ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

স্বাস্থ্য খাতে সাফল্যের প্রশংসা করেছে বিশ্বব্যাংক

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ২২ মে ২০১৫

স্বাস্থ্য খাতে সাফল্যের প্রশংসা করেছে বিশ্বব্যাংক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেক্টরের সফলতার ব্যাপক প্রশংসা করেছে বিশ্বব্যাংক। বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সম্মেলনে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক আলোচনায় এ প্রশংসা প্রকাশ করেন বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র পরিচালক ড. তিমথি গ্র্যান্ট ইভান্স। বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিশ্বব্যাংক অর্থসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা বৃদ্ধি করার আশ্বাস দিয়েছে। আমিও জানিয়ে দিয়েছি, বাংলাদেশও বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায় এবং বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেক্টরে বরাদ্দকৃত অর্থ বিনিয়োগে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রাখা হয়। বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধির সঙ্গে এ বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সদস্যদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আরও বলেন, দেশব্যাপী একটি ব্যাপকভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে সরকারের সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা রয়েছে। একটি সুস্থ জাতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে ক্লিনিক চালু করা হয়েছে। এসব ক্লিনিকে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ দেয়া হচ্ছে। আর চালু করা হয়েছে ই-হেলথ ও টেলিমেডিসিন সেবা কার্যক্রম। স্বাস্থ্যসেবা নেটওয়ার্কের স্তরগুলো উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রাইমারী, সেকেন্ডারি, টারসিয়ারি ও বিশেষায়িত হাসপাতাল এবং উভয়মুখী রেফারেন্স পদ্ধতি প্রবর্তন করেছি। যা বিশ্বে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত বিষয়গুলোকে কর্মপরিকল্পনায় গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। দেশে গড়ে উঠেছে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবার মজবুত অবকাঠামো। স্বাস্থ্য খাতে সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে দেশের জনগণের প্রতি নিজেদের অঙ্গীকার পূরণ করছে বর্তমান সরকার। আর সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে নিজেদের দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নেও সরকার সব সময় আন্তরিক। তিনি আরও জানান, দেশের সাধারণ মানুষ আজ ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা পাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলদেশ এখন আর শুধু সেøাগান নয়, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এর সুবিধা পৌঁছে গেছে। দেশের সকল পর্যায়ের হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিনিধিদের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজ ॥ সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ৬৮তম সম্মেলনে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের (১১টি দেশ) অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিদের সম্মানে বৃহস্পতিবার মধ্যাহৃভোজের আলোজন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। সম্মেলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য ১১টি দেশের প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানান তিনি। পাশাপাশি আগামী নবেম্বরে এইচআইভি-এইডস আক্রান্তদের নিয়ে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য ‘আইক্যাপ’ সম্মেলনে অংশগ্রহণ এবং তা সফল করার জন্য ১১টি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে পোলিওমুক্ত করতে অবদান রাখার জন্য ১১টি দেশের উপস্থিত প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানান তিনি। বিল এ্যা- মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সঙ্গে আলোচনা ॥ বিল এ্যা- মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। উভয়পক্ষের মধ্যে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে আলাপ হয়েছে। বাংলাদেরশের স্বাস্থ্যসেবায় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। আর স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমও ফাউন্ডেশনের সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। মাতৃ, নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা ॥ বাংলাদেশের মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের প্রশংসা করেছেন ‘মাতৃ, নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্যের জন্য অংশীদারিত্ব’-এর প্রতিনিধি দল। বৃস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ৬৮তম সম্মেলনের এক ফাঁকে প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক মি. রবিনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এর সঙ্গে সাক্ষাত এই প্রশংসা প্রকাশ করেন। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি দলের সদস্যদের বলেন, স্বাস্থ্য খাতে যুগান্তকারী সফলতা পেয়েছে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য বিষয়ক সহস্রাব্দ অর্জনেও এদেশের বেশ অগ্রগতি হয়েছে। প্রশংসিত হয়েছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে।
×