ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভুয়া নকশাল সারেন্ডারের চাঞ্চল্যকর কাহিনী

প্রকাশিত: ০৩:৪৩, ২০ মে ২০১৫

ভুয়া নকশাল সারেন্ডারের চাঞ্চল্যকর কাহিনী

এ এক চাঞ্চল্যকর প্রতারণার কাহিনী, যা আগে কখনও ঘটতে দেখা যায়নি। ভারতে ‘চরমপন্থী আত্মসমর্পণ স্কিমের’ আওতায় সিআরপিএফে চাকরি পাওয়ার টোপ দেখিয়ে একটি চক্র ঝাড়খন্ডের পাঁচ শতাধিক নিরীহ ও হতদরিদ্র গ্রামবাসী যুবককে নকশাল সাজিয়ে অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করিয়েছে এবং চাকরির উৎকোচ হিসেবে তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। যুবকরা চাকরিও পায়নি, ফেরত পায়নি টাকাও। মাঝখানে প্রায় দু’বছরের মতো সময় কাটিয়েছে জেলে। চক্রের নেপথ্যে থাকা পুলিশ ও সিআরপিএফের কিছু উর্ধতন কর্মকর্তা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন। তবে অন্যতম হোতা হিসেবে প্রকাশ্যে যিনি ছিলেন, তিনি গ্রেফতার হয়েছেন। অপরাধ স্বীকারও করেছেন। তবে বলেছেন, সিনিয়র অফিসারদের নির্দেশেই এ কাজ করেছেন। ‘ইন্ডিয়া টুডে’ পত্রিকার এক অনুসন্ধানী রিপোর্টে এই কেলেঙ্কারি সবিস্তারে প্রকাশ করা হয়েছে। মজার ব্যাপার হলো, এমন ঘটনার তদন্তে পুলিশকে তেমন উৎসাহিত বোধ করতে দেখা যায়নি। সিবিআইকে তদন্ত করতে বলা হলেও তারা এখনও পর্যন্ত এ কাজে হাত দেয়নি। ভারতের নকশাল বা মাওবাদীদের মতো বাম চরমপন্থীকবলিত রাজ্যগুলোতে সরকারের একটা আত্মসমর্পণ ও পুনর্বাসন স্কিম আছে। সে অনুযায়ী চরমপন্থীরা অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করলে সংশোধিত হওয়ার জন্য একটা সময় তাদের কারাগারে কাটানো এবং তারপর সিআরপিএফ ও অন্যান্য আধাসামরিক বাহিনীতে চাকরি পাওয়ার ব্যবস্থা আছে। এই সুযোগটিকেই কাজে লাগিয়ে একটি চক্র কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে ভুয়া নকশাল আত্মসমর্পণের ব্যবস্থা করে। চক্রের নেপথ্যে যেসব রথী-মহারথীই থাক না কেন, এই বিচিত্র প্রতারণার পালের গোদা হিসেবে প্রকাশ্যে যাকে দেখা গেছে তার নাম রবি বোদ্রা। ২০১১ সালের এপ্রিল থেকে ২০১২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বোদ্রা ঝাড়খ-ের ৫১৪ জন যুবককে প্রলুব্ধ করে আত্মসমর্পণ করায়। এ ব্যাপারে সে রাচীর কোচিং সেন্টার দিকদর্শন ইনস্টিটিউটের মালিক-পরিচালক দীনেশ প্রজাপতির সঙ্গে জোট পাকায়। কিন্তু যাদের আত্মসমর্পণ করানো হয়, তারা প্রায় সবাই নিরীহ যুবক। নকশাল বা মাওবাদী হওয়া তো দূরের কথা, আইন লঙ্ঘনের কোন ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা অধিকাংশ যুবকেরই ছিল না। বোদ্রার সঙ্গে ওই যুবকদের যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে দীনেশ প্রজাপতি। পামেশ প্রসাদ নামে ঝাড়খ-ের খুন্তি জেলার ২১ বছর বয়সী যুবক ও বিকম দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ২০১৪ সালের ২৮ মার্চ পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করে যে, এই দীনেশ প্রজাপতিই আধাসামরিক বাহিনীতে চাকরি পাইয়ে দেয়ার কথা বলে ২০১২ সালের মে মাসে তার কাছ থেকে ২ লাখ রুপী নেয় এবং তার বন্ধু সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীর সাবেক ইনফর্মার বলে কথিত