ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যুগ যুগ ধরে পীড়নের শিকার রোহিঙ্গারা নিজ দেশে পরবাসী

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ১৯ মে ২০১৫

যুগ যুগ ধরে পীড়নের শিকার রোহিঙ্গারা নিজ দেশে পরবাসী

মোয়াজ্জেমুল হক/এইচএম এরশাদ ॥ ওরা নিজ দেশে পরবাসী। ওরা ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর একটি অংশ। ওরা স্থায়ী নাগরিক না অভিবাসী তা হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে আজও অমীমাংসিত। নির্যাতন নিপীড়নের ক্রমাগত শিকার হয়ে ওরা শুধু নিজ দেশের বাপদাদার ভিটে মাটি ছেড়ে কেবলই পালাচ্ছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশসহ পৃথিবীর যে দেশে সুযোগ হচ্ছে সে দেশে তারা অহরহ অবৈধভাবে প্রবেশ করছে। প্রবেশের এই পথে ওরা ধরা পড়ে কখনও জেল জীবন হচ্ছে এদের ঠিকানা, আবার কেউ বা দুর্গম পথ পাড়ি দিতে গিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে, কখনও দালাল চক্রের অত্যাচারে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করছে। ওরা রোহিঙ্গা। মিয়ানমারের সাবেক আরাকান প্রদেশের স্থায়ী বাসিন্দা। মিয়ানমারের সামরিক জান্তা রোহিঙ্গাদের সে দেশের নাগরিক হিসেবে মেনে নিতে পারছে না এখনও। মিয়ানমারের দাবি ওরা যুগ যুগ আগে বাংলাদেশ থেকে অভিবাসী হয়ে সেদেশের বসতি গেড়েছে। সুতরাং রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক নয় বলে সাফ জবাব সেদেশের সরকারের। রোহিঙ্গা মুসলমানরা আরাকান প্রদেশের যুগ যুগান্তরের তাদের স্থায়ী বাসিন্দা। কিন্তু মিয়ানমার সরকার এ সত্য শুধু অস্বীকার করেই চলছে না, উপরন্তু তাদের হত্যার মাধ্যমে, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে নিঃশেষ করে দিয়ে প্রকাশ্যে যে অমানবিক আচরণ অব্যাহত রেখেছে তা বিশ্বব্যাপী আলোচিত ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের সর্বোচ্চ শক্তিধর দেশ আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কয়েক দফায় এসব নিপীড়িত রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন মিয়ানমার সরকারের প্রতি। সেদেশের সরকার অঘোষিতভাবে তা মেনে নেয়া আশ্বাস দিলেও তা এখনও যেন সুদূর পরাহত। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সদস্যদের মতে, তাদের বাঙালী বলে স্বীকার করাতে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে ইতোপূর্বে। যারা বাঙালী নয় বলে দাবি করছে-তাদের উপর অমানুষিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে ঘরবাড়ি। মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী ক্যাম্পে ধরে নিয়ে সেখানে হাত-পা বেঁধে দিনের পর দিন উপোস রেখে শারীরিক নির্যাতন চালানোর ঘটনা নিয়মিত। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ দেশটির পশ্চিমের রাখাইন রাজ্যের (সাবেক আরাকান) নির্যাতিত মুসলিম রোহিঙ্গাদের স্বীকৃতি দিতে নারাজ। বর্তমানেও ওইসব রোহিঙ্গা মুসলিমদের মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত করতে তারা এ ব্যবস্থা নিয়েছে। এজন্য সেদেশে বসবাসকারী রোহিঙ্গা মুসলিমরা মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড বা বাংলাদেশে যত বেশি চলে যাবে, এতে তত বেশি খুশি মিয়ানমার সরকার ও সেদেশের সাম্প্রদায়িক জাতিগোষ্ঠী। সম্প্রতি শেষ হওয়া আদমশুমারিতে দেশটির নাগরিকরা ১৩৫টি জাতিসত্তার মধ্যে নিজেদের পরিচয় বেছে নেয়ার সুযোগ পেলেও তালিকায় রোহিঙ্গা নামে কোন জাতিসত্তার অস্তিত্ব রাখা হয়নি। যার কারণে ওইসব রোহিঙ্গা মুসলিম মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে আদমশুমারিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেনি। এ কারণে মালয়েশিয়ার উদ্যোগে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ে বৈঠকে বসার যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তাতে রোহিঙ্গা মুসলিমদের সেদেশের নাগরিক নয় বলে দাবি করে ওই বৈঠকে অংশগ্রহণে রাজি হচ্ছে না মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ৩০ মার্চ থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত মিয়ানমারে আদমশুমারি করা হয়। ১৯৮৩ সালেও একবার আদমশুমারি করা হয়েছিল ওই দেশে। ওই সময় সর্বশেষ হিসাব মতে দেশটিতে জনসংখ্যা ছিল ৬ কোটি। ২০১৪ সালের গণনা মতে প্রায় ৫ কোটি দশ লাখ। এ আদমশুমারিতে মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গা মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এরপর থেকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ দেশটির পশ্চিমের রাখাইন রাজ্যের মুসলিম রোহিঙ্গাদের বাঙালী পরিচয় দিতে নানাভাবে তালবাহানা করছে। জাতিসত্তার প্রশ্ন তুলে আদমশুমারিতে মিয়ানমার নাগরিকদের অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। অবশ্য দেশটির উত্তরাঞ্চলের কোচিন রাজ্যের বেশ কিছু অংশ জাতিগত বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখানকার নাগরিকরাও ঐ আদমশুমারিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেনি। মিয়ানমার থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, আদমশুমারিতে মিয়ানমারের যে সব রোহিঙ্গারা বাঙালী পরিচয়ে লিপিবদ্ধ হয়নি এবং স্বাক্ষর করেনি তাদের জোরপূর্বক জিম্মি করে নানা রকমের নির্যাতন চালিয়ে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশে ঠেলে দেয়ার প্রবণতা নিয়মিত বাড়ছে। রোহিঙ্গা কারা ॥ ঘরহারা, পথহারা, দেশহারা, পরিচয়হারা এক জনগোষ্ঠীর নাম রোহিঙ্গা। পূর্ব পূরুষরা বলতেন ‘রোয়াইঙ্গা’। চট্টগ্রামের তাবত আদি বাসিন্দাদের কাছে এই উচ্চারণটিই সর্বাধিক পরিচিত। কারণ তারা যে দেশে থাকে বা যে দেশ থেকে আসে তার নাম রোয়াং। সেকালে রোয়াং একটি বর্ধিষ্ণু জনপদ ছিল, আয়-রোজগারও বেশি ছিল। তাই সেখানে যারা কাজ করতে যেতেন তারা উপার্জন শেষে আবার যথাসময়ে ঘরে ফিরতেন। ওই সময়ে ঘরের কারও কোন দুশ্চিন্তা ছিল না। চাটগাঁইয়ারা কাজের জন্য রোয়াং গেলেও সাধারণত সেখানে স্থায়ী বসবাস গড়ত না। ‘রোয়াং’ হচ্ছে বর্তমান মিয়ানমারের আকিয়াব (বর্তমানে সিটওয়ে) তথা আরাকান রাজ্যের রোসাং এলাকা। আর এই রোসাং রাজ্যই হচ্ছে বর্তমান মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ। শ’ শ’ বছর ধরে ওই মিয়ানমার এলাকায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী রাখাইন জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি