ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পাঁচ শতাধিক আমানতকারী দিশেহারা

পুঠিয়ায় গ্রাহকের দেড় কোটি টাকা নিয়ে উধাও মাল্টিপারপাস কোম্পানি

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ২২ মে ২০১৫

পুঠিয়ায় গ্রাহকের দেড় কোটি টাকা নিয়ে উধাও মাল্টিপারপাস কোম্পানি

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ পুঠিয়া উপজেলার ব্যবসাকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত বানেশ্বর বাজারে অবস্থিত বেসরকারী সংস্থা আরডিপি ফাইন্যান্স এ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামের একটি মাল্টিপারপাস কোম্পানি গ্রাহকদের প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে লাপাত্তা হয়েছে। ফলে কষ্টে অর্জিত অর্থ হারিয়ে এখন পথে বসার উপক্রম হয়েছেন প্রায় ৫ শতাধিক আমানতকারী। গত তিন দিন ধরে ওই কোম্পানির লোকজন অফিসে তালা ঝুলিয়ে গা-ঢাকা দেয়ার বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রাহকরা এখন তাদের খুঁজছে। কোম্পানির বানেশ্বর অফিসের ম্যানেজারসহ সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মোবাইল বন্ধ করে রেখেছেন। স্থানীয় বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী সুলতান জানান, একবছর আগে আরডিপি ফাইন্যান্স এ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেটিভ সোসাইটি নামের কোম্পানি এলাকায় কার্যক্রম শুরু করে। প্রথম থেকে গ্রাহকদের দ্বিগুণ মুনাফা দেয়ার প্রলোভন দেয়। অধিক মুনাফার আশায় আস্তে আস্তে সেখানে গ্রাহক বাড়তে থাকে। স্থানীয় বালিয়াঘাটি এলাকার আমজাদ আলী ও জিয়াউর রহমান নামের দুই ব্যক্তির ৫ লাখ করে টাকা জামানত রাখা ছিল বলে তারা জানিয়েছেন। তাদের মতো আরও প্রায় ৫ শতাধিক গ্রাহক আছেন, তাদের অনেকেই এক থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জামানত রেখেছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছে ওই চক্রটি। বানেশ্বর বাজার বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী মুক্তা জানান, আরডিপি মাল্টিপারপাস কোম্পানি গ্রাহকের টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে সেটা মঙ্গলবার সকালে টের পাওয়া গেছে। গ্রাহকদের দেয়া আরডিপি ফাইন্যান্স এ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেটিভ সোসাইটির বানেশ্বর শাখার ব্যবস্থাপক মাসুদ রানার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোন্দকার ফরহাদ আহমদ জানান, গ্রাহকের অর্থ নিয়ে উধাও হওয়ার বিষয়টি তাঁর জানা নেই। আরডিপি ফাইন্যান্স এ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড উপজেলা সমবায় অধিদফতরের অধীনে রয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হবে বলে তিনি জানান।
×