রবি বোদ্রার সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। বোদ্রা তাকে জানায় যে, সিআরপিএফে সারেন্ডার পলিসির অধীনে চাকরির ব্যবস্থা আছে। তাকে শুধু যে কাজটা করতে হবে তা হলো, নিজেকে নকশাল দাবি করে অস্ত্রসহ সিআরপির কাছে আত্মসমর্পণ করা। অস্ত্র নিয়েও তাকে ভাবতে হবে না, ওটা বোদ্রাই জোগাড় করে দেবে। আত্মসমর্পণের পর কয়েক মাস তাকে জেলে থাকতে হবে এবং পরে ‘সংশোধন হয়ে যাওয়া চরমপন্থী’ হিসেবে তাকে ওই বাহিনীতে রিক্রুট করা হবে। বলা বাহুল্য, এমন লোভনীয় টোপ প্রসাদ সহজেই গিলে ফেলে এবং বোদ্রার দেয়া অস্ত্রসহ ধরা দেয়। তাকে রাঁচীর পুরাতন জেল ক্যাম্পাসে সিআরপিএফ এলিট কোবরা ব্যাটালিয়নের এক ক্যাম্পে রাখা হয়। এই ‘উন্মুক্ত কারাগারে’ প্রসাদের মতো আরও কয়েক শ’ যুবককে রাখা হয়েছিল। সবার কাহিনী মোটামুটি এক। সবাইকে একই ভাবে টোপ গেলানো হয়। তারা টোপ গেলে এই স্বপ্ন বুকে নিয়ে যে, কিছুদিন কারাবাসের পর তাদের দুঃখরাত্রির তমিস্রাঘোর কেটে যাবে। কপালে জুটবে চাকরি। হোক কম বেতনের। তবুও সিআরপির কনস্টেবলের চাকরি তো! দারিদ্র্যের দুঃসহ কশাঘাত তাদের আর সইতে হবে না। তা থেকে মিলবে মুক্তি। ঝাড়খ-ের এই যুবকদের সিংহভাগই উপজাতীয়। অভাব-অনটনের মধ্যেই তাদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা। তাই সোনার হরিণ এই চাকরির জন্য তারা ধারদেনা করে কিংবা ঘটিবাটি বেচে অথবা দান-সাহায্য নিয়ে বোদ্রার হাতে টাকা তুলে দেয়। সবার বয়সই পামেশ প্রসাদের মতো বিশের কোটার প্রথম দিকে। যেমন কৃষ্ণ ও বায়ন। বয়স ২৫। বাড়ি রাঁচী জেলার মান্দারে। বাবা-মা আবাদি জমি বন্ধক রেখে টাকা জোগাড় করেছে। কৃষ্ণ দীনেশ প্রজাপতির হাতে তুলে দিয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার রুপী। কারাগারে কাটিয়েছে ৬ মাস। অথবা রাঁচীর নামকুম এলাকার সুন্দরা কুসুম (২৪), গুলমা জেলার কুলদ্বীপ বারা (২৪), একই জেলার বেওয়ারার করম দয়াল টি¹া (২৫), রাঁচীর হেহালা বস্তির রোশান টিরকে (২৪), একই জেলার ধুবরায় অমৃত প্রকাশ টিরকে (২৩), ওই জেলার পালি এলাকার বিজয় গোপ (২৪)। সবারই একই ঘটনা, একই কাহিনী, একই প্রতারণার শিকার হওয়া। সবাই জমি বন্ধক রেখে কিংবা বেচে অথবা ধারদেনা করে টাকা যোগাড় করেছে এবং তুলে দিয়েছে হয় বোদ্রা, নয়ত প্রজাপতির হাতে। অতঃপর আত্মসমপর্ণের সেই একই কাহিনী। সবাইকে অস্ত্র যোগানোর কাজটি করেছে বোদ্রাই। কাউকে জুগিয়েছে রাইফেল, কাউকে পিস্তল, কাউকে বোমা অথবা গুলি। কেউ জেল খেটেছে ৬-৭ মাস, কেউ দেড়-দুই বছর। নকশাল বা মাওবাদী হিসেবে আত্মসমর্পণের পর তাদের নিয়ে যাওয়া হয় রাঁচীর পুরাতন কারাগারে, যেখানে সিআরপিএফের এলিট ব্যাটালিয়ন কোয়ার ক্যাম্প আছে সেই ক্যাম্পাসে। সেখানকার জীবন অবশ্য মন্দ ছিল না ওদের জন্য। কাজ বলতে ছিল শুধু ফিটনেস ড্রিল আর অফিসারদের ফুট ফরমায়েশ খাটা। যখন ইচ্ছা ওরা ওদের গ্রামে যেতে পারত। কখনও কখনও সিআরপিএফের বাহনে করে তাদের পৌঁছে দেয়া হতো বাড়িতে। ক্যাম্পে পাওয়া জলপাই-সবুজ ইউনিফর্ম গায়ে চড়িয়ে ওরা যখন বাড়িতে যেত, মহল্লার লোকজনের মধ্যে সম্ভ্রম জাগত ওদের প্রতি। দেখাদেখি আরও অনক তরুণ ক্যাম্পে যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ হতো। একমাত্র শর্ত ‘নকশাল’ হিসেবে আত্মসমর্পণ করতে হবে। এটা অবশ্য কোন সমস্যা ছিল না ওদের জন্য। স্থায়ী সরকারী চাকরির জন্য এই মাসুল তো সামান্য। ঘাপলা আঁচ করলেন আইজি এভাবেই রাঁচীর সেই পুরাতন জেলখনায় সিআরপির ক্যাম্পে আত্মসমপর্ণকারী তরুণের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ৫১৪-এ এসে দাঁড়াল। ওদের তালিকা হয়ত আরও দীর্ঘ হতো, যদি না ইতোমধ্যে রাঁচীতে সিআরপিএফের ইন্সপেক্টর জেনারেল হিসেবে আগমন ঘটত এমভি রাওয়ের। ২০১২ সালের অক্টোবরে দায়িত্ব নেয়ার অল্পদিনের মধ্যে রাও এ ব্যাপারে একটা ঘাপলা আঁচ করতে পারলেন। তিনি লক্ষ্য করলেন, ৫১৪ জন তরুণ বেআইনীভাবে সিআরপিএফ ক্যাম্পে রয়েছে। তিনি তখন ঝাড়খ- পুলিশের ডিজিকে চিঠিতে জানালেন, এই তথাকথিত আত্মসমর্পণকারী নকশালের মধ্যে মাত্র গুটিকয়েকজনের বিরুদ্ধে সত্যিকারের মামলা রয়েছে। বাকিদের নকশাল কর্মকা-ে সম্পৃক্ততা বা অংশগ্রহণ যাচাই না করেই আনা হয়েছে। তিনি আশঙ্কা করলেন, নিরীহ অথবা সাধারণ অপরাধীদের নকশাল সাজিয়ে আত্মসমপর্ণ করানোর মাধ্যমে অসাধু ব্যক্তিদের সারেন্ডার পলিসির আওতায় কায়দা হাসিল করার সবরকম সম্ভাবনা নিহিত। কে এই রবি বোদ্রা? মাওবাদী নেতাদের মতো রবি বোদ্রা ছদ্মনাম ধারণ করত এবং সেই নামটি ছিল রমেশ বারলা। স্পোর্টস কোটায় তাকে নাগাল্যান্ডের কনস্টেবল হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। পরে ২০০০ সালে সে চাকরি ছেড়ে দেয়। এর অল্পদিন পর জনৈক মহিলাকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে সে কারাগারে স্থান পায়। তবে চার দিনের মধ্যে জামিনে বেরিয়ে আসে। ছাড়া পাওয়ার পর মণিপুর ও অসমে সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীর ইনফর্মার হিসেবে কাজ করতে শুরু করে বোদ্রা। ২০১১ সালে সে ঝাড়খ-ে চলে গিয়ে সন্দেহভাজন নয় এমন যুবকদের নকশাল সেজে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে প্রলুব্ধ করে। টোপ হিসেবে তাদের সিআরপিএফ ও অন্যান্য আধাসামরিক বাহিনীর চাকরি পাইয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। ৫১ বছর বয়স্ক বোদ্রা নিজেকে সেনাবাহিনীর এক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল হিসেবে পরিচয় দেয়। একটা এসইউভি যানে করে ঘুরে বেড়াত। সঙ্গে থাকত কোবরা ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। এতে তার বিশ্বাসযোগ্যতা বেড়ে যায়। চাকরি প্রত্যাশীরা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চাকরি না পেয়ে হৈচৈ জুড়ে দিলে বোদ্রা উড়িষ্যায় চলে যায়। সেখানে মাওবাদী নেতা হিসেবে চাঁদাবাজির দায়ে ২০১৩ সালে গ্রেফতার হয়। ময়ুুরভঞ্জ কারাগারে ৪০ দিন কাটানোর পর জামিনে ছাড়া পায়। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে সে ঝাড়খ-ে ফিরে যায় ও মার্চ মাসে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। বোদ্রা স্বীকারোক্তিতে বলে যে, সিনিয়র অফিসারদের নির্দেশেই সে অপকর্মটি করেছে। উদ্দেশ্য কী ছিল? রাঁচীর পুলিশের ডিজিকে লেখা রাঁচীর সিআরপিএফের তৎকালীন আইজি রাওয়ের সেই চিঠি থেকে এই ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, ঝাড়খ-ের ৫১৪ যুবককে নকশাল সাজিয়ে