ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

৬ পাসপোর্ট দালালের কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ১৯ মে ২০১৫

৬ পাসপোর্ট দালালের কারাদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের ৬ দালালকে তিন মাস করে সাজা প্রদান করা হয়েছে। র‌্যাব-২ পরিচালিত একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত এ সাজা প্রদান করে। সাজাপ্রাপ্তরা হলোÑআব্দুল মালেক (৩২), নাসির (২২), এসএম টুটুল (৩০), আউলাদ মুন্সী (৪৮), রাজু (২৭) ও রানা (২৮)। জানা যায়, সংঘবদ্ধ এ দালালচক্র দীর্ঘদিন ধরেই আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের সামনে এবং পাশের সোনালী ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার লাইনে দাঁড়ানো পাসপোর্ট প্রার্থীদের ফরম পূরণ, ফরম সত্যায়ন, ব্যাংকে ফি জমা, কাগজপত্র ঘাটতি, ভুল বা ভুয়া কাগজপত্র, এমনকি ২০০০-৬০০০ টাকায় ভেরিফিকেশন ছাড়া অতি দ্রুত পাসপোর্ট তৈরির সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেয়ার জন্য প্রলুব্ধ ও বিরক্ত করছিল। পাসপোর্ট প্রার্থীরা রাজি না হওয়া পর্যন্ত দালালরা নানাভাবে বিরক্ত করে। অল্প সময়ে পাসপোর্ট করে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে তাদের নিকট হতে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। কখনও কখনও হয়রানির পর পাসপোর্ট প্রদান এবং অনেক সময় পাসপোর্ট প্রদান না করে প্রতারণা করে আসছিল। জানা যায়, এদের উপদ্রব থেকে রক্ষার জন্য সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে পাসপোর্ট অধিদফতর। বিজ্ঞপ্তিটি নোটিস বোর্ড ছাড়াও বিভিন্ন দৃশ্যমান স্থানে ঝুলানো হয় এবং মাইকিং করে উপদ্রব সৃষ্টিকারী দালালদের সতর্ক করা হয়। এছাড়া বিজ্ঞপ্তিটি বড় আকারের সাইনবোর্ডে বড় বড় অক্ষরে লিখে পাসপোর্ট অফিসের প্রবেশ গেট সংলগ্ন ভবনের দেয়ালে স্থাপন করা হয়েছে, যা বাইরের রাস্তা থেকেই দৃশ্যমান। এ সব সতর্কীকরণ পদক্ষেপ গ্রহণের পরেও দালাল চক্রের উপদ্রবে সাধারণ মানুষের হয়রানি বন্ধ না হওয়ায় র‌্যাব-২ নিয়মিত গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব সোমবার আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের সামনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। এ সময় ৬ জন সদস্যকে গেফতারের পর তাদের কাছ থেকে ৭০টি পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়। মতিঝিলে ৫ প্রতারক আটক ॥ রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে চাকরিদাতা পরিচয়দানকারী পাঁচ প্রতারককে আটক করেছে র‌্যাব-৩ সদস্যরা। প্রতারক চক্রটি চাকরি দেয়ার কথা বলে দীর্ঘদিন ধরে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করে আসছিল। তিনি জানান, গতকাল দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রতারক চক্রটিকে আটক করা হয়েছে। তারা মানুষের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছিল। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৫ জন ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। অপরদিকে, মোহাম্মদপুর রায়েরবাজার এলাকা থেকে গত রবিবার রাতে চোরাই মালামালসহ মোঃ স্বপন মিয়া (৩৮) ও মোঃ তারেক (২৮) নামে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-২ সদস্যরা। এ সময় তাদের কাছ থেকে চোরাইকৃত ১৬টি মোবাইল সেট, ১টি ট্যাব, ১টি কম্পিউটারের সিপিইউ ও ১টি সিডি রোম উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার ওই দু’জন চোর চক্রের সদস্য। তারা আদাবর, মোহাম্মদপুর, ধানম-ি এবং হাজারীবাগ থানা এলাকায় চুরিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকা- করে আসছিল। স্বপন এই গ্রুপের নেতৃত্ব দিত। চার মাদক ব্যবসায়ী আটক ॥ রাজধানীর কারওয়ানবাজারের বস্তি এলাকা থেকে মাদক ও মাদক বিক্রির টাকাসহ চারজনকে আটক করেছে র‌্যাব। রবিবার রাত ১টার দিকে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলো- মোঃ সাগর (২৫), মোর্শেদা বেগম (৪০), মোছা. সুলতানা (২২) ও সুরমা (১৮)। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মেজর মোঃ মাকসুদুল আলম জানান, র‌্যাব-২ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। তাদের কাছ থেকে ২২৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও মাদক বিক্রির সাত হাজার টাকা জব্দ করা হয়। ডেমরার কুখ্যাত মাদক সম্রাট আটক ॥ ডেমরার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ও একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মনিরকে (৩১) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার ভোরে ডগাইর আল-আমিন রোড থেকে গোপন সংবাদেরভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে। এরপর দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মনির মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থানার বালাশুর বাইল্লা গ্রামের লিয়াকত মিয়ার ছেলে। সে বর্তমানে ডেমরার ডগাইর এলাকার চুন্দিপাড়া নতুন পাড়ার মোঃ মফিজুর রহমানের বাড়ির ভাড়াটিয়া। পুলিশ জানায়, মনির দীর্ঘদিন ধরে ডেমরার ডগাইর এলাকায় ইয়াবা, ফেনসিডিল, মদ, বিয়ারসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক সরবরাহ ও বিক্রি করে আসছিল। মনিরের বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া তাকে ইতোপূর্বে বেশ কয়েকবার জেল হাজত খাটতে হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যে বেরিয়ে এসেই মনির পুনরায় মাদক বিক্রি শুরু করে।
×