ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দুই বছরের জন্য ৪১ কোটি ৪১ লাখ টাকার চুক্তি বিসিবির সঙ্গে

জাতীয় ক্রিকেট দলের স্পন্সর টপ অব মাইন্ড

প্রকাশিত: ০৬:৪৪, ২১ মে ২০১৫

জাতীয় ক্রিকেট দলের স্পন্সর টপ অব মাইন্ড

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জাতীয় দলের স্পন্সরের জন্য আগামী দুই বছরে ৩০ কোটি টাকা বেজ প্রাইস ছিল। সেখানে ৪১ কোটি ৪১ লাখ টাকার স্পন্সর পেল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। স্পন্সর পেয়েছে টপ অব মাইন্ড। টিম স্পন্সর নিলামে ছয় প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা দুটি কোম্পানিকেই আহ্বান করে বিসিবি। এই দুটি কোম্পানি গ্রামীণফোন আর টপ অব মাইন্ড। টিম স্পন্সরের জন্য বিসিবির প্রাথমিক ভিত্তি মূল্য ছিল ৩০ কোটি টাকা। এর ওপরই তিন দফায় লড়াই চলে গ্রামীণফোন আর টপ অব মাইন্ডের মধ্যে। সবশেষে টপ অব মাইন্ডই জিতে নেয় বিসিবির টিম স্পন্সর নিলামটি। শুধু জাতীয় দলই নয়, এই চুক্তির আওতায় থাকছে ‘এ’ দল, অনুর্ধ-১৯ এবং জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলও। তবে আইসিসির কোন ইভেন্ট এই চুক্তির আওতায় পড়বে না। বিসিবি চাইলে তখন অন্য টিম স্পন্সর নিতে পারবে। টাকার অঙ্কটা ৪১ কোটি ৪১ লাখ। ৪১ লাখ এই অঙ্কটিই গ্রামীণফোন আর ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি টপ অব মাইন্ডের মধ্যে ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোনকে হারিয়ে ২ বছরের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের স্পন্সর স্বত্ব পেয়েছে টপ অব মাইন্ড। বিসিবির বেজ প্রাইস ৩০ কোটি টাকার ওপর প্রথমে নিলাম ডাকে গ্রামীণফোন ৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। টপ অব মাইন্ড দর হাঁকায় ৩৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। দ্বিতীয় নিলামে টপ অব মাইন্ড দর হাঁকায় ৩৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। গ্রামীণফোন দর হাঁকায় ৩৭ কোটি ১০ লাখ টাকা। তৃতীয় নিলামে গ্রামীণফোন দর হাঁকায় ৪১ কোটি টাকা। টপ অব মাইন্ড দর দেয় ৪১ কোটি ৪১ লাখ টাকা। ৪১ লাখ টাকা বেশি হওয়ায় গ্রামীণফোনকে পেছনে ফেলে দেয় টপ অব মাইন্ড। এর আগে বিসিবির নিলাম বিজ্ঞপ্তির সূত্র ধরে মোট ছয় কোম্পানি দর জমা দিয়েছিল ক্রিকেট বোর্ডে। এর মধ্যে গ্রামীণফোন, টপ অব মাইন্ড ছাড়াও আরও তিন কোম্পানির নামা জানা গেছে। তারা হচ্ছেÑ একেসি, ইমপ্রেস টেলিফিল্ম এবং প্রোপার্টিজ লিমিটেড। নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে টম নির্বাচিত হওয়ার পর তাদের অভিনন্দন জানান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেন, ‘আমরা আশার চেয়েও বেশি সাড়া পেয়েছি এবং আরও ভাল লাগছে যে, একটি দেশীয় কোম্পানি আমাদের টিম স্পন্সর স্বত্ব কিনে নিতে পেরেছে। মূলত সম্প্রতি বাংলাদেশ দল অসাধারণ পারফর্মেন্স করায় টিম স্পন্সর বিক্রিতে এতটা সাড়া পেয়েছি বলে আমি মনে করি।’ এর আগে, সর্বশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজেও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের টিম স্পন্সর স্বত্ব কিনেছিল টপ অব মাইন্ড। সাহারার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে স্পন্সর খোঁজে বিসিবি। তাতে টপ অব মাইন্ড পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজের স্পন্সরশিপ কিনে নেয়। পরে তারা তা প্রাণ গ্রুপের কাছে বিক্রি করে দেয়। সাহারার সঙ্গে বিসিবির চুক্তির আগে দীর্ঘ আট বছর বাংলাদেশ দলের স্পন্সর ছিল গ্রামীণফোন। সেই গ্রামীণফোনকে টেক্কা দিয়ে আবারও জাতীয় দলের স্পন্সর হলো টপ অব মাইন্ড।
×