ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আবারও সংলাপ চেয়েছে বিএনপি

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ২০ মে ২০১৫

আবারও সংলাপ চেয়েছে বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারের কোন আগ্রহ না থাকলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংলাপের দাবি জানিয়েই আসছে। মঙ্গলবার বিকেলে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মুখপাত্র ও দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন আবারও সরকারের সঙ্গে সংলাপের আহ্বান জানান। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের লক্ষ্যে সমঝোতা করতে সরকারের প্রতি সংলাপের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। আর এ জন্যই সরকারের সঙ্গে সংলাপ চাই। রিপন বলেন, ‘সংঘাত নয় শান্তি চাই’ বলে প্রধানমন্ত্রীর সম্প্রতি যে বক্তব্য দিয়েছেন আমরা তাকে সাধুবাদ জানাই। আমরা বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের পর বিরোধী দলকে নির্মূলের মনোভাব ও প্রতিহিংসা বন্ধ হবে, দেশের শান্তির জন্য যেসব বাধা রয়েছে, সেসব বাধা দূর হবে। বিরোধী দলকে দমন বা নিশ্চিহ্ন করার যে চেষ্টা হচ্ছে তাও বন্ধ হবে। আর প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে ‘বেসলাইন’ ধরেই সংলাপ ও সমঝোতার পরিবেশ সৃষ্টি হবে। রিপন বলেন, আমরা সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচনী পরিবেশ চাই। আমাদের দল বিএনপির আগাগোড়া সংঘাত নয়, শান্তির পক্ষেই অবস্থান। বিএনপি কখনই সংঘাত, নৈরাজ্য ও হানাহানির রাজনীতিকে সমর্থন দেয় না। একটি উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি বরাবরই শান্তিপূর্ণ পন্থায় সমস্যার সমাধান চেয়েছে। কিন্তু সরকার বিরোধী দলের মিছিল-সমাবেশ পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির মাধ্যমে মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। রিপন বলেন, ক্ষমতাসীনরা জনগণের ন্যায়সঙ্গত ভোটের অধিকারকে উপেক্ষা করে ক্ষমতায় এসেছে। তাই তাদের প্রতি আহ্বান আপনারা জনদাবির প্রতি সম্মান রেখে সমঝোতা ও সংলাপের পথে আসেন। তিনি বলেন, সালাহউদ্দিন আহমেদকে ভারতে পাওয়া গেছে। তার উন্নত চিকিৎসা দরকার। তাই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে এবং বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ করে দিতে আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এছাড়া বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের সব কারাবন্দী নেতাকর্মীর মুক্তির দাবি করছি। রিপন বলেন, সরকার সংবিধান স্বীকৃত সভা, সমাবেশ, মিছিল, হরতাল ও অবরোধের মতো মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোকে হরণ করে কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথকে উৎসাহিত করছে। এর ফলে বিরোধী মত দলিত হচ্ছে। বিরোধী নেতাকর্মীরা খুন, গুম, মামলা, হামলা ও গ্রেফতারে জর্জরিত হয়ে পড়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতি সুশাসন ও গণতন্ত্রের জন্য অন্তরায়। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক আফজাল এইচ খান, সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ-দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল প্রমুখ। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেলেন ২ নেতা ॥ বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেলেন ২ নেতা। এর মধ্যে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদ পেয়েছেন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ। আর সহ-দফতর সম্পাদক পদ লাভ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদল সভাপতি তাইফুল ইসলাম টিপু। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া গঠনতান্ত্রিক ক্ষমতা বলে তাদের দু’জনকে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান দিয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন জনকণ্ঠকে এ তথ্য জানান। যুক্তরাজ্য বিএনপির নয়া কমিটি ॥ এদিকে শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুসকে প্রধান উপদেষ্টা, আবদুল মালেককে সভাপতি এবং এম কয়সার আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক করে বিএনপির যুক্তরাজ্য শাখার নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়।
×