ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

অটো সিগন্যাল কার্যকর করা যাচ্ছে না

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ২০ মে ২০১৫

অটো সিগন্যাল কার্যকর করা যাচ্ছে না

রাজন ভট্টাচার্য ॥ চলমান ব্যবস্থাপনায় রাজধানীর রাস্তায় স্বয়ংক্রিংয় সিগন্যাল পদ্ধতি স্বল্প পরিসরে হলেও কার্যকর সম্ভব। সঠিক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ না নিয়ে হঠাৎ করে এ পদ্ধতি চালু করায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা ভেস্তে গেছে। পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের এই ব্যর্থতা গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করেন নগর বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায় ত্রুটিই প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ার মূল কারণ। সবার আগে অনুসন্ধান করে বের করতে হবে গোড়ায় গলদ কোথায়? উন্নত সব শহরেই এ পদ্ধতি কার্যকর সম্ভব হলে আমরা কেন পারব না? এদিকে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হলে সবার আগে প্রয়োজন রাস্তা ও ফুটপাথ দখলমুক্ত করা। নগরীতে পার্কিং সুবিধা নিশ্চিত করা। একটি উন্নত শহরের জন্য ২৫ ভাগ রাস্তা থাকা দরকার। ঢাকার আছে আট ভাগেরও কম। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক রাস্তা ব্যবহারের অনুপযোগী। তাই রাস্তা বাড়ানো জরুরী। পাশাপাশি পরিবহন নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই। সর্বোপরি একটি সুনির্দিষ্ট সংস্থাকে সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দিতে হবে। পর্যায়ক্রমে এ পদ্ধতির আওতায় আনতে হবে সকল রাস্তা। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ারও পরামর্শ অনেকের। সঠিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের মত দিয়েছেন তারা। সর্বোপরি এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে দেশ বিদেশের বিশেষজ্ঞদের কাজে লাগাতে হবে। উন্নত বিশ্বের সব শহরের স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল পদ্ধতিতে চলে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ। আমাদের দেশে অপরিকল্পিত নগরায়নসহ নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। অথচ এ কাজে বিনিয়োগ হয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। তবুও শত সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আধুনিক ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির দিকে আমাদের এগিয়ে যাওয়া সময়ের দাবি। দ্রুত হাত আর বাঁশি প্রথা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। জানতে চাইলে বিশিষ্ট নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম জনকণ্ঠ’কে বলেন, প্রতিটি প্রকল্পের বাস্তবায়ন নির্ভর করে সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার ওপর। প্রকল্প শুরুর আগে তা বাস্তবায়নযোগ্য কিনা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত। আমাদের দেশে অনেক প্রকল্প আছে যা ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি থাকায় বাস্তবায়ন সম্ভব হয় না। সম্প্রতি দেখা গেছে, পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া প্রায় সব প্রকল্পই বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। অপরাধ দমনে রাস্তায় সিসি ক্যামেরা, লেন পদ্ধতি, উল্টো পথে গাড়ি চলা রোধে কাঁটা বসানো থেকে শুরু করে ট্রাফিক সিগন্যাল পদ্ধতি সবই ভেস্তে গেছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, সব দেশে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা গেলে আমরা কেন পারব না। স্বল্প পরিসরে হলেও ঢাকার রাস্তায় স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল পদ্ধতি চালু সম্ভব এ কথা উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম বলেন, সঠিক পরিকল্পনা, জ্ঞান ও দক্ষতার অভাবে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের দিক থেকে আলোর মুখ দেখছে না। এতে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি যারা করছে তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তিনি বলেন, এ প্রকল্প নেয়ার সময় সঠিক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া হয়নি। দেশে ভাল বিশেষজ্ঞ না থাকলে দেশের বাইরের অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে কাজ শুরুর