অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশে ১৭টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করার জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে উল্লেখ করে এরমধ্যে চীন যেটি নিতে চাইবে সেটিই পাবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
বুধবার মতিঝিলের দিলকুশার ইউনুস সেন্টারে বাংলাদেশ-চীন চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিসিসিআই) অফিস উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, চীন বিশ্বের প্রথম তৈরি পোশাক রফতানিকারক দেশ। আর বাংলাদেশ দ্বিতীয়। তবে বাংলাদেশের তুলনায় এখনও চীনে উৎপাদন খরচ বেশি। যে কারণে চীন বাংলাদেশে বিনিয়োগ স্থানান্তর (রিলোকেট) করতে চায়। তিনি বলেন, আমরাও চীনা বিনিয়োগকারীদের সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত। আমরা ১৭টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল চিহ্নিত করেছি। এরমধ্যে চীন যেটি নিতে চাইবে আমরা তাদের সেটিই দেব।
তোফায়েল বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে চীনের অনেক প্রকল্প রয়েছে। পদ্মা সেতুতে চীনা কোম্পানি অর্থায়ন করেছে। এছাড়া আমরা ৬০ বিঘা জমির উপর একটি শিল্পপার্ক করছি। চীনের কোম্পানি এতেও অর্থায়ন করছে। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, সেই বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জিত হচ্ছে। বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে মর্যাদার সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে সে দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। বিসিসিসিআই সভাপতি গোলাম দস্তগীর গাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত মা মিংকিয়াং, সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া প্রমুখ।