ইসলাম ধর্মাবলম্বী জনগোষ্ঠী (রোহিঙ্গা) বসবাস করে আসছে। আর রোসাং বা রোয়াং অঞ্চলের এই মুসলিম জনগোষ্ঠী চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের মানুষের কাছে রোসাইঙ্গা বা রোহাইঙ্গা বা রোয়াইঙ্গা অথবা রোহিঙ্গা নামে পরিচিত। এই নামটি বর্তমানে পৃথিবীর মানুষের কাছে রোহিঙ্গা নামে পরিচিতি লাভ করেছে। বলাবাহুল্য, মুসলিম রোহিঙ্গা হচ্ছে পৃথিবীর ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ। অথচ এদের কোন স্বীকৃত দেশ নেই, ভিটেবাড়ি নেই, ঘর নেই, দেশ নেই, নাগরিকত্ব নেই। এর মূল কারণ, সুদূর অতীতকাল থেকে তৎকালীন বার্মা বা বর্তমান মিয়ানমার সরকার এদের নাগরিক হিসেবে বরাবরই অস্বীকার করে আসছে। পাশাপাশি তাদের আশ্রিত জনগোষ্ঠীর মতো সরকার ও সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের কাছে করুণা-নির্ভর করে রেখেছে। ওই জনগোষ্ঠীকে মিয়ানমারের বৈধ নাগরিক হিসেবে গ্রহণ করা হলেই সমস্যাটির আসল সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া সহজ। এটি যত দেরি হবে, সমস্যা তত জট পাকাতে থাকবে বলে বিশেষজ্ঞ সকল মহলের জোরালো অভিমত রয়েছে। জানা গেছে, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে গ্রহণ করতে বাধা একটাই। আর সেটি হচ্ছে, মূলত মিয়ানমার সরকার ও সে দেশের সংখ্যাগুরু জনগণের মানসিকতা। নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত সেদেশের বিরোধী নেত্রী অং সাং সুকি ইউরোপ সফরকালে এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেয়ার ব্যাপারে সে দেশের নাগরিকত্ব আইন খতিয়ে দেখতে হবে। তবে কি এ আইনে কোন বাধা আছে? থাকলে সেটি দূর করার দায়িত্ব অবশ্যই সেদেশের সরকারের। এক্ষেত্রেও নির্ণায়ক ভূমিকা থাকতে হবে জাতিসংঘ, বৃহৎ শক্তি ও আন্তর্জাতিক সম্পদায়গুলোর। বর্তমানেও যে হারে রোহিঙ্গারা দেশ ত্যাগী হয়ে মাঝপথে অকালে মৃত্যুবরণ করছে, বিভিন্ন দেশে কারাবন্দী হচ্ছে এবং শরণার্থী শিবিরে বাসিন্দা হচ্ছে তাদের নিয়ে এই নোবেল বিজয়ী অং সাং সুকির কোন বক্তব্য নেই। অথচ সারাবিশ্বের গণমাধ্যমে রোহিঙ্গারা একটি শীর্ষ স্থানীয় খবরের বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়ে আছে। স্মরণ যুদ্ধ ১৯৮৮ সালে বৌদ্ধ ভিক্ষু ও ছাত্ররা মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে অংসাং সুকি কারাগারে বন্দী হয়েছিলেন। তার মুক্তির জন্য রোহিঙ্গা মুসলমানদের তৎপরতার কমতি ছিল না। এদিকে আরও জানা গেছে, মিয়ানমারে মুসলিম জনগোষ্ঠীর প্রবেশ অন্তত ৮ম শতকে, যখন রামরী দ্বীপের (বর্তমান সেন্টমার্টিন দ্বীপ) পাশে আরব বণিকদের জাহাজডুবির পর রক্ষাপ্রাপ্ত নাবিকরা তৎকালীন আরাকানের উপকূলর্বর্তী এলাকায় প্রবেশ করে বসতি স্থাপন করেছিল। কথিত আছে, ডুবন্ত নাবিকরা ‘রহম’ শব্দটি উচ্চারণ করে স্রষ্টার করুণা প্রার্থনা করেছিল। যার সঙ্গে ‘রোহাং’ শব্দটি নিকটসম্পর্কযুক্ত। তারও বহু পরে আফগানিস্তানের ‘রোহা’ সম্প্রদায়ের কিছু লোক এখানে বসতি স্থাপন করে। মোগল আমলে শাহ সুজা ও তার আত্মীয়স্বজনের আগমন তো একটি ঐতিহাসিক সত্য। কাজেই প্রাথমিক বিচারে স্থায়ী বাসের ক্ষেত্রে ওই অঞ্চলের মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপস্থিতি এক হাজার দুই শ’ বছরেরও অধিক। বার্মিজ ও মুসলিম ঐতিহাসিকদের মতে প্রাচীন আরাকান রাজ্যের রাজধানীর নাম ছিল ‘ম্রোহং’ (প্রাচী শহর), যেখান থেকে এর অধিবাসীরা বৌদ্ধ-মুসলমান নির্বিশেষে, যুগে যুগে রোহিঙ্গা নামে অভিহিত হয়েছে। পঞ্চদশ শতকের গোড়ার দিকের কথা। রাজা নরমিখলা কৌশলগত কারণে সেলিম শাহ নাম গ্রহণ করেন এবং গৌড়রাজের কাছ থেকে প্রথম দফায় ২০ হাজার ও পরবর্তীতে ৩০ হাজার মুসলিম সৈন্য সাহায্য গ্রহণ করেন। তারপর আরাকান রাজ্য পুনরুদ্ধার করে নতুন পর্যায়ে রাজত্ব করতে থাকতেন। তখন থেকে এই মুসলমান সৈন্যদের অধিকাংশই সেখানে স্থায়ীভাবে ঘরসংসার শুরু করে। ওই সময় থেকে আরাকান রাজ্যে মুসলমান-বৌদ্ধ-রাখাইন নির্বিশেষে সবাই পরম শান্তিতে বসবাস করতে থাকে। পঞ্চদশ শতক থেকে বর্তমান (২০১৫) মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ওই অঞ্চলে পাঁচ শতাধিক বছর ধরে বসবাস করছে। সে হিসেবে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ীও তারা আদিবাসী হিসেবে বিবেচ্য রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়। প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে ১৯৬২ সালে তৎকালীন সামরিক জান্তা সরকার প্রণীত আইনে রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার খর্ব করা হয়। এর পাশাপাশি সে দেশের বৌদ্ধ রাখাইনদের সঙ্গে বিভিন্ন মুসলমানদের সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব বহু পুরনো। এক্ষেত্রে রাখাইনরা সে দেশের শাসক শ্রেণীর আপন ও রোহিঙ্গারা পর হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। গেল বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মিয়ানমার সফরকালে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেয়ার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে গেছেন। মিয়ানমারে বর্তমানে প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে। প্রতিকূল পরিবেশে থেকে এরা ক্রমাগতভাবে দেশ ছাড়ছে। ওই সময়ে বারাক ওবামা রোহিঙ্গাদের নাম ধরে বলেছিলেন, তাদের নিধন বন্ধ করা হোক। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি-আপনি যে মর্যাদার অধিকারী রোহিঙ্গারা, সেই রোহিঙ্গারা একই মর্যাদার অধিকারী।’ মিয়ানমারের পক্ষ থেকে তখন রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রদানসহ উদ্ভুত সব সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রকে। কিন্তু এর পর থেকে দৃশ্যমান যে, মিয়ানমার যেন ঠিক উল্টো পথে হাঁটছে। সে দেশের ২০ জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রোহিঙ্গারা সর্বত্র লাঞ্ছনা গঞ্ছনার শিকার হয়ে জীবন বাঁচাতে পালানোর পথই বেঁচে নিয়েছি। যার সর্বশেষ উদাহরণ দুর্গম সমুদ্র পথে মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়ার পথে পাড়ি দেয়া। আর এছাড়া বাংলাদেশ তো রয়েছে। জলস্থলে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে এরা প্রতিনিয়ত ছোট বড় আকারে কেবলই এদেশে ঢুকছে। শারীরিক গঠন, চেহারা, কথাবার্তা কক্সবাজারের অঞ্চলের লোকজনদের মতো হওয়ায় এদের রোহিঙ্গা বলে শনাক্ত করাও দুষ্কর। আর এ সুবাদে এরা এদেশে পাসপোর্ট গ্রহণ করে বিদেশে বৈধ পথে পাড়ি জমাতেও সক্ষম হচ্ছে।
×