দরকার ছিল। বাস্তবায়ন সম্ভব না হলে প্রকল্প গ্রহণের দরকার ছিল না বলেও মনে করেন তিনি। সাবেক ইউজিসির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম আরও বলেন, রাজধানীতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন কঠিন কোন কাজ নয়। আনাড়ি লোকজনকে দায়িত্ব দেয়ার আজকের এই পরিণতি। তারা সঠিক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে ব্যর্থ হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, এর আগেও স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল পদ্ধতি অল্প সময়ের মতো ছিল। পুলিশই তা অকার্যকর করেছে। এখন তো আরও সফল হওয়ার কথা ছিল। যদি সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজটি হতো তাহলে ব্যর্থ হওয়ার কোন কারণ ছিল না। পুলিশ বলছে, সনাতন পদ্ধতির বদলে পরীক্ষামূলকভাবে ‘সময় নিয়ন্ত্রিত সংকেত বাতির’ মাধ্যমে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়েই এ বিপত্তি সোমবার দিনভর। যানজটের কারণে হোটেল সোনারগাঁও থেকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পৌঁছাতে অতিথিদের বিলম্ব হওয়ায় অনুষ্ঠান শুরু হয় আধা ঘণ্টা পরে। সিপিএ চেয়ারপার্সন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এজন্য অনুষ্ঠানে দুঃখও প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এটা ঢাকার প্রতিদিনের চিত্র নয়। ট্রাফিক বিভাগের পরীক্ষামূলক সংকেত ব্যবস্থার কারণে সাময়িক এই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। যানজটের কারণ খুঁজতে গেলে পুলিশের পক্ষ থেকেও বলা হয়, জটিলতার মূলে রয়েছে সঙ্কেত ব্যবস্থা। নিয়ন্ত্রণহীন যানবাহনের এই শহর আধুনিক সঙ্কেত ব্যবস্থা সামলাতে না পারায় বিভিন্ন সড়কে দীর্ঘ জটের সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক (দক্ষিণ) বিভাগের উপ-কমিশনার খান মোঃ রেদওয়ান বলেন, সোমবার সিগন্যাল বাতির মাধ্যমে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ঢাকা শহর স্থবির হয়ে যায়। এ কারণে কমিশনার সাহেবের নির্দেশে সোমবার সন্ধ্যার আগেই এটা স্থগিত করে দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার আগের মতো করেই সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ করার কথা জানান তিনি। মঙ্গলবার সকাল থেকে নগরীর সব রাস্তায় আগের মতোই ট্রাফিক পুলিশের মাধ্যমে বাঁশি আর হাত নেড়ে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত শুক্রবার রাজধানীর কাকলী থেকে শাহবাগ পর্যন্ত ১২টি মোড়ে পরীক্ষামূলকভাবে ‘টাইম কাউন্টার সিগন্যাল’ ব্যবস্থা চালু করা হয়। মহানগর পুলিশের সহায়তার সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশলীরা এ কাঠামো গড়ে তুলেছেন বলে উপ-কমিশনার রেদওয়ান জানান। এর আগেও বেশ কয়েকবার এ পদ্ধতিটি চালুর চেষ্টা হলেও ট্রাফিক পুলিশের অসহযোগিতার কারণে তাতে সাফল্য পাওয়া যায়নি বলে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে নতুন প্রশাসন দায়িত্ব নেয়ার পর বিষয়টি নতুন করে চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়। ঢাকার ট্রাফিক পুলিশের উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার কুদ্দুস আমিন বলেন, আধুনিক বিশ্বে রাস্তায় পুলিশ থাকে না। লাল বাতি জ্বলে- গাড়ি বন্ধ হয়, সবুজ বাতি জ্বলে- গাড়ি চলে। আমরা এখানে এটা চালু করতে চাই। তবে এই সিগন্যালের কারণেই ‘অতি মাত্রায়’ যানজট দেখা দেয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ ব্যবস্থা চালুর বিষয়ে আগে ঘোষণা ছিল কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিন চারদিন আগে থেকে পত্রিকায় এসেছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে কোন ঘোষণা ছিল না। এটা সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব। তারাই করে। যানজট নিরসনে ২০০১-০২ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ‘ঢাকা আরবান ট্রান্সপোর্ট’ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজধানীর ৭০টি মোড়ে আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি বসানো হয়। ২০০৯ সালের নবেম্বরে পরীক্ষামূলকভাবে স্বয়ংক্রিয় এই সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু করা হলেও অল্পদিনের মধ্যেই তা শিথিল হয়ে যায়। আবার শুরু হয় হাতের ইশারায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ। পুলিশের দাবি, এসব সিগন্যাল