আত্মসমর্পণ করানোর এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটা স্রেফ রবি বোদ্রা ও সিআরপিএফের কিছু লোকের একটি চক্রের কাজ নয়, এর পেছনে সিআরপিএফ ও ঝাড়খ- পুলিশের একটা আঁতাতও কাজ করেছে, যার মধ্যে রাঘববোয়ালরাও জড়িত। এরা ধরি মাছ না ছুঁই পানি গোছের একটা কৌশল উদ্ভাবন করে, যেখানে দ্রুত কিছু অর্থ বাগিয়ে নেয়া যাবে, আবার এতজন নকশাল আত্মসমর্পণ করানোর জন্য ওপর মহল থেকে বাহবাও পাওয়া যাবে। শুধু তাই নয়, এই কাজের পুরস্কার হিসেবে ওই অফিসাররা পদোন্নতিও আশা করেছিল। কারণ ঘটনাটা যে সময়ের মধ্যে ঘটেছে, সে সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন পি চিদাম্বরম এবং তারপরে সুশীল কুমার সিন্ধে। এরা দু’জনই ঝাড়খ-ের প্রতি বিশেষ নজর দিয়ছিলেন এবং সেখানকার চরমপন্থীদের আত্মসমর্পণ করানোর ব্যাপারে অতিমাত্রায় উৎসাহী ছিলেন। কিন্তু ওই অফিসারদের বিধি বাম। কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়ে তাদের গোটা পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। রাওয়ের চিঠির প্রেক্ষাপটে ঝাড়খ-ের স্বরাষ্ট্র দফতর কোবরা ক্যাম্পের সেই ৫১৪ জন যুবকের নথিপত্র পরীক্ষার নির্দেশ দেয়। দেখা যায়, মাত্র ৬ জন যুবকের বাম চরমপন্থীদের সঙ্গে কোন না কোন ধরনের সংশ্রব ছিল এবং আত্মসমর্পণ নীতির আওতায় তাদের সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। বাকি ৫০৮ জনকে ক্যাম্প থেকে চলে যেতে বলা হয়। এদিকে প্রতারিত ৫১৪ জন যুবকের অন্যতম পামেশ প্রসাদ ২০১৪ সালের ২৮ মার্চ রাঁচীর এক থানায় অভিযোগ দায়ের করে এবং তাতে সে কিভাবে কার কার দ্বারা প্রতারিত হয়েছে সবিস্তারে উল্লেখ করে। এ ধরনের আরও কিছু অভিযোগ পাওয়ার পর হৈচৈ সৃষ্টি হয়। বোদ্রাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রজাপতি আদালতে আত্মসমর্পণ করে। সে বছরের মে মাসে এই মামলায় চার্জশীট দাখিল করা হয়। ঝাড়খ-ের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এ ব্যাপারে সিবিআইয়ের তদন্ত দাবি করেন। তারপরই সব চুপচাপ হয়ে যায়। কোন পুলিশ বা সিআরপিএফ অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। এমনকি বোদ্রা আত্মসমর্পণের জন্য সংশ্লিষ্ট যুবকদের যেসব অস্ত্রশস্ত্র দিয়েছিল, সেগুলো সে কিভাবে কোত্থেকে ম্যানেজ করেছিল এবং যুবকদের কাছ থেকে উৎকোচ হিসাবে নেয়া অর্থই বা কোথায় গেল, সে ব্যাপারেও কোন তদন্ত হয়নি। এমন এক কেলেঙ্কারি কিভাবে ঘটতে পারল, এ নিয়ে ইন্ডিয়া টুডের পক্ষ থেকে পুলিশ ও সিআরপিএফের উর্ধতন মহলের মতামত চাওয়া হলে দেখা যায়, সবাই এ ঘটনা থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখতে বা গা বাঁচাতে চাইছে। কেউ কেউ স্রেফ অস্বীকার করে বলেছে, ‘কৈ, এমন কোন সারেন্ডার তো হয়নি।’ সিআরপিএফের আইজি বলেছেন, ‘আত্মসমর্পণকারী ওই নকশালদের রাঁচীর পুরাতন কারাগারে কেন রাখা হয়েছিল পুলিশই তা বলতে পারে, সিআরপিএফ নয়। সিআরপিএফ ঘটনাটা জানত। কারণ একই জায়গায় ওরা থাকত। একই প্রবেশপথ ব্যবহার করত। এভাবে কেলেঙ্কারির দায় একের কাঁধ থেকে অন্যের কাঁধে চাপানোর চেষ্টা চলছে। ব্যাপারটা যে দু’পক্ষের যোগসাজশেই হয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে
×