ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শরীয়তপুরে থামানো যাচ্ছে না বালু লুটেরাদের

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ১৮ মে ২০১৫

শরীয়তপুরে থামানো যাচ্ছে না বালু  লুটেরাদের

নিজস্ব সংবাদদাতা, শরীয়তপুর, ১৭ মে ॥ জেলা বা উপজেলা প্রশাসনের কোন পদক্ষেপই থামাতে পারছে না শরীয়তপুরের নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কাজ। বছরের পর বছর জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনের নাকের ডগায় এ অবৈধ কাজটি চললেও প্রশাসন অনেকটা নির্বিকার। জেলা সদরসহ ৬টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নদীতে শতাধিক ড্রেজিং মেশিন বসিয়ে বালুদস্যুরা অবাধে বালু উত্তোলন করছে। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। একদিকে বালুদস্যুরা হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা আর অন্য দিকে নদী ভাঙনে ঘর-বাড়ি, বসত-ভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তারা ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ড্রেজিং মেশিন চালকদের জেল-জরিমানা করেছেন। এদিকে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নদী থেকে বালু উত্তোলনকারী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শরীয়তপুর জেলা সদরসহ নড়িয়া, জাজিরা, ভেদরগঞ্জ, ডামুড্যা ও গোসাইরহাট উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় পদ্মা ও মেঘনার শাখা নদীতে শতাধিক স্থানে অবৈধভাবে ড্রেজিং দিয়ে বালু উত্তোলনের হিড়িক পড়েছে। শুধু নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর লঞ্চঘাট থেকে ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর লঞ্চঘাট পযর্ন্ত দীর্ঘ ৪০ কিলোমিটার পদ্মার শাখা নদীতে ৪০টিরও বেশি ড্রেজিং মেশিন বসানো হয়েছে। ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বালু উত্তোলনের ফলে এসব এলাকায় নদীর পাড়ে অবস্থিত আবাদী জমি ও ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন। এদিকে জেলা শহরসহ উল্লিখিত চার উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রধান প্রধান সড়কের ওপর দিয়ে ড্রেজিংয়ের পাইপ বসানোর কারণে রাস্তায় যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। তাছাড়া ব্যক্তি মালিকানাধীন ঘর-বাড়ির ওপর দিয়ে ড্রেজিংয়ের মোটা মোটা পাইপ বসানোর কারণে অনেক সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জেলা প্রশাসক রামচন্দ্র দাস বলেন, আমরা মোবাইল কোর্ট দিয়ে কিছু সংখ্যক বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে জেল-জরিমানা করেছি। ড্রেজিং দিয়ে কে কোথায় বালু উত্তোলন করছে তার একটি তালিকা দিন। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
×