বাতি অল্প দিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পুরনো পদ্ধতিতে ফিরতে তারা বাধ্য হয়েছে। তবে এর পেছনে ডিসিসি ও পুলিশের দ্বন্দ্বই প্রধান কারণ ছিল। এরপর ২০১০-১১ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আবারও ঢাকার ৬৪টি মোড়ে সোলার প্যানেল ও টাইমার কাউন্ট-ডাউন বসানো হয়। ২০১২ সালের জানুয়ারিতে ডিজিটাল ট্রাফিক ব্যবস্থা চালুর অংশ হিসেবে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মধ্যে ‘ই-ট্রাফিক’ সেবারও চুক্তি হয়। কিন্তু ওই উদ্যোগও ফলপ্রসূ হয়নি। সংশ্লিষ্টরা জানান, শুক্রবার থেকে রাজধানীর শাহবাগ থেকে কাকলী পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল পদ্ধতি চালু করা হয়। শুক্রবার কোন সমস্যা না হলেও শনিবার বিকেল থেকে রাজধানীতে যানজট অসহনীয় হয়ে ওঠে। রবিবারও রাজধানীতে সারাদিন তীব্র যানজট ছিল। সোমবার সকাল না হতেই পুরো রাজধানী তীব্র যানজটে অনেকটা অচল হয়ে পড়ে। ফলে সিটি কর্পোরেশনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরী বৈঠক করে ঢাকা মহানগর পুলিশ। বৈঠক শেষে ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়ার নির্দেশে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি বাদ দিয়ে ম্যানুয়েল পদ্ধতি অর্থাৎ ট্রাফিক পুলিশ হাতের ইশারাতেই ট্রাফিকিং কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করেন। ডিএমপি সূত্র জানায়, কয়েকদিন আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। এ সময় তারা ঢাকা মহানগরের যানবাহন চলাচল নির্বিঘœ করতে সড়ক, ফুটপাথ অবৈধ দখলমুক্ত করা, রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির পর আবার মেরামত না করে নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রেখে জনভোগান্তি সৃষ্টি, মূল সড়কে গাড়ি পার্কিংসহ যেখানে-সেখানে বাস থামানো নিয়ে আলোচনা করেন। তাৎক্ষণিকভাবে তা নিরসনের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেন তারা। সিদ্ধান্তগুলো ছিল-শাহবাগ থেকে কাকলী পর্যন্ত স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল পরীক্ষামূলকভাবে চালু। মতিঝিল এলাকার সড়কে কার পার্কিং বন্ধ ও সিটি সেন্টারে কার পার্কিং ব্যবহার নিশ্চিত করা। দখল হয়ে যাওয়া সড়ক ও ফুটপাথ থেকে হকার উচ্ছেদ ও দখলমুক্ত করা। যেখানে-সেখানে বাস স্টপেজের কারণে সৃষ্ট যানজট নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এ বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত শুক্রবার থেকে স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক পদ্ধতি চালু করে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। কেস বা ক্লিন এয়ার এ্যান্ড সাসটেইনেবল এনভায়রনমেন্ট প্রকল্পের অধীনে দুই সিটি কর্পোরেশন ও ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ যৌথভাবে এই কার্যক্রম শুরু করেছিল। এদিকে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল পদ্ধতি চালু করার বিষয়ে আবারও ডিএমপি ও সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে বসবেন। সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধান না করা পর্যন্ত স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি আর চালাবেন না তারা। ঢাকা মহানগরে বেহাল ট্রাফিক সিস্টেম পদ্ধতি নিয়ে সম্প্রতি একটি জরিপ হয়েছে। এতে সিগন্যাল পদ্ধতির বেহাল চিত্র ফুটে উঠেছে। জানা গেছে, ডিএমপি এলাকায় মোট ৭৫ পয়েন্টে ট্রাফিক সিগন্যাল রয়েছে। এর মধ্যে ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগে ৩৪, পূর্ব বিভাগে ১২টি পশ্চিম বিভাগে ১৮ ও উত্তরে রয়েছে ১১টি। যার মধ্যে সম্পূর্ণ সচল ট্রাফিক সিগন্যালের সংখ্যা মাত্র ১২। অচল সিগন্যালের সংখ্যা ২৭ এবং আংশিক সচল সিগন্যালের সংখ্যা ৩৬। সর্বশেষ যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে রাজধানীর ৩৯ ট্রাফিক সিগন্যাল বিকল থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। পুলিশ বলছে, নিরাপদে যানবাহন চলাচলের জন্য ট্রাফিক পুলিশ সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ করছে। কিন্তু এর সরঞ্জাম সরবরাহের দায়িত্বে আছে ডিসিসি। অর্থাৎ কারিগরি পুরো বিষয়টি দেখ-ভালের দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনের। অপরদিকে ডিসিসি কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা পর্যাপ্ত সরঞ্জাম সরবরাহ দিচ্ছে।
×