ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

উন্নয়নের নামে দেশেরগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংসের চক্রান্ত করছে সরকার ॥ রিপন

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ১৯ মে ২০১৫

উন্নয়নের নামে দেশেরগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংসের চক্রান্ত করছে সরকার ॥ রিপন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ উন্নয়নের নামে সরকার দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংসের চক্রান্ত করছে সরকার। উন্নয়নের বিপরীতে গণতন্ত্রকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অথচ গণতন্ত্র কখনও উন্নয়নের প্রতিপক্ষ হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। সোমবার বিকেলে দলের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, দেশের মানুষ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। গণতন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধি চায়। সরকারকে গণতন্ত্রের প্রতি আরও মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের তিনি বলেন, উন্নয়নের বিপরীতে গণতন্ত্রকে দাঁড় করানোর চেষ্টা অত্যন্ত ভয়াবহ ও স্বৈরশাসকের চিন্তাভাবনা। এ সময় তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সীমিত গণতন্ত্রের ব্যাখ্যা দাবি করে বলেন, যেহেতু মোঃ নাসিম সরকারের দায়িত্বশীল পদে অধিষ্ঠিত ও ১৪ দলীয় মহাজোটের মুখপাত্র, তাই গণতন্ত্র সীমিত করার পক্ষে তার দেয়া বক্তব্যের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দাবি করছি। সীমিত গণতন্ত্রের নামে জনগণের সাংবিধানিক অধিকারকে আইনী কাঠামোতে এনে আরও সঙ্কুচিত করতে চায় কি না তা সুস্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। অবৈধ ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোট সীমিত গণতন্ত্রের কথা ঘোষণা করে দেশকে কোন দিকে নিয়ে যেতে চায় তা নিয়ে বিএনপি উদ্বিগ্ন বলে উল্লেখ করেন রিপন। এ সরকারের আমলে জনগণ মৌলিক অধিকার পাচ্ছে না। মানুষ আইনের শাসন থেকে বঞ্চিত। এরপরেও গণতন্ত্র সঙ্কুচিত করলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। তিনি বলেন, দেশের বর্তমান শাসকগোষ্ঠী গত ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনের মধ্যদিয়ে ক্ষমতায় চেপে বসেছে। তাদের পক্ষে জনগণের কোন ম্যান্ডেট নেই। ইতোমধ্যেই গণতন্ত্রকে সঙ্কুচিত করে ফেলেছে। উন্নয়নের কথা বলে তারা দেশে একদলীয় ফ্যাসিবাদের দিকে এগিয়ে চলছে। পাকিস্তান আমলে আইয়ুবের শাসনামলে উন্নয়নের এক দশক বলে একটি বক্তব্য প্রচলিত ছিল। কিন্তু দেশের মানুষ সেই উন্নয়ন গ্রহণ করেনি। এদেশের মানুষ স্বাধীন ও গণতন্ত্রপ্রিয়। আইয়ুবের উন্নয়নের গণতন্ত্র তারা মেনে নেয়নি। মেনে নিলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বিএনপির এই নেতা বলেন, সালাহউদ্দিন আহমেদকে ভারতে পাওয়া গেছে। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ও বিদেশে চিকিৎসা দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। যেহেতু তার কাছে কোন পাসপোর্ট নেই, সেহেতু এ ক্ষেত্রে অবশ্যই সরকারকে মানবিক হতে হবে। এ বিষয়ে সরকারের সহযোগিতা আাশা করি। মোদিকে স্বাগত জানাবে বিএনপি ॥ মাহবুবুর রহমান ॥ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব) মাহবুবুর রহমান বলেছেন, সীমান্ত চুক্তির ফলে ছিট মহলের লাখো মানুষ বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেয়েছেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ছিলেন পরিচয়হীন। ভারতের এ মানসিক পরিবর্তনকে স্বাগত জানাই। ৬ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরকেও স্বাগত জানাই। বাংলাদেশের জনগণের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বর্তমান মোদি সরকার কাজ করেছে। বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আশা করব তিনি বাংলাদেশে এসে অবশিষ্ট সমস্যাগুলো সমাধান করবেন। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের সাংঘাতিক সঙ্কটের কারণেই দেশ এখন অন্যায় অত্যাচারে জর্জরিত হয়ে পড়েছে। স্বাধীনতার পর দেশ যেভাবে এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিল সেভাবে না এগোনোর কারণ গণতন্ত্রের সাংঘাতিক সঙ্কট। সিটি নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটকে সরকার ভোট বর্জন করতে বাধ্য করেছে। নির্বাচনের দিন সরকারের ক্যাডার বাহিনী যে তা-বলীলা চালিয়েছিল তা গোটা বিশ্বের মানুষ জানে। আর এই তা-বলীলার কারণেই ২০ দলীয় জোট ভোট বর্জন করতে বাধ্য হয়েছিল।’ তিনি বলেন, ভারত থেকে চাল আমদানির কারণেই সরকার চাল আমদানি করছে। আমাদের তো উদ্বৃত্ত আছে, তাহলে আমদানির দরকার কী। কৃষকরা চালের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। তিনি বলেন, কৃষিপ্রধান দেশ হওয়া সত্ত্বেও যে দেশ কৃষকদের মূল্যায়ন করতে জানে না সে দেশ কখনও এগিয়ে যেতে পারে না। অথচ দেশের সমাজ সংস্কৃতি সবকিছুতেই কৃষকদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী কৃষকদল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ তাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কৃষক দলের সহ সভাপতি নাজিমুদ্দিন, সাংবাদিক নজমুল হক নান্নু প্রমুখ।
×