমপ্ল্যান্ট করা হয়েছিল। তখন থেকে তিনি র‌্যাঞ্চো লস আমিগস ন্যাশনাল রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে আছেন। দেহের সঙ্গে সংযুক্ত নয় এমন রোবোটিক বাহু কিভাবে নড়াচড়া করতে সে বিষয়ে তার প্রশিক্ষণ অব্যাহত আছে। অস্ত্রোপচারের মাত্র দু’সপ্তাহ পর থেকেই তিনি নিজের বাহু নাড়াতে পারছেন।
×