স্টাফ রিপোর্টার ॥ পহেলা বৈশাখে টিএসসিতে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় আইজিপির প্রাথমিক প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দিয়েছেন। আগামী ২৮ জুন পরবর্তী অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মোঃ সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে পুলিশের মহাপরিদর্শকের প্রাথমিক অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস। এদিকে একই বিষয়ে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে সময়ের আবেদন জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস জানান, প্রতিবেদনে পুলিশের মহাপরিদর্শক জানিয়েছেন, ওই ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুলিশের কোন গাফিলতি ছিল কি-না, তা খতিয়ে দেখতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে (ডিএমপি) নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওই ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
এ ছাড়া যাদের চিহ্নিত করা হয়েছে তাদের সন্ধানের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যান্যের প্রতিবেদন না পাওয়ায় সময়ের আবেদন করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২৮ জুন পুলিশের মহাপারিদর্শককে তদন্তের পরবর্তী অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
একই বিষয়ে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে সময়ের আবেদন জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। একজন আইনজীবীর মাধ্যমে এ বিষয়ে সময় চেয়েছেন ঢাবি কর্তৃপক্ষ।
গত ১৬ এপ্রিল যৌন হয়রানির ঘটনা তদন্তে পুলিশের মহাপরিদর্শক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে একমাস সময় বেঁধে দেন হাইকোর্ট বেঞ্চ। এ সময়ের মধ্যে দোষীদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তাও জানাতে বলা হয়েছিল উচ্চ আদালতকে।
গত ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যৌন হয়রানির ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত এসব প্রতিবেদন আমলে নিয়ে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত আদেশের পাশাপাশি রুলও জারি করেন।
রুলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতা ও দায়িত্বে অবহেলার দায়ে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চায় হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, পুলিশের রমনা জোনের উপ-কমিশনার